চীনের জাতীয় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা প্রসঙ্গ
2023-05-08 16:04:30

চীনে বয়স্ক লোকের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এক জরিপ অনুসারে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত চীনে ৬০ বছর বয়সের চেয়ে বেশি বয়সী প্রবীণের সংখ্যা ছিল ২৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি, যা দেশের মোট লোকসংখ্যার ১৮.৯ শতাংশ। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩৫ সালে চীনে ৬০ বছর বয়সের উপরের প্রবীণের সংখ্যা ৪০ কোটি ছাঁড়িয়ে যাবে, যা হবে দেশের মোট লোকসংখ্যার ৩০ শতাংশ।

ক্রমবর্ধমান প্রবীণদের সুখী অবসর জীবন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাদের চিকিত্সা, দেখাশোনা, আর পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন পরিষেবা থাকা তাই জরুরি। প্রবীণদের পড়াশোনার চাহিদা মেটাতে, চীনের বিভিন্ন প্রদেশে প্রবীণদের জন্য বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে ও হচ্ছে। চলতি বছরের ৩ মার্চ চীনে জাতীয় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে চীনের বিভিন্ন এলাকার প্রবীণদের জন্য অনলাইন ও অফলাইনের ক্লাস চালু করা হবে; তাদেরকে বিভিন্ন শিক্ষাসম্পদ ও পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করা হবে। এর ফলে প্রবীণরা মজাদার ও সুখী জীবন কাটাতে পারবেন। আজকের আসরে আমরা চীনের জাতীয় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।

 

জাতীয় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চু সিয়াও ছি গত ৩০ বছর ধরে নিজের কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততার মধ্যে কাজ করে গেছেন। অবসর নেওয়ার পর থেকে তিনি হতাশায় ভুগতে থাকেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তিনি জীবনের নতুন মানে খুঁজে পেয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিডিও শুটিং শিখেছেন। এর পর থেকে তিনি নিয়মিত মোবাইল ফোনে তাঁর আশেপাশের বিভিন্ন সুন্দর মুহূর্ত রেকর্ড করতে থাকেন। তাঁর তোলা ভিডিওগুলো ব্যাপক প্রশংসাও পেয়েছেন।

চীনের হ্যপেই প্রদেশের চুওচৌ জেলার বাসিন্দা জনাব চাও তাং পিং সাবওয়ে ও বাসে চড়ে রাজধানী বেইজিংয়ের হাইতিয়ান এলাকার প্রবীণদের স্কুলে পড়াশোনা করতে আসেন। গান গাওয়া তাঁর ছোটবেলার স্বপ্ন। তবে, ছোটবেলায় পরিবারের আর্থিক অবস্থার দুর্বলতার কারণে সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অবসর নেওয়ার পর তিনি ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পান। এখন প্রতিদিন স্কুলে গানের ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে সংগীতের জ্ঞান অর্জন করেন। এটি তাঁর জন্য বেশ উত্সাহব্যঞ্জক ব্যাপার।

চীনে প্রবীণদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তাই, প্রবীণদের অবসর জীবনে পড়াশোনার চাহিদা মেটানো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। চীনের ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিসি’র সম্পাদক চিং ত্য কাং বলেন, চীনে প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতা ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে। তবে, শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা রয়েছে।  গ্রামাঞ্চলে এ খাতে শিক্ষকের অভাব স্পষ্ট। আছে বাজেট সমস্যাও।

এসব সমস্যা মোকাবিলায় ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে চীনের বিভিন্ন এলাকায় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা শুরু হয় এবং বয়স্ক চীনাদের জন্য শিক্ষাসম্পদ ও পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার নির্দেশ দেয় চীন সরকার। চলতি বছরের মার্চ মাসে জাতীয় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় এবং সেটি চীনের শিক্ষাব্যবস্থার আরেকটি উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ।

জানা গেছে, নতুন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয় চীনের ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তিতে প্রবীণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, প্রশিক্ষণ, সামাজিক পরিষেবা ও আন্তর্জাতিক বিনিময়ে ভুমিকা পালন করবে। এর সঙ্গে সঙ্গে চীনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রবীণদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষাসম্পদ সরবরাহ, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট পরামর্শ প্রদান, ও গণপরিষেবা দেবে। আর এর উদ্দেশ্য, গোটা চীনে প্রবীণদের শিক্ষা পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা।

৬৩ বছর বয়সী চাং লি সিয়া কুয়াংচৌ শহরের ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। মার্চ মাসে তিনি অনলাইনে ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্লাউড ক্লাস’ নিবন্ধনের তথ্য দেখে আবেদনপত্র জমা দেন। অবসর সময়ে তিনি গান গাওয়া ও সংগীত তত্ত্বজ্ঞান শেখার ক্লাস বেছে নিয়েছেন। অনলাইন ক্লাসের সময় নমনীয়, তাই বাসায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তিনি ক্লাসে যোগ দিতে পারেন এবং ক্লাসের ভিডিও বারবার দেখতে পারেন। তা ছাড়া, স্কুল প্রবীণ শিক্ষার্থীদের জন্য অফলাইনের বিনিময় অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছে। এভাবে শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি শেখার অনুভূতিও একে অপরের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

চীনের ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ও অফলাইন অনুষ্ঠান ব্যাপক শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করেছে। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ বিভিন্ন প্রাদেশিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা বিভাগে পরিণত হয়। বিভিন্ন মৌলিক স্তরে প্রবীণদের শিক্ষা সংস্থার মোট সংখ্যা ৫৫ হাজারেরও বেশি।

তা ছাড়া, চীনের ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে, প্রবীণদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোতে, প্রবীণদের শিক্ষা পরিষেবার জাতীয় প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়েছে। এতে বিভিন্ন ধরনের ক্লাসের ভিডিও বা ওডিও অনুষ্ঠান প্রায় ৪০ লাখ মিনিটে দাঁড়িয়েছে এবং প্রবীণদের ক্লাসের ডেটাবেস তৈরি হয়েছে। ক্লাসের বিষয়ও অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। সেমিস্টার ব্যবস্থায় প্রবীণদের জন্য ‘স্মার্ট ফোন ব্যবহার’, ‘চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি’, ‘শরীর স্বাস্থ্য রক্ষা’সহ বিভিন্ন ধরনের ক্লাস চালু হয়েছে।

এ সম্পর্কে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষার্থীরা বলেন, বয়সের কারণে চাকরি থেকে অবসর নিলেও, জানার আগ্রহ ও সৌন্দর্যের প্রতি ভালোবাসা যুবকদের চেয়ে তাদের কম নয়। প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মাধ্যমে আরও বেশি দক্ষতা ও নতুন জ্ঞান অর্জন করা তাদের জন্য সহজতর হয়েছে। কেউ কেউ নিজেদের ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পেয়েছেন।

অনেক প্রবীণ বলেছেন, বাড়ির কাছাকাছি গুণগত মানসম্পন্ন  শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ থাকলে আরও ভালো। শিক্ষার বিষয়বস্তু আরও মজাদার ও আকর্ষণীয় হওয়াও জরুরি।

এ সম্পর্কে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, চীনের বিভিন্ন এলাকায় গুণগত মানসম্পন্ন প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা অনেক চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তার জন্য আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার ও শিক্ষাদান প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। এই পার্থক্য কমিয়ে আনতে হবে। তা ছাড়া, বিভিন্ন সম্পদ বন্টনের ব্যাপারে বিভিন্ন সরকারি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় থাকাও জরুরি। কোনো কোনো প্রবীণ হাইটেক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুর্বল। আবার অনলাইনে শিক্ষাদান কর্মসূচিও যথেষ্ট নয়। শিক্ষা পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার সহজতর করার জন্য আরও কাজ করা জরুরি। যারা অফলাইনের ক্লাসে যোগ দেন, তাদের জন্য স্মার্ট সাদা বোর্ড আর সুবিধাজনক টয়লেটের ব্যবস্থা করা জরুরি, যাতে তাদের স্কুলে পড়াশোনার একটি আরামদায়ক ও নিরাপদ পরিবেশ প্রদান করা যায়।

বর্তমানে lndx.edu.cn ঠিকানায় ক্লিক করে বা মোবাইল ফোন থেকে সংশ্লিষ্ট এপিপি ডাউনলোড করে জাতীয় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়া যায় এবং নিবন্ধনের পর অনলাইন বা অফলাইনের ক্লাসে যোগ দেওয়া যায়। এতে প্রবীণরা আগের চেয়ে সহজে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাসে ভর্তি হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।

 

রক্তের লিপিড পরীক্ষা চীনা ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত

সম্প্রতি ‘চীনের রক্তের লিপিড প্রশাসন নির্দেশনা, ২০২৩’ প্রকাশিত হয়েছে। ৭ বছর আগে প্রকাশিত নির্দেশনার সাথে এর ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। নতুন নির্দেশনায় রক্তের লিপিড পরীক্ষা চীনা ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং সেটি প্রাথমিক স্কুল থেকে উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য।

প্রশ্ন হচ্ছে: কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? অনেকের ধারণা, হাইপারলিপিডেমিয়া বয়স্ক লোকদের রোগ, এটি বাচ্চাদের সাথে সম্পর্কিত কোনো রোগ নয়। তবে, বাস্তবতা একটু অন্যরকম।

চীনাদের জীবনমান আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। এখন বিভিন্ন ধরনের খাবার সহজে পাওয়া যায়। তাই বাচ্চাদের দৈনিক খাবারের মধ্যে মাংস, চিনি তথা লিপিডসমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশিই থাকে। এটা সমস্যা নয়, যদি বাচ্চারা নিয়মিত খেলাধুলা বা শরীরচর্চা করে। তা না হলে, বাচ্চারাও হাইপারলিপিডেমিয়া রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

পরিসংখ্যান অনুসারে, চীনে ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের বাচ্চার সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ এবং ৬ বছরের নিচে মোটা বাচ্চার সংখ্যা ১০ শতাংশেরও বেশি। ২০১৭ সালে বেইজিংয়ে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে হাইপারলিপিডেমিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ শতাংশ; আর রক্তে লিপিড বেশি থাকা বাচ্চার সংখ্যা প্রায় ২০.৩ শতাংশ।

২০২১ সালে চীনের থিয়ানচিন মহানগরে ৭২ হাজার কিন্টারগার্ডনের বাচ্চা আর ৯১ হাজার প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীর রক্তের লিপিড পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে কিন্টারগার্ডনে মোটা বাচ্চার সংখ্যা ছিল ১১.১ শতাংশ, যাদের মধ্যে ৭.৪ শতাংশ বাচ্চার রক্তে লিপিডের পরিমাণ ছিল অস্বাভাবিক। অন্যদিকে, প্রাথমিক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর বাচ্চাদের মধ্যে স্থুল বাচ্চার সংখ্যা ছিল ২১.৪ শতাংশ, যাদের ১৩.৫ শতাংশের রক্তে লিপিডের পরিমাণ ছিল অস্বাভাবিক।

বোঝা যাচ্ছে, শিশুদের রক্তে লিপিডের পরিমাণ জানাটা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নতুন নির্দেশনা অনুসারে, খাবার আইটেমের সংখ্যা বেশি, শরীরচর্চার সময় কমে যাওয়া এবং বিভিন্ন খারাপ অভ্যাসের কারণে চীনা শিশুদের রক্তে লিপিডের অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছে এবং এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। আবার অনেক বাচ্চা দেখতে মোটা নয়, তবে তাদের রক্তে লিপিডের পরিমাণও স্বাভাবিক নয়। এটা জিনগত সমস্যা হতে পারে। এমনি এক পরিস্থিতিতে, চীনা ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত রক্তের লিপিড পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালে প্রকাশিত নির্দেশনায় ভারসাম্যপূর্ণ খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে: খাবারে কম তেল ও চিনি দিতে হবে; একবারে অনেক বেশি না-খাওয়া উচিত; একদিনে নিয়ম করে তিন বার খাওয়া উচিত; প্রতিদিন যথেষ্ঠ পরিমাণ পানি ও দুধ খেতে হবে; চিনিসহ পানীয় বা বেশি লবণ, চিনি ও তেলযুক্ত খাবার কম খাওয়া ভালো; ইত্যাদি।

তা ছাড়া, প্রতিদিন ৬০ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে; মদ খাওয়া যাবে না; টেবিলে বসে থাকার সময় ২ ঘন্টার চেয়ে কম হওয়া ভালো; রাতে দেরি করে ঘুমানো যাবে না; পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। বস্তুত, পরিবার ও স্কুলের যৌথ প্রচেষ্টায় বাচ্চাদের স্বাস্থ্য রক্ষা করা সম্ভব।

(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)