রোববারের আলাপন- ‘ট্রেনে চড়ে ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করব!’- চলতি বছর সান সি প্রদেশের খেলাধুলা বিশেষ ট্রেন রওনা
2023-04-23 06:36:36

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি তৌহিদ এবং আকাশ।


তৌহিদ ভাই, আপনি সম্প্রতি প্রথমবার বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক পার্কে গিয়েছেন। তাইনা? সেখানে কেমন লেগেছে? আমাদের ভাইবোনদের কিছু বলতে পারবেন কি?

তৌহিদ:...

বন্ধুরা, চীনে এখন বসন্তকালে, আবহাওয়া আর ঠান্ডা নেই। পার্কেও অনেক সবুজ পাতা ও ফুল দেখা যায়। ভাই, বেইজিংয়ে সুন্দর মৌসুমে আপনার কিছু ভালো স্মৃতি আমাদের বলতে পারবেন কি?

তৌহিদ:... 

সংগীত


৮ এপ্রিল বিকালে ২টা ২৬ মিনিটে ৩৫০জন দৌড়বিদকে নিয়ে T4243 ট্রেন সি আন ট্রেন স্টেশন থেকে রওয়ানা হয়। ট্রেনটির গন্তব্য ছিল ইয়াং লিং। সেখানে ৯ এপ্রিল ইয়াং লিং ম্যারাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। ওই ট্রেন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জন্য বিশেষ ভাবে চালু করা হয়। যা সান সি প্রদেশের এ বছরের প্রথম খেলাধুলার জন্য চালানো বিশেষ ট্রেন।


জানা গেছে, দৌড়বিদ স্বাগত জানানোর জন্য, যখন তারা সি আনে ফিরে যান, ট্রেনের টিকিট নিয়ে কিছু কিছু পর্যটন স্থলের টিকিটের দাম ছাড় দেওয়ার নীতি উপভোগ করতে পারবেন।


ভাই, চীন ভ্রমণের জন্য ট্রেন একটি ভাল পদ্ধতি। যা অনেক আরামদায়ক ও দ্রুতগতির। আপনার চীনের ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের কিছু বলতে পারবেন?

তৌহিদ:...


ভাই, তবে ‘ম্যারাথন ট্রেনের’ কথাও আমি প্রথম শুনেছি। আশা করি এসব ব্যবস্থা দৌড়বিদের জন্য সুবিধা দিতে পারে। পাশাপাশি ম্যারাথন সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই। আপনি নিজের শরীর ও ব্যায়ামের অবস্থার ভিত্তিতে শরীরচর্চা করুন।যদি আপনি কখনওই না দৌড়ান, তাহলে শুরুতে আপনি প্রথমে ১ বা ২ কিলোমিটারের হাঁটাহাঁটি করেন, তারপর নিয়মিত হবার পর, আপনি ১ কিলোমিটার ধীরে দৌড়াতে পারবেন। যদি আপনি নিয়মিত দৌড়ান, তাহলে, ৩-৫ কিলোমিটার দৌড়ানো শরীরের জন্য অনেক আরামদায়ক। যদি আপনি একজন মধ্যম মানের দৌড়বিদ হন, যেমন আপনি নিয়মিত ৫ কিলোমিটার দৌড়াতে পারেন, তাহলে আপনি ১০ কিলোমিটার দৌড় দেবেন। কিন্তু আপনি প্রতিদিন ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে পারবেন না। ১০ কিলোমিটার চেয়ে আরো লম্বা দূরত্বের দৌড়ানোর বিষয়ে আপনি আরো সাবধান হতে পারেন। আমার ধারণায় ১০ কিলোমিটারের কম দৌড় শরীরের জন্য সবচেয়ে ভাল। ভাই, এবিষয়ে আপনি কিছু পরামর্শ দেবেন?

তৌহিদ:...


নিয়মিত দৌড়ানো এবং ব্যায়াম করা ওষুধের চেয়ে বেশি উপকারী। নিয়মিত দৌড়ালে যত উপকারীতা পাওয়া যায়, কোন ওষধ খেলে তত উপকারীতা পাওয়া যাবে না। একটা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাত্র ৩০ মিনিট দৌড়ালেই আপনার বিষণ্ণতা যত বেশিই হোক না কেনো কমবে। আপনাকে খুব জোড়ে দৌড়াতে হবে না। হাঁটার চেয়ে একটু জোড়ে দৌড়ালেই হবে। ২০১৩ সালে করা আরেকটা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিষণ্ণতা ভালো করার জন্য দৌড়ানো, ঔষধের মতো কাজ করে। বিষণ্ণতার পাশাপাশি দৌড়ানো দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপও কমাতে পারে। ২০১২ সালে করা একটা গবেষণায় দেখা গিয়েছে দৌড়ানো শেষ হওয়ার পরেও দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কম থাকে। ২০১২ সালে করা আরেকটা গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতি সপ্তাহে তিন বার ৩০ মিনিট দৌড়ালে ঘুমের মান এবং মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

দৌড় শুরুর আগে ওয়ার্ম আপ করে নিন- শুরুতেই দৌড়নো শুরু না করে, তার আগে শরীর একটু গরম করে নিলে পেশি ও টিস্যুতে রক্ত চলাচল সচল থাকে। এর জন্য দৌড়তে যাওয়ার আগে অল্প ব্যায়াম করে নিলে ভালো।


মাঝে বিরতি নিন- দৌড়ে খুব হাঁপিয়ে গেলে মাঝে মাঝে ছোট ছোট বিরতি নেওয়া ভালো। এতে দৌড়ের জন্য যে স্ট্রেস তৈরি হয়, সেটা কমে যায়। পাশাপাশি আবারও শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে যায়। যদি কেউ বিরতি নিতে না চান, তা হলে তিনি গতি কমাতে পারেন। দৌড়ের গতি কমালেও হাঁপিয়ে যাওয়ার সমস্যা ঠিক হয়ে যায়।


শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম - শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়মিত ব্যায়াম শর্টনেস অফ ব্রেথ অর্থাৎ হাঁপিয়ে যাওয়ার সমস্যা কমায়। এর ফলে ফুসফুস ও হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সব চেয়ে সোজা হল, নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া, তার পর ১০ সেকেন্ড থেমে গিয়ে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছেড়ে দেওয়া। এই ব্যায়াম নিয়মিত অভ্যাস করলে সহজেই হাঁপিয়ে যাওয়ার সমস্যা কমতে পারে।


চিকিৎসকের পরামর্শ-মাথায় রাখতে হবে, যদি একটুতেই হাঁপিয়ে যাওয়া বা বার বার এই সমস্যা হয়ে থাকে, তা হলে তা ফুসফুস বা হার্টের কোনও সমস্যার জন্য হতে পারে। যা বুঝতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া শরীরে আয়রনের ঘাটতি, অ্যানিমিয়া ও অন্যান্য মেডিকেল ইস্যুর জন্যও শ্বাসের সমস্যা হতে পারে। তাই এমন হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। 


(আকাশ/তৌহিদ)