বিজ্ঞান জগতের একটি বড় সম্মিলনী বেইজিংয়ে চলছে। এটি হচ্ছে ২০২৩ সালের চুংকুয়ানছুন ফোরাম। গত ২৫ মে শুরু হয়েছে এ ফোরাম। তাতে ৮০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের বিজ্ঞানী, প্রতিষ্ঠান, ও বিনিয়োগকারীরা বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর দৃষ্টি রাখছেন। অংশগ্রহণকারীদের জন্য এ ফোরাম যেন উদ্ভাবন কেন্দ্রের মতো। চলুন, জেনে নিই চলমান এ ফোরাম ইতোমধ্যে কী কী অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত সাফল্য অর্জন করেছে। এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও উন্মুক্তকরণ ও ভাগাভাগির মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক উন্নয়নে আগামীতে এ ফোরাম কেমন ভূমিকা রাখতে পারে।
ফোরামে প্রদর্শিত এ গ্লাভসটি সাধারণ কোনো গ্লাভস নয়। এটি আসলে একটি পুনর্বাসন প্রশিক্ষণ যন্ত্র। স্ট্রোকসহ নানা রোগ থেকে সেরে উঠায় ব্যবহৃত হয় এটি। রোগীদের হাত কাজ না করলে এ গ্লাভস পড়ে তারা হাতের ব্যায়াম করতে পারেন। সিলিকা জেল দিয়ে তৈরি এ গ্লাভস অন্য উপাদান দিয়ে তৈরি যন্ত্রের চেয়ে আরও বেশি আরামদায়ক এবং নিরাপদ।
আপনারা এখন যে যন্ত্রটি দেখছেন, এটি একটি থ্রি.ডি মডেলিং যন্ত্র। এ যন্ত্রটির নানা দিকে বসানো ক্যামেরা মাথাসহ শরীরের তথ্য সংগ্রহ ও মডেল তৈরি করে। এক মিনিটের মধ্যে তৈরি করা মডেলটি স্ক্রিনে দেখা যায়। পরবর্তীতে এটির সাথে শরীরের চুল এবং কাপড়ও যোগ করা যায়। যাতে আরও সামগ্রিক শারীরিক ডিজিটাল মডেল তৈরি হয়। এটি এআই উপস্থাপক এবং ডিজিটাল মানুষ হিসেবে গ্রাহকদের জন্য সেবক ও প্রশিক্ষণসহ নানা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। এবারের ফোরামে দশটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক সাফল্য প্রকাশিত হয়েছে। তাতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, ব্লকচেইন এবং হিউম্যান সেল রাসায়নিক রিপ্রোগ্রামিং সিস্টেমসহ নানা দিক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
চুংকুয়ানছুন ফোরাম কেবল বিশ্ব বিজ্ঞানের কেন্দ্র নয়, বরং বিশ্বজুড়ে কেনা-বেচার প্রযুক্তিগত লেনদেনের সম্মিলনী। ফোরামের প্রযুক্তিগত লেনদেন পর্বে ২৬টি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। তাতে ৪০টি দেশ ও অঞ্চলের ৭০০০টিরও বেশি বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সাফল্য এবং উদ্ভাবনশীল প্রকল্প সহযোগিতা লাভ করেছে। বর্তমানে নতুন দফা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিপ্লব ও শৈল্পিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানব জাতি অভিন্ন উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে যে কোনো সময়ের চেয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও উন্মুক্তকরণ ও শেয়ার করা প্রয়োজন।
চুংকুয়ানছুন ফোরাম কেবল বিশ্ব বিজ্ঞানের কেন্দ্র নয়, বরং বিশ্বজুড়ে কেনা-বেচার প্রযুক্তিগত লেনদেনের সম্মিলনী। ফোরামের প্রযুক্তিগত লেনদেন পর্বে ২৬টি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। তাতে ৪০টি দেশ ও অঞ্চলের ৭০০০টিরও বেশি বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সাফল্য এবং উদ্ভাবনশীল প্রকল্প সহযোগিতা লাভ করেছে। বর্তমানে নতুন দফা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিপ্লব ও শৈল্পিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানব জাতি অভিন্ন উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে যে কোনো সময়ের চেয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও উন্মুক্তকরণ ও শেয়ার করা প্রয়োজন।
এ ফোরামে প্রথমবারের মতো ‘বেইজিংয়ে বিনিয়োগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ প্রতিষ্ঠান, বড় আকারের শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সরকার এবং বিনিয়োগকারী সংস্থা থেকে ৬০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি তাতে অংশ নিয়েছেন। ফলে ৩৯টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মূল্য ৬০৮০ কোটি ইউয়ান। এ শীর্ষসম্মেলন বিশ্বের কাছে বেইজিং উন্নয়নের নতুন সুযোগ-সুবিধা প্রদর্শন করেছে। যা বেইজিংয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস চুংকুয়ানছুন ফোরামের একটি সমান্তরাল ফোরামে বলেছেন, জটিল বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে চীন। বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ এবং বৈশ্বিক খাদ্যশস্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীনের অবদান উল্লেখযোগ্য।
(রুবি/এনাম/লাবণ্য)