মে ২৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বিশাল জায়গাজুড়ে ফুলের বাজার। বাহারি জাতের ফুলে দারুণ এক আবহ তৈরি হয়েছে এখানে। শুধু ফুলই নয়, ফুল দিয়ে তৈরি নানা পণ্য পাওয়া যায় এই বাজারে। ক্রেতারা নিজেরদের পছন্দমতো ফুল কেনেন সেখান থেকে।
ফুলের এই বাজারটি চীনের ইউননান প্রদেশের কুনমিং শহরে অবস্থিত, যা পরিচিত দোওনান ফুলের বাজার নামে। এটি এশিয়ার বৃহত্তম তাজা ফুলের বাজার।
চীনজুড়েই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফুল ও ফুলের তৈরি নানা পণ্য। তাইতো বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রদেশে।
ন্যাশনাল ফরেস্ট্রি অ্যান্ড গ্র্যাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, চীনে ফুলের চারার বার্ষিক উৎপাদন মূল্য ৫০০ বিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে। ফলে ফুল চাষে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া পূর্ব চীনের চিয়াংসু প্রদেশের ইয়ানচেং শহরের একটি পার্কে চলতি মৌসুমে রোপণ করা হয়েছে ৩ কোটিরও বেশি টিউলিপ। এই ফুল এখন ফোটার মৌসুম। ফলে ফুল চাষীদের পাশাপাশি ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর- দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ দর্শনার্থী আসছেন এই পার্কে।
পূর্ব চীনের চিয়াংসি প্রদেশের নানমিয়াও টাউনেও বেড়েছে ফুল চাষ। এখানকার ফুল বাগানে দেখা যায় ঐতিহ্যবাহী নানা ফুল। এখানকার বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ছোট ও মাইক্রো বনসাই । ফলে ফুলচাষীরা আগের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে।
নানিয়াও টাউনের মেয়র চেন জুন বলেন, " এই বছর, আমাদের শহরে অবসর কৃষি এবং গ্রামীণ পর্যটন ৪০০ মিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি আয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং ৩ হাজারেরও বেশি স্থানীয় শ্রমশক্তির কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে ” ।
গেল বছরের নভেম্বরে, ন্যাশনাল ফরেস্ট্রি এন্ড গ্র্যাস এডমিনিস্ট্রেশন ও মিনিস্ট্রি অফ রুরাল এন্ড এফেয়ার্স যৌথভাবে ফুল শিল্পের উন্নয়নে একটি নির্দেশিকা জারি করে, যা ফুল উৎপাদনের বিকাশে ভালো সহযোগিতা করে।
নির্দেশিকায় বলা হয়, ২০২৫ সালের মধ্যে ফুলের চারা শিল্পের জন্য বিশেষ এক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে চীন, যাতে করে ফুলের বার্ষিক বিক্রি ৩০০ বিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছায় ।
নাহার/শান্তা
তথ্য ও ছবি- সিসিটিভি