মালয়েশিয়ায় দ্রুত এগুচ্ছে “এক অঞ্চল এক পথ”প্রকল্পের নির্মাণ
2023-05-15 15:28:25

চলতি (মে) মাসের শুরুতে চীন ও মালয়েশিয়ার যৌথ নির্মিত “এক অঞ্চল এক পথ”-এর ল্যান্ডমার্ক প্রকল্প—মালয়েশিয়া ইস্ট কোস্ট রেল লিঙ্ক, ইসিআরএল-এর নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ছয় শতাধিক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ইসিআরএল বরাবর নির্মাণসাইটে চীন ও মালয়েশিয়ার কর্মীদের নিয়ে গঠিত দশটি যুব কমান্ডো ঘাম ও দায়িত্ব দিয়ে যুগের যুব অধ্যায় লিখছেন।

ইসিআরএল প্রকল্পের এক অংশ কেলান্তানে অবস্থিত। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে প্রথম যুব কমান্ডো প্রতিষ্ঠিত হয়। তেত্রিশ বছর বয়সী দলের প্রধান জাং থান হলেন প্রথম শাখা বিভাগে প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার। মালয়েশিয়ায় আসার আগে তিনি আফ্রিকায় “এক অঞ্চল এক পথ” প্রকল্পের নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছেন।

 

জাং থান জানান, কমান্ডোর সদস্য যেখানে আছেন, সেসব পুরো প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ কর্ম-পয়েন্ট। প্রত্যেক সদস্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সরঞ্জাম দেড়িতে আসার পরিস্থিতিতে তারা কাঠিন্য কাটিয়ে উঠে উত্পাদন করার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ করেন। এখন কর্মশক্তি সম্পূর্ণভাবে চলছে।

 

চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)  মালয়েশিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল রেখার “স্থল সেতু”তথা ইসিআরএল নির্মাণ করছে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার পর দেশটির পূর্ব উপকূল অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাড়ার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে আন্তঃযোগাযোগের মান উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিয়াও ইয়াং জানান, চলতি বছর ইসিআরএল প্রকল্পের নির্মাণের সর্বোচ্চ জোয়ার চলছে। অনুমান করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ লাইন অনুশীলনকারীর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি হবে। দশটি যুব কমান্ডোয় মোট ২২৩ জন সদস্য আছে।

 

তেং ইয়োজি সিছুয়ান প্রদেশ থেকে এসেছেন। যদিও তিনি প্রকল্পে এসেছেন ছয় মাসেরও কম সময় হয়েছে, তবে তাঁর প্রস্তাবিত আপগ্রেড প্রক্রিয়ার সাহায্যে জনশক্তি সাশ্রয় করার পাশাপাশি কার্যকারিতা উন্নত হয়েছে।

 

মালয়েশিয়ার স্থানীয় যুব কর্মী তেং দেওয়ে কেলান্তানের বাসিন্দা। মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর তিনি ইসিআরএল প্রকল্পে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন প্রকৌশলীতে পরিণত হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার এখনও মনে আছে  যে প্রথম পাইল ড্রাইভিংয়ের সময় আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম। দু’বছরের বেশি সময়ের অনেক অনুভূতি আছে। নিজের উন্নতি করা ছাড়াও প্রকল্পটিকে সব সময় এগিয়ে যেতে দেখেছি। লক্ষ্যবস্তু থেকে আমরা আরও কাছে আছি।

 

দু’বছরের বেশি সময়ে চীনা মাস্টারদের নেতৃত্বে তেং দেওয়ে আরও গভীরভাবে চাকরিতে একীভূত হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রকল্পটি আরও বেশি স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি করছে। প্রকল্পে তিনি অনেক সতীর্থের সাথে দেখা করেছেন। প্রকল্প সম্পন্ন হবার পর জন্মস্থানের জন্য আরও সুবিধাজনক পরিবহন ও আরও বেশি সুযোগ তৈরির প্রত্যাশা করেন তিনি।

 

ইয়ে সিয়াও ইয়াং বলেন, প্রকল্প দ্রুত নির্মাণ পর্যায়ে প্রবেশ করছে। ২০২৭ সালের শেষ নাগাদে তার নির্মাণ শেষ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে সকল যুবক কর্মী প্রকল্পের নির্মাণ উচ্চ কার্যকর ও উচ্চমানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছেন। যাতে “এক অঞ্চল এক পথ”যৌবনকে আরও উজ্জ্বল করে দেয়। (প্রেমা/এনাম)