এপ্রিল ২৫: চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (সোমবার) বেইজিংয়ে চীনা গণমহাভবনে ৭০ জন বিদেশী রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে প্রমাণপত্র গ্রহণ করেন।
এপ্রিল মাসে বেইজিংয়ে বসন্তের হাওয়া উষ্ণ ও সবকিছু জ্বলজ্বল করছে। মোটরসাইকেল দলের এসকর্টের অধীনে রাষ্ট্রদূতরা একের পর এক গণমহাভবনের উত্তর প্রবেশপথে উপস্থিত হন।
(রে ১)
গণমহাভবনে সি চিন পিং পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রদূতদের উপস্থাপিত প্রমাণপত্র গ্রহণ করেন এবং তাঁদের সাথে একের পর এক ছবি তোলেন। এসব রাষ্ট্রদূত মঙ্গোলিয়া, গায়ানা, বার্বাডোজ, এল সালভাদর, অস্ট্রিয়া, আইসল্যান্ড, মেক্সিকো, ফিনল্যান্ড, মোনাকো, সেশেলস, ঘানা, বাহরাইন, কমোরোস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, মালাউই, আলজেরিয়া, সার্বিয়া, উজবেকিস্তান, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, কিরিবাতি, ইয়েমেন, কাজাখস্তান, নাইজার, জার্মান, সামোয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়ার, নেপাল, সেনেগাল, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ব্রাজিল, উগান্ডা, দক্ষিণ সুদান, সাইপ্রাস, লেসোথো, সুইজারল্যান্ড, বাহামাস, এস্তোনিয়া, মিশর, সুদান, রাশিয়া, বতসোয়ানা, বাংলাদেশের, কিরগিজস্তান, স্লোভাকিয়া, নিউজল্যান্ড, মিয়ানমার, গ্রিস, কেপ ভার্দে, গিনি, মাল্টা, চিলি, সুরিনাম, ফিলিপিন্স, কলম্বিয়া, ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, পেরু, তুর্কিয়ে, ভানুয়াতু, বুরুন্ডি, চাদ, সান মারিনো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। এ ছাড়া, সি চিন পিং শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার মহাসচিব চাং মিংয়ের সঙ্গেও এক সাক্ষাতে মিলিত হন।
প্রমাণপত্র উপস্থাপনের অনুষ্ঠানের পর সি চিন পিং বেইজিং হলে রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি রাষ্ট্রদূতদের তাদের নিজ নিজ দেশ, সংগঠনের নেতা এবং জনগণকে তাঁর শুভেচ্ছা জানাতে বলেন। তিনি বলেন, চীন পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মৈত্রীর সম্পর্ক আরও গভীর করতে এবং অন্যান্য দেশের জনগণের সাথে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে ইচ্ছুক। তিনি আশা করেন, রাষ্ট্রদূতদের চীন সম্পর্কে একটি ব্যাপক ও গভীর বোঝাপড়া থাকবে এবং মৈত্রীর দূত ও সহযোগিতার সেতু হিসাবে তাঁরা কাজ করবেন। চীন সরকার রাষ্ট্রদূতদেরকে সবধরনের সমর্থন ও সুবিধা সরবরাহ করবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন,
“গত তিন বছরে, চীন জনগণ ও জীবনকে প্রথমে স্থানে রেখেছে এবং মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি অসাধারণ যাত্রা সম্পন্ন করেছে। এ প্রক্রিয়ায় অনেক দেশ ও জনগণ চীনকে আন্তরিক সহায়তা দিয়েছে। আমরাও বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করে বিশ্বের মহামারী প্রতিরোধকাজকে সমর্থন করেছি। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মানবজাতির অভিন্ন স্বাস্থ্যের সমাজের ধারণা বাস্তবায়ন করছি। চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে, বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের মৌলিক নীতি মেনে চলতে, এবং নিজের উন্নয়ন দিয়ে বিশ্বের জন্য আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, চীন আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে ‘বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রস্তাব’, ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রস্তাব’ ও ‘বৈশ্বিক সভ্যতা প্রস্তাব’ বাস্তবায়ন করতে চায় এবং যৌথভাবে বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কাজ ত্বরান্বিত করতে আগ্রহী। (ছাই/আলিম)