‘বন্দী পাখি’
2023-06-01 10:00:15



আজকের অনুষ্ঠানে চীনের হংকংয়ের একজন গায়িকার সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবো, তার ফেং লিং। তিনি তার সুন্দর ও আবেগপূর্ণ কণ্ঠের জন্য পরিচিত। এক বছরের মধ্যে হংকংয়ের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ সংগীত অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী একমাত্র গায়িকা তিনি। বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা তার কিছু সুন্দর গান শুনবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুনুন ফেং লিংয়ের একটি সুন্দর গান ‘ভালোবাসার সঙ্গে উড়ে গেছে’।গান ১

 

ফেং পিং ১৯৬৯ সালে চীনের হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯ বছর বয়সে তিনি বন্ধুর সঙ্গে সংগীত কোম্পানিতে অডিশন দিতে যান এবং অনেক প্রযোজকের প্রশংসা কুড়ান। পরে তিনি সেই সংগীত কোম্পানিতে যোগ দিয়ে পেশাদার গায়িকা হয়ে ওঠেন। পরের বছর ফেং লিং তার প্রথম গান ‘আমার গভীর মন’ প্রকাশ করেন। একজন নতুন গায়িকা হিসেবে কোনো বিশেষ প্রচার অবস্থায় ফেং লিং’র পরিষ্কার কণ্ঠ অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, এই গান দ্রুত জনপ্রিয় হয়, লোকজন গানটির মাধ্যমে ফেং লিং সম্পর্কে  জানতে পারেন। বন্ধুরা, এখন শুনুন ফেং লিংয়ের এই সুন্দর গান ‘আমার গভীর মনে’।গান ২

 

১৯৮৯ সালের শেষে ফেং লিং’র প্রথম অ্যালবাম মুক্তি পায়। অ্যালবামের কিছু গান বেশ জনপ্রিয় হয়। তিনি সেই বছরে হংকংয়ের শ্রেষ্ঠ নতুন গায়িকার পুরস্কার পান। পরের ৩ বছরে তিনি টানা ৩টি অ্যালবাম প্রকাশ করেন এবং আরো বেশি জনপ্রিয় ও পরিচিত হন। বন্ধুরা, এখন শুনুন ফেং লিং’র একটি সুন্দর প্রেমের গান ‘ভালোবেসেছি, কষ্ট পেয়েছি, অপেক্ষা করছি’।গান ৩

 

১৯৯৪ সালে ফেং লিং নতুন সংগীত কোম্পানিতে যোগ দেন। পরে তার গানগুলো আরো বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে: তিনি ক্যান্টোনিজ গানের পাশাপাশি ম্যান্ডারিন গান গাইতে শুরু করেন; গানে তাইওয়ানের লোকসংগীতসহ নতুন সংগীত উপাদনও শোনা যায়। বন্ধুরা, এখন শুনুন ১৯৯৪ সালে ফেং লিংয়ের প্রকাশিত একটি জনপ্রিয় গান ‘আমাকে তোমার সঙ্গে যেতে দাও’। গানটি মনোমুগ্ধকর একটি প্রেমের গান। ফেং লিং’র শক্তিশালী ও আবেগপূর্ণ কণ্ঠের সৌন্দর্য এতে পুরোপুরি ফুটে উঠেছে। গানটি পরে তার প্রতিনিধিত্বকারী গানে পরিণত হয়। বন্ধুরা, এখন শুনুন ফেং লিংয়ের সুন্দর গান ‘আমাকে তোমার সঙ্গে যেতে দাও’।গান ৪


১৯৯৫ সালে ফেং লিং’র জন্য ফলপ্রসূ একটি বছর। সে বছর তিনি দুটি ক্যান্টোনিজ অ্যালবাম একটি ম্যান্ডারিন অ্যালবাম প্রকাশ করেন। সবগুলো অ্যালবাম হংকং, তাইওয়ান ও চীনের মূলভূখণ্ডে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং বিক্রির পরিমাণ হংকংয়ের রেকর্ড সৃষ্টি করে। এসব অ্যালবামের জন্য তিনি বিভিন্ন সংগীত অ্যাওয়ার্ডের বার্ষিক শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়িকার পুরস্কার পান। বন্ধুরা, এখন শুনুন ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত একটি জনপ্রিয় গান ‘যেন ঘুম থেকে উঠে’।গান ৫

 

চীনে জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি ফেং লিং’র গানগুলো সিঙ্গাপুর-সহ কিছু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বন্ধুরা, এখন শুনুন ফেং লিং’র খুব জনপ্রিয় একটি গান ‘বন্দী পাখি’। যা একটি দুঃখের প্রেমের গান। ফেং লিং তার উচ্চ মানের গান গাওয়ার দক্ষতায় গানটি খুবই মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণী হয়। এই গান দেশি-বিদেশি অনেক সংগীত পুরস্কার জিতে নেয়। যা ফেং লিং’র সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ক্লাসিক একটি গান। দেশি-বিদেশি পারফরম্যান্সে গানটি বারবার গাওয়া হয়। বন্ধুরা, ফেং লিং’র জনপ্রিয় গান ‘বন্দী পাখি’ শুনুন।গান ৬

 

খুব জনপ্রিয় হলেও ২০০০ সালে বিয়ে করা ও সন্তান জন্ম দেওয়ার পর ফেং লিং তার সংগীতের কাজ অনেক কমিয়ে দেন। ২০০২ সালে তিনি শোবিজ থেকে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন। পরে নতুন গান গাননি। তবে, তার পুরানো গানগুলো এখনও বেশ জনপ্রিয়। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা একসঙ্গে  ফেং লিং’র আরেকটি সুন্দর গান ‘আমার নিজস্ব জগত আছে’ শুনবো। আশা করি, আপনারা তার গানগুলো পছন্দ করবেন।গান ৭

 বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়ান।