রোববারের আলাপন-আন্তর্জাতিক পাকস্থলী রক্ষা দিবস
2023-05-14 06:36:36

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আকাশ এবং ....।

বন্ধুরা, চীনের অনেক অঞ্চলে ১৫ মিনিটের হাঁটা দূরত্বের মধ্যে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা সম্পন্ন করা যায়। আমরা প্রথমে এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে একটি সংবাদ শেয়ার করব, কেমন?

চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘১৫ মিনিটের সুবিধা সেবা’ গঠন করা হচ্ছে। যা জনগণের জীবনকে আরও সুবিধাজনক করছে।

সংশ্লিষ্ট গবেষণায় দেখা যায়, শহরের ৫০ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দা তাদের আবাসিক কমিউনিটির আশেপাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতে পারেন। যা ১৫ মিনিটের হাঁটা দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত। সম্প্রতি চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৫ সালের আগে, দেশের বিভিন্ন স্থানে নাগরিকদের জন্য ‘১৫ মিনিট সুবিধা সেবা’ গঠন করা হবে। 

চীনের শাংহাই শহরে ‘১৫ মিনিট সুবিধা সেবায়’ জামাকাপড় সেলাই ও জুতো মেরামতের দোকান স্থাপন করা হয়েছে। যা মানুষের জন্য অনেক সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে।

ভালো খাবার অবশ্যই সুখী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এজন্য অনেক অঞ্চল ‘১৫ মিনিট সুবিধা সেবা’ নির্মাণ করার সময় আবাসিক এলাকার ক্যান্টিন উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়।

সি চিয়া চুয়াং শহরের অধিবাসী চাও সু থিং জানান, ‘আমাদের আবাসিক এলাকার ক্যান্টিন বাসার অনেক কাছে। কয়েক মিনিট হেঁটেই যাওয়া যায়। এতে অনেক খাবার আছে, দামও বেশ কম। আজ আমি মাত্র তিন/চার ইউয়ান দিয়ে ভালোমতো খেয়েছি।’

সান সি প্রদেশের থাই ইয়ান শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকার ক্যান্টিনগুলো উন্নত করা হয়েছে। এতে বয়স্ক ও অভাবী মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

ভাই, দুপুরের খাবার মাত্র তিন ইউয়ানে দিয়ে ভালমতো খাওয়া যায়। আপনি সেই ক্যান্টিনে খেতে চান?

তৌহিদ:..

ভাই, আপনি চীনে অনেক বছর ধরে আছেন। চীনের জীবনযাত্রার সুবিধা নিয়ে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের বলুন।

তৌহিদ:...

সংগীত

বন্ধুরা, ৯ এপ্রিল ছিল আন্তর্জাতিক পাকস্থলী রক্ষা দিবস। সংশ্লিষ্ট জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি জরিপে অংশগ্রহণকারীরা জানান, তাদের পাকস্থলীতে কিছু সমস্যা বা অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিত আগে।  পাশাপাশি, এখন অনেক তরুণতরুণীও একই সমস্যার মুখোমুখি হন। এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক আগে থেকে পাকস্থলী রক্ষার কাজ শুরু করতে হবে।

ভাই, আমাদের অনেকে এখনও খাবারের ক্ষেত্রে বেশি সাবধান হয় নি। যেমন চীনে হটপট আছে। অনেকে হটপটের মধ্যের খাবার অনেক গরমের সময় খান। এ ছাড়া অনেক তরুণতরুণী তারা ঠান্ডা পানীয় অনেক পছন্দ করেন। আসলে এ সব অভ্যাস পাকস্থলীর জন্য অনেক ক্ষতিকর।

আমি নিজের একটি উদাহরণ দিতে পারি। আমি সম্প্রতি একটি সন্ধ্যায় ঘুমানোর আগে, ঠান্ডা সবুজ চা পান করেছি। এরপর কয়েক দিন ধরে পাকস্থলীতে ব্যথা হয়েছিল। এ কয়েক দিনে আমি অনেক আদা সুপ, মধু ও পরিজ খেয়েছি। এরপর আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠেছি। এজন্য আমাদের খাবার বা খাওয়ার অভ্যাসের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। 

 ভাই, আপনার এমন অভিজ্ঞতা আছে? পাকস্থলী রক্ষায় আপনি আমাদের বন্ধুদের কি কি পরামর্শ দিতে চান?

তৌহিদ:...

আমি পাকস্থলীর একটি অসুখের কথা বলি।

গ্যাস্ট্রোপেরেসিস মানে হলো পাকস্থলীর প্যারালাইসিস বা স্থবির হওয়ার মতো একটি অবস্থা। সহজ ভাষায় বলতে গেলে গ্যাস্ট্রোপেরেসিস হলে পাকস্থলীর খাবার হজমের পরবর্তী প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্রান্ত্রে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়ে যায়। কারণ, পাকস্থলী তার মধ্যকার খাবার সময়মতো পরিপাকতন্ত্রের পরবর্তী অংশ ডিউডেনামে ঠেলে দিতে পারে না।

আমাদের শরীরের স্নায়ুতন্ত্রে ভেগাস নার্ভ নামে একটি স্নায়ু আছে, যেটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এমনটি হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিসের কারণে অটোনমিক নিউরোপ্যাথি হয়ে ভেগাস নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তা ছাড়া পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্রের কোনো অপারেশনের সময়ও ভেগাস নার্ভের ক্ষতি হতে পারে। কিছু রোগের কারণেও গ্যাস্ট্রোপেরেসিস হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধ এর জন্য দায়ী হয়ে থাকে।

ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব, বমি, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা, অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স, স্বাস্থ্যহানি, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে এর কারণে। সামান্য কিছু খেলেই পেট ভরা লাগে, সহজে আর খেতে ইচ্ছা করে না।

এর চিকিৎসা কী

গ্যাস্ট্রোপেরেসিসের কারণে পানিশূন্যতা, অপুষ্টি, অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়াল ওভার গ্রোথ ইত্যাদি হতে পারে। তা ছাড়া কিছু নির্দিষ্ট খাবার দীর্ঘদিন জমতে জমতে শক্ত চাকা হয়ে যেতে পারে, যেটাকে মেডিকেলের ভাষায় বিজোয়ার বলা হয়ে থাকে। এটি বের করতে অনেক সময় সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।(আকাশ/তৌহিদ)