লিয়াং ইয়ানলিং
2023-05-19 15:30:02

লিয়াং ইয়ানলিং ১৯৬৮ সালের ৬ অগাস্ট চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের একজন নারী কণ্ঠশিল্পী। ১৯৮৩ সালে তিনি বাবা-মা’র সঙ্গে হংকংয়ে চলে যান। একটি গভীর সাংস্কৃতিক পরিবেশে প্রবাসী চীনা পরিবারে বড় হবার কারণে শিল্পের প্রতি তাঁর অধ্যবসায় দেখা গেছে। বাইরে থেকে দেখলে তেমনটি মনে না হলেও তিনি খুব উষ্ণ ও প্রাণবন্ত একজন নারী। তিনি ভ্রমণ করতে ভালবাসেন। বিশ্বের ২০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে তাঁর পা পড়েছিল। তিনি সাঁতার কাটায় দক্ষ এবং তাঁর আন্তর্জাতিক ডুবুরি লাইসেন্সও আছে।

বন্ধুরা, কিছুক্ষণ আগে আপনারা যে “কুয়াশার মতো, বৃষ্টির মতো, বাতাসের মতো”গান শুনেছেন, তা লিয়াং ইয়ানলিংয়ের ১৯৯১ সালে প্রকাশিত প্রথম অ্যালবামের প্রধান ও শিরোনাম গান। এটি আসলে ফিনল্যান্ডের গায়ক কার্কার গান থেকে পুনরায় লিরিক্স করা একটি ম্যান্ডারিন গান। ১৯৯৩ সালে চীনের সিসিটিভির বসন্ত উৎসব গালায় লিয়াং ইয়ানলিং গানটি গান। তারপর গানটি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বন্ধুরা, এখন আমি লিয়াং ইয়ানলিংয়ের অন্য একটি গান আপনাদেরকে শোনাচ্ছি। ১৯৯২ সালে তাঁর প্রকাশিত দ্বিতীয় অ্যালবামের শিরোনাম গান “যে তোমাকে ভালোবাসে না, তাকে ছেড়ে দাও”। 

বন্ধুরা, লিয়াং ইয়ানলিংয়ের প্রথম অ্যালবাম “কুয়াশার মতো, বৃষ্টির মতো, বাতাসের মতো”-এ এমন একটি গান আছে, যা তিনি এবং কণ্ঠশিল্পী ছাই চিওয়েনের সঙ্গে গেয়েছেন। গানটির নাম “ধীরে ধীরে তোমার সাথে হাঁটি”। তাহলে এখন আমি গানটি আপনাদেরকে শোনাচ্ছি। সে সঙ্গে শোনাব তাঁর এবং হুয়াং খাইছিনের গাওয়া যৌথ গান “কোথাও আকাশে বৃষ্টি হয় না”। 

 

লিয়াং ইয়ানলিংয়ের গান চীনের মূল-ভূভাগ, হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল, তাইওয়ান প্রদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় খুবই জনপ্রিয় ছিল। তিনি হংকং ও মূল-ভূভাগের বেশ কয়েকটি বেতার ও টিভি স্টেশনের পুরষ্কার জিতেন। এছাড়া তিনি হংকং ফিনিক্স টিভির ডিজে ছিলেন। বলা যায়, শোবিজে প্রবেশ করার পর থেকে তাঁর নাম সবার মুখে মুখে ছিল। কিন্তু ১৯৯৫ সালে বিনিয়োগে ব্যর্থ হবার কারণে তিনি শোবিজ ত্যাগ করেন।

১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে লিয়াং ইয়ানলিং একটি ক্যান্টনিজ অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের নাম “রোমান্টিক গল্প”। 

 

(প্রেমা/এনাম)