জুন ২: মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে সম্প্রতি ঋণসীমা বিল গৃহীত হয়েছে। এতে সংকটের সাময়িক সমাধান হলেও, আসল সমস্যা দূর হবে না। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও তাই একে ‘অস্থায়ী সমাধান’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে।
বিলে ২০২৫ সালের পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত ঋণসীমা স্থগিতের এবং ২০২৪ ও ২০২৫ অর্থবছরের জন্য ব্যয়ের সীমা প্রস্তাব করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বিলটি সিনেটেও পাস হবে এবং প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পর সেটি আইনেও পরিণত হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে: এতে কি আসলেই সমস্যার সমাধান হবে?
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী বন্ড-বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। ঋণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডিফল্ট গোটা বিশ্বের জন্য বিপর্যয়কর। আপাতত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই দল মিলে একটা সমাধান বের করেছে। আর সমাধানের অংশ হিসেবে বিদ্যমান ঋণসীমা (যা ৩১ ট্রিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি) নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত রাখা হবে। ফলে, মার্কিন সরকার ২০২৫ সালের পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত আরও ঋণ নিতে পারবে।
সমস্যা হচ্ছে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে। ঋণ যত বাড়বে, সমস্যাও তত বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋণসীমা স্থগিত রেখে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা আসলে সমস্যাকে আরও জটিল করার নামান্তর। উদ্বেগের বিষয় এখানেই।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান মূল অর্থনৈতিক সূচকগুলো ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, মন্দার ঝুঁকি তীব্রতর হচ্ছে, এবং ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা বাড়ছে, যা গোটা বিশ্বের জন্য অনিশ্চয়তা ডেকে আনছে। মার্কিন ঋণসংকট বাজারে গুরুতর অস্থিরতাও সৃষ্টি করছে। এ অবস্থায়, বিশ্বের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য কোন দেশ সবচেয়ে বড় হুমকিস্বরূপ, তা বিশ্ববাসী সহজেই বুঝতে পারছে। (ছাই/আলিম)