মে ২৫: ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিব্বতের নাকগু থেকে লাসা পর্যন্ত একটি পথ দ্রুতগতির ট্রাকের জন্য খোলে দেয়া হয়। ফলে দুই শহরের মধ্যে যাতায়াত সময় অতীতের ৬ ঘণ্টা থেকে কমে এখন সাড়ে তিন ঘণ্টায় নেমে এসেছে। এতে ট্রাক চালকদের তেল খরচ ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে। তিব্বত বিশ্বের ছাদ হিসেবে সুপরিচিত। স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে তিব্বতের উন্নয়নের সাফল্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। অতীতে সেখানে কেবল ছোট অলিগলি ও আঁকাবাঁকা কিছু পথ ছিল। তাদেরকে এখন বহুমুখী যাতায়াত ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। ‘আকাশ পথ’ এখন তিব্বতের ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। গত মঙ্গলবার চীনের তিব্বত উন্নয়ন ফোরামকে প্রদত্ত অভিনন্দনবার্তায় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এমন মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বাহাত্তর বছর আগে তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তি অর্জিত হয়। এর মাধ্যমে বৈদেশিক শক্তির তিব্বতকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টাও প্রতিহত করা হয়েছে। মানবাধিকারের নিশ্চয়তা উন্নয়নের চালিকাশক্তি বয়ে এনেছে। ২০২২ সালে তিব্বতের আঞ্চলিক জিডিপি ১৯৫১ সালের ৩৪৬.৮ গুণ বেড়েছে। তিব্বতের গড়ায়ু ৩৫.৫ বছর থেকে ৭২.১৯ বছরে উন্নীত হয়েছে। তিব্বতের শিক্ষা গ্রহণের মান মুক্তির আগের ৯৫ শতাংশের নিরক্ষরতার হার থেকে ১৫ বছর মেয়াদী সার্বজনীন বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থনে তিব্বতের চরম দরিদ্রতা দূর হয়েছে। তিব্বতি জনগণের সুখী জীবনযাপনকে চীনে নিযুক্ত ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত গিউসেপ্প ইয়োফ্রেদা ইয়রিও বিস্ময়কর ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন। গত ১০ বছরে তিব্বতের পশুপালকদের জীবনযাপনও ব্যাপক উন্নত হয়েছে। তাদের বাড়িতে ট্যাপের জল ব্যবস্থাপনা স্থাপিত হয়েছে। তারা এখন বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে। তাদের জীবনযাপনের মানও অনেক উন্নত হয়েছে। মাথাপিছু নিষ্পত্তিযোগ্য আয় ১০ বছরের আগের প্রায় এক হাজার ইউয়ান থেকে বর্তমানের দেড় হাজার ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে।
তাছাড়া, পরিবেশ সংরক্ষণ ও ডিজিটাল অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন তিব্বতের জন্য নতুন প্রাণশক্তি যোগিয়েছে। তিব্বতের প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ এখন সারা বিশ্বের শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে। তবে পশ্চিমা কিছু দেশের কতক ব্যক্তি তিব্বতের উন্নয়নকে উপেক্ষা করে অব্যাহতভাবে মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে চীনকে অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করছেন। তিব্বতের উন্নয়নের বাস্তবতা এবং চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের সাফল্যের মুখে তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবেন।(সুবর্ণা/এনাম/শুয়ে ফেই ফেই)