‘সমুদ্র, আমার জন্মস্থান’
2023-04-26 15:28:55

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চেং সুই লান-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো এবং তাঁর কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনাবো।

চেং সুই লান, ১৯৫৮ সালের ২০ জুলাই চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি ওরিয়েন্টাল গান এবং ডান্স ট্রুপে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে তিনি থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স ও মালয়েশিয়ায় গিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লোকসংগীত শিখেন। ১৯৮৭ সালে তিনি চীনের শ্রেষ্ঠ দশ জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর মর্যাদা পান।

বন্ধুরা, এখন শুনুন চেং সুই লানের গান ‘সমুদ্র, আমার জন্মস্থান’। গানের কথাগুলো এমন: ছোটবেলায় আমার মা আমাকে বলেছিলেন, সমুদ্র আমার জন্মস্থান। সমুদ্রের পাশে জন্মগ্রহণ করেছি, সমুদ্রে বড় হয়েছি। সমুদ্র, সমুদ্র, আমার জীনবযাপনের জায়গা। সমুদ্রের বাতাস বয়ে আসে, সমুদ্রের ঢেউ নড়ে। আমার সঙ্গে চার দিকে ঘুরে যায়। সমুদ্র, সমুদ্র, আমার মা-এর মত, সবখানে ভ্রমণ করলেও সবসময় আমার পাশে আছে।

আচ্ছা, বন্ধুরা, শুনুন এই সুন্দর গানটি।

 

বন্ধুরা, এখন শুনুন সেং সুই লানের কণ্ঠে ‘প্রজাপতিতে পরিণত হওয়া’ নামের গানটি। গানের কথায় বলা হয়, সবুজ ঘাসে, সুন্দর ফুল ফোটে, রঙিন প্রজাপতি দুটি ফুলের মাঝে থাকে। প্রাচীনকাল থেকে প্রজাপতির রূপকথা আছে, ছেলে শান বো চিরদিন মেয়ে ইং থাইকে ভালোবাসে। সহপাঠী হিসেবে তিন বছর সময় কাটায়, দু’জনের মধ্যে কোনো গোপনীয়তা নেই। কে জানে, সে ভবন থেকে বিদায় নিলে আর দেখা করা যায় না। দু’জন প্রজাপতিতে পরিণত হয়, আর কেউ তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে না।

আচ্ছা, শুনুন এই রোম্যান্টিক গানটি।

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এখন শুনুন চেং সুই লানের গান ‘ই মেং পাহাড়ের সুর’। গানের প্রেক্ষাপট এমন, ১৯৪০ সালে চীনে জাপানি আগ্রাসনবিরোধী যুদ্ধের সবচেয়ে কঠিন সময় চলছিল। তখন চীনের শান তুং প্রদেশের ই মেং এলাকায় জাপানি আগ্রাসনবিরোধী ঘাঁটি মাত্র স্থাপন করা হয়। জাপানি বাহিনী সেখানে হামলা চালায়। স্থানীয় লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাপানি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং লাল ফৌজকে সমর্থন দেয়। আর সেনাদের উত্সাহিত করার জন্য ই মেং পাহাড়ের সুর নামে এই গানটি রচিত হয়েছে।

আচ্ছা, শুনুন এই গানটি।

প্রিয় বন্ধুরা, সুন্দর গান শুনতে শুনতে অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে চলে এলাম, তবে বিদায় নেওয়ার আগে আপনাদের শোনাবো চেং সুই লানের গাওয়া আরেকটি গান, গানের নাম ‘সূর্য দ্বীপে’। আশা করি গানটি আপনাদের ভালো লাগবে।

 

শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চেং সুই লান-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তাঁর কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।

(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)