‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান হাতিয়ার তারুণ্য। তরুণরা চাইলেই পারে সমাজকে বদলে দিতে। এজন্য দরকার তাদের চিন্তা ও মেধার সমন্বয়। চীন ও বাংলাদেশের তরুণদের অফুরান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবো এই অনুষ্ঠানে। তরুণদের সৃজনশীলতার গল্পগাঁথা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের তারুণ্যের অগ্রযাত্রা।
১.
দারিদ্র্য বিমোচনে দৃষ্টি চীন-আসিয়ান যুব ক্যাম্পাসে
১৪তম চীন-আসিয়ান যুব ক্যাম্পাস ফোরামে দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে আলোচনা করতে শতাধিক যুব প্রতিনিধি এবং কূটনীতিক সমবেত হয়েছেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ চীনের কুয়াংসি চুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং কুয়াংতং প্রদেশে শুরু হওয়া এ ফোরামে যোগ দেন তারা। পারস্পরিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উভয় অঞ্চলের তরুণদের একত্রিত করা এ ফোরামের লক্ষ্য।
প্রতিনিধিরা ডিজিটাল যুগে দারিদ্র্য বিমোচন থেকে শুরু করে তরুণ প্রজন্মের ওপর বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের প্রভাব পর্যন্ত প্রধান বিষয়গুলোর উপর ধারনা শেয়ার করেন।
ইভেন্টের অংশগ্রহণকারীরা টেক স্টার্টআপ পরিদর্শন করেন এবং চীনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের গভীর অভিজ্ঞতা নিতে পরিবেশগত সাইট এবং গ্রামীণ এলাকা পরিদর্শন করেন।
আয়োজকরা জানান, এ অঞ্চলের তরুণদের মধ্যে সংলাপের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এবং আরও শক্তিশালী চীন-আসিয়ান সম্পর্ক তৈরিতে অবদান রাখা এবারের ফোরামের লক্ষ্য।
প্রতিবেদকঃ রওজায়ে জাবিদা ঐশী
সম্পাদকঃ মাহমুদ হাশিম
২. সাক্ষাৎকার
উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকারী বিদেশে অবস্থান করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার বলে মনে করেন পিএচডি গবেষক গাজী তৌফিক এজাজ। এর মাধ্যমে তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
গাজী তৌফিক এজাজ চীনের নানচিংয়ের হুহাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএচডি করছেন ক্লাইমেট চেঞ্জ, রেইনফল অ্যানালাইসিস, হাইড্রোলোজিকাল মডেলিং বিষয়ের উপর। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত আছেন তিনি। গাজী তৌফিক এজাজকে আমরা তারুণ্যের অগ্রযাত্রার এই পর্বে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি অনলাইনে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তার শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও চিন্তা ভাবনা শেয়ার করেছেন।
৩.
চীনের ইন্টারনেট ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে বিয়ে বেড়েছে
২০ মে, চীনে একটি অনানুষ্ঠানিক ইন্টারনেট ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করা হয়। আর এ বছর এই দিনটিতে চীনে ফুলের বিক্রি এবং বিয়ে বৃদ্ধি পায়। কারণ চীনারা মনে করে, তরুণদের সাহসী হতে এবং ভালবাসা প্রকাশ করার জন্য এটি একটি উপযুক্ত দিন।
তাই এই দিনটি তরুণদের কাছে একটি বড় মিশনে পরিণত হয়েছে। তাদের কেউ কেউ বিয়ে করার জন্য নিবন্ধন করতে এই দিনটিকে বেছে নেন। এমনকি বিয়ে নিবন্ধন এজেন্টরাও এইদিন বাড়তি কাজ করতে প্রস্তুত থাকেন।
কিংবদন্তি গল্পে ভরা অন্য ভালোবাসা দিবস থেকে এটি তাদের কাছে ভিন্ন অর্থ বহন করে। মে মাসের ২০ তম এই দিনটি প্রথম বিশেষ হয়ে উঠে ইন্টারনেটে। চীনা তরুণরা এর পেছনে তিনটি গবেষণাকে বিশ্বাস করে।
বছরের পঞ্চম মাসের ২০ তম দিন। ৫২০ চীনা ভাষায় "আমি তোমাকে ভালোবাসি" অভিব্যক্তির অনুরূপভাবে উচ্চারিত হয়। এই আবিষ্কারটি ২১ শতকের গোড়ার দিকে জনপ্রিয় হতে শুরু করে।
এটি একটি আধুনিক লোক প্রথায় বিকশিত হচ্ছে এবং প্রেমিকযুগলদের নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশের একটি উপায় হয়ে উঠেছে। গোলাপ, চকোলেট এবং ছোট উপহার অবশ্যই এই দিনের সবচেয়ে প্রচলিত ও জনপ্রিয় বিষয়। এই দিবসকে কেন্দ্র করে ইয়ুননান প্রদেশসহ বিভিন্ন স্থানের ফুলের বাজারে কেনাকাটার পরিমাণ ছিলো অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রতিবেদকঃ রওজায়ে জাবিদা ঐশী
সম্পাদকঃ শান্তা মারিয়া
আমাদের ‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ আজ এই পর্যন্তই । পরবর্তী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভকামনা সবার জন্য।
পরিকল্পনা ,পরিচালনা ও সঞ্চালনা : রওজায়ে জাবিদা ঐশী
অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল/রওজায়ে জাবিদা ঐশী
সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী