মে ২৭: "আমরা নবায়নযোগ্য শক্তি সরঞ্জাম উত্পাদন করতে চীনা কোম্পানিগুলোর সাথে সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করছি।" সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে অস্ট্রেলিয়ার ফোর্টস্কু মেটাল গ্রুপ ফিউচার ইন্ডাস্ট্রিজের সিইও হাচিনসন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, চীনের স্বয়ংক্রিয় উত্পাদন প্রযুক্তি "অত্যাশ্চর্য।"
সম্প্রতি, চীনের বেশ কয়েকটি বিদেশি চেম্বার অফ কমার্সের জরিপ এই বিষয়টিকে পুরোপুরি প্রমাণ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, চীনে আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্সের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, চীনের ৬৬% আমেরিকান কোম্পানি বলেছে যে, তারা আগামী দুই বছরে চীনে বিনিয়োগ বজায় রাখবে বা বৃদ্ধি করবে।
চীনে বিদেশী পুঁজির ব্যবহার সর্বত্র বৃদ্ধির এটা একটা কারণ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত, চীনের বিদেশি পুঁজির প্রকৃত ব্যবহার ছিল প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের চেয়ে ২.২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ কোরিয়ার চীনে প্রকৃত বিনিয়োগ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এটা লক্ষণীয় যে, বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগ শুধু কোম্পানি খোলা ও কারখানা নির্মাণের মতো সহজ নয়। তারা ক্রমবর্ধমান হারে চীনে তাদের গবেষণা ও উন্নয়নকেন্দ্র স্থাপন করছে। "মেড ইন চায়না" থেকে "চীনের সাথে সহ-উত্পাদনে" যাওয়ার কারণ কী? কিছু বিশ্লেষক উল্লেখ করেছেন যে, বাজারের সম্ভাবনা, লাভের মার্জিন, উদ্ভাবনের পরিবেশ, এবং নীতির ধারাবাহিকতা কর্পোরেট বিনিয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়।
জাতিসংঘের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে চলতি বছর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪.৮% থেকে বাড়িয়ে ৫.৩% করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল পূর্বাভাস দিয়েছে যে, এই বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চীনের অবদান ৩৪.৯% এ পৌঁছাবে। এন্টারপ্রাইজগুলোর জন্য, বাজারের কাছাকাছি থাকা মানে "জলের উত্সের কাছাকাছি থাকা"। চীনের উচ্চ-মানের উন্নয়ন, একটি বড় বাজার, যা মিস করা উচিত নয়।
চীনের সবচেয়ে সম্পূর্ণ বিভাগ এবং সম্পূর্ণ সহায়ক সুবিধাসহ বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পব্যবস্থা রয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে কম খরচে উচ্চ-মানের কাঁচামাল ও সহায়ক অংশগুলো পেতে এবং লভ্যাংশ বাড়াতে বিদেশি অর্থায়নকারী উদ্যোগের জন্য সহায়ক। বিগত পাঁচ বছরে, চীনে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের উপর রিটার্নের হার ৯.১% এ পৌঁছেছে, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০২২ সালে, চীনের গবেষণা ও উন্নয়নব্যয় প্রথমবারের মতো ৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান অতিক্রম করে, যা আগের বছরের তুলনায় ১০.৪% বেশি। "ইনোভেশন চায়না"-এ বিনিয়োগ করে, বিদেশি কোম্পানিগুলো কেবল সরাসরি লাভই পাচ্ছে না, ভবিষ্যতের সুযোগও লাভ করছে।
বাস্তবতা থেকে প্রমাণিত হয়ে যে, চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া আসলের বড় ঝুঁকি। একটি অস্ট্রিয়ান থিঙ্ক ট্যাঙ্কের গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, জার্মানি যদি চীন থেকে "বিছিন্ন" হয়, তাহলে জার্মানির বার্ষিক জিডিপি ২% কমে যাবে, যা ৬০ বিলিয়ন ইউরোর ক্ষতির সমতুল্য। নাইকির সিইও জন ডোনাহো অকপটে বলেছেন যে, চীন থেকে বিছিন্ন বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য বিপর্যয়কর হবে।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে, বিদেশি বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নের জন্য চীন প্রথম পছন্দ হিসেবই থাকবে। কথায় বলে, আপনার যদি একটি লীলাভূমি বন থাকে, তাহলে সেখানে প্রাকৃতিকভাবেই সুউচ্চ গাছ জন্মাবে। (ইয়াং/আলিম/ছাই)