বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের বিষয়ে সি চিন পিং যেভাবে বলেছেন
2023-05-26 19:19:17

চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সি চিন পিং সবসময় দেশের বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দেন। হাই-টেক প্রযুক্তি শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষা সংস্থা এবং গবেষণাগার পর্যন্ত, তিনি বার বার বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং বার বার বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

২০২২ সালের ১৭ অগাস্ট, সি চিন পিং লিয়াও নিং প্রদেশের শেন ইয়াং শহরে গিয়ে সেখানের সিয়াসান রোবট স্বয়ংক্রিয়করণ কোম্পানি পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি জোর দিয়ে বলেন: কেন্দ্রীয় সরকার উদ্ভাবনের মাধ্যমে উন্নয়ন কৌশল প্রনয়ণ করেছে, এতে নিজস্ব উদ্ভাবন খুব গুরুত্বপূর্ণ, উদ্ভাবনের পরিবেশ তৈরিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। চীনের শিল্পের মান এবং দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত, যাতে চীনকে অর্থনীতির বড় দেশ হিসেবে উত্পাদনমুখী শক্তিশালী দেশে রূপান্তর করা যায়।

 

২০১৪ সালের ২৩ মে, সি চিন ইং শাংহাইয়ে গিয়ে চীনের কমার্সিয়াল এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন পরিদর্শন করেন। তিনি চীনের নিজস্ব উত্পাদিত সি৯১৯ বিমানে উঠে পাইলটের আসনে বসেন, তিনি বিস্তারিতভাবে বিমানের সংশ্লিষ্ট অবস্থা ও তথ্য জেনে নেন।

এসময় তিনি বলেন, আগে বলা হতো: উত্পাদনের চেয়ে কেনা ভালো, কেনার চেয়ে ভাড়া করা ভালো। কিন্তু এমন আমরা আরো বেশি বরাদ্দ দিয়ে গবেষণা করবো, নিজের বিমান উত্পাদন করবো, স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রতার সামর্থ্য লালন করবো।

চীনের নিজস্ব গবেষণা এবং উত্পাদন করা বড় আকারের বিমান হিসেবে, সি৯১৯ একবার করে ১৫০জন যাত্রী বহন করতে পারে এবং ৫৫০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দূরত্ব পার হতে পারে। দেশের ২২টি প্রদেশ, দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান, ৩৬টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠা এবং দশ হাজারেরও বেশি কর্মী এতে অংশ নিয়েছেন।

এই বিমান চীনা বুদ্ধি এবং চীনা জনগণের দৃঢ় সংকল্পের পরিচায়ক।

২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, সি চিন পিং চীনের প্রথম ভারি যন্ত্রপাতির কোম্পানি পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা দুই শত বছরের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করছি, আমরা এখন এই লক্ষ্য পূরণে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক কাছে আছি, বরং আগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ ও কঠিনতার মুখোমুখিও হচ্ছি। আমাদের উচিত নিজের ওপর নির্ভর করা।

 

২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, সি চিন পিং হ্য নান প্রদেশ পরিদর্শন করেন। সেসময় তিনি হ্য নান প্রদেশের চেং চৌ শহরের কয়লা মেশিন কোম্পানি পরিদর্শন করেছেন।

তিনি পরিদর্শনকালে বলেন, এখন আমাদের উত্পাদন শিল্প বিশ্বে সবচেয়ে বড়। বড় ও পূর্ণাঙ্গ, এই দুটোই আমরা বাস্তবায়ন করেছি, তবে হাই-টেক ক্ষেত্রে আমাদের শেখার আছে অনেক কিছু। আমাদের অব্যাহতভাবে চেষ্টা করা উচিত।

২০২০ সালের ১২ মে, সি চিন পিং সানসি প্রদেশ পরিদর্শন করেন। তিনি বিশেষ করে প্রদেশের থাই ইউয়ান শহরের আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, পরিদর্শন করে আমার খুব ভালো লাগছে। হাই-টেক প্রযুক্তি সানসি প্রদেশে সমৃদ্ধভাবে উন্নত হচ্ছে, কোম্পানিটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, রূপান্তরিত হচ্ছে, যা খুব ভালো।

 

২০২০ সালের ২৩ জুলাই, সি চিন পিং চি লিন প্রদেশ পরিদর্শন করেন। সেসময় তিনি চায়না ফার্স্ট অটোমোবাইল ওয়ার্কস অর্থাত্ চায়না ফাউ কোম্পানি পরিদর্শন করেছিলেন।

তখন সি চিন পিং বলেছিলেন, পুরো উত্পাদন শিল্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুব তুমুল, সুযোগও অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি নিজের হাতে রাখতে হবে। আমাদের এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত, চীনের নিজস্ব ব্র্যান্ড সমৃদ্ধ করতে হবে।

 

২০১২ সালের ২৪ মার্চ, ফু চিয়ান প্রদেশে, সি চিন পিং রিকোম কোম্পানি পরিদর্শন করেন।

তিনি পরিদর্শনকালে বলেন, দেশের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করলে উদ্ভাবনের ওপর নির্ভর করতে হয়। সবসময় অন্যকে অনুসরণ করলে হবে না। কোনো সংস্থা- দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারলে তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

এখন সার্বিকভাবে সমাজতন্ত্রের আধুনিক দেশ নির্মাণের যাত্রা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশ গঠনে চীনা জনগণ চেষ্টা করছে।