এপ্রিল ২২: ‘আমার মন চীনকে চায়’। সম্প্রতি ইতালির বৈদেশিক বাণিজ্যিক কমিটির চীনবিষয়ক সমন্বয়কারী গানপাওলো ব্রুনো সিএমজিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাস্তব বিদেশী পুঁজি ব্যবহার হয়েছে ৪০৮৪৫ কোটি ইউয়ান, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৯ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের শুরুতেই তা স্থিতিশীল বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থার সংখ্যা নতুন করে ১০ হাজার বেড়েছে, যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ২৫.৫ শতাংশ বেশি। ‘চীন গমন’ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমের আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, চলতি বছর বিদেশী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চীন সফরে ভিড় করছেন। গত দু’দিনে জার্মান ভক্সওয়াগেন চীনে বিনিয়োগের নতুন পরিকল্পনা করেছে। তারা চীনের আন হুই প্রদেশের হ্য ফেই শহরে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করবে।
বর্তমানে সারা বিশ্বের অর্থনীতি অব্যাহত মন্দায় রয়েছে। ভূরাজনীতির কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে। জাতিসংঘ বাণিজ্য উন্নয়ন পরিষদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৩ সালে আন্তঃদেশীয় বিনিয়োগ অব্যাহতভাবে হ্রাস পাবে। এমন প্রেক্ষাপটেও প্রথম প্রান্তিকে বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীন ভালো করেছে, যা কোনো সহজ ব্যাপার নয়।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা বাজার ও প্রথম বৃহত্তম ইন্টারনেট পাইকারি বাজার হিসেবে চীন বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় কেকের মতো। সম্প্রতি দক্ষিণ চীনে মার্কিন চেম্বার অব কমার্স প্রকাশিত ২০২৩ সালের চীনের ব্যবসা পরিবেশ শ্বেতপত্র থেকে জানা গেছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯০ শতাংশ চীনকে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে গণ্য করেন। আর ৭৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান চলতি বছর চীনে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলেছে। ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং কোম্পানি অলিভার উইম্যান’র ম্যানেজিং পার্টনার বেন সিম্ফেনডোরার বলেন, চীনের বাজারে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হচ্ছে, তাতে বাজারের জনপ্রিয়তা প্রতিফলিত হয়। কোনো প্রতিষ্ঠান এখানে স্থান পেলে তার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি দীর্ঘকালীন উন্নয়নেও সহজ হয়। (রুবি/এনাম/শিশির)