আই ইলিয়াং
2023-04-21 15:58:30

আই ইলিয়াং বা ইভ আই ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ চীনের তাইওয়ান প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাইওয়ানের একজন গায়িকা এবং সঙ্গীত লেখক।

২০০৮ সালে তিনি প্রথম “সুপার আইডল” প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ২০১০ সালে তিনি আবার পঞ্চম “সুপার আইডল”-এ অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। তিনি বহুবার প্রতিযোগিতায় এমভিপি পুরস্কার বিজয়ী হন।

 

২০১২ সালে ইভ প্রথম একক অ্যালবাম “যদি তুমি আমাকে ভালোবাসো” প্রকাশ করেন। অ্যালবাম দিয়ে তাঁকে ২০১৩ সালে গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা নতুন শিল্পী পুরস্কার মনোনয়ন করা হয়। ২০১৩ সালের অগাস্টে তিনি মাইক্রোফিল্ম “দ্যা লাস্ট ওয়ান”-এ অভিনয় করার পাশাপাশি “বি ফ্রি” নামক ভ্রাম্যমাণ সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন। কিছুক্ষণ আগে আপনারা যে “আমি জানি না ভালোবাসা কী জিনিস” গানটি শুনেছেন, সেটা পাশাপাশি টিভি নাটক “১৬টি গ্রীষ্মকাল”-এর জন্য গাওয়া গান। একই বছরের অক্টোবরে তিনি দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের নাম “বড় মানুষের প্রেমের গান”। অ্যালবামের প্রথম দফা প্রধান গান “অত্যাধুনিক খেলা” ৮ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়।

২০১৬ সালের মে মাসে ইভ তাঁর তৃতীয় অ্যালবাম “ইভ সম্পর্কে কথা বলা” প্রকাশ করেন। ২০১৭ সালে অ্যালবাম দিয়ে তিনি ২৮তম গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা ম্যান্ডারিন অ্যালবাম, সেরা বছরের গান, সেরা লিরিক্স ও সেরা সুরকারসহ ৭টি মনোনয়ন অর্জন করেন এবং সেরা ম্যান্ডারিন গায়িকা পুরস্কার জিতেন। ইভ “ভালোবাসা” এবং “পলায়ন” অ্যালবামের প্রতিপাদ্য হিসেবে রাখেন। তিনি অ্যালবামের মাধ্যমে শ্রোতাদের মধ্যে দৈর্ঘ্য কমিয়ে তাদের সঙ্গে প্রেম এবং জীবনযাপনে সবকিছু নিয়ে আলোচনা ও ভাগাভাগি করার প্রত্যাশা করেন। 

 

২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর ইভ তাঁর চতুর্থ অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অ্যালবাম ২০১৮ হিট এফএম পুরস্কার অনুষ্ঠানে বছরের দশটি অ্যালবাম পুরস্কার জিতে। তিনি অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত “চির তরুণ” গানটি দিয়ে ৩০তম গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা সুরকারের পুরস্কার জিতেন। অ্যালবামটি হলো শোবিজে প্রবেশ করার পর তাঁর প্রথম সম্পূর্ণ সৃষ্ট অ্যালবাম। দশটি গানের লিরিক্স ও সঙ্গীত তাঁর নিজের সৃষ্টি। অ্যালবামে আগের প্রতি অনিচ্ছা, ভবিষ্যতের প্রতি প্রত্যাশা এবং বর্তমানের প্রতি ভয় ও লালন। এগুলি সবই সময়ের প্রতি ইভের পর্যবেক্ষণ। গানটিতে  জীবনের প্রতি ইভের চিন্তা-ধারণার প্রতিফলন হয়। সুতরাং অবশ্যই অ্যালবামের প্রধান গানে পরিণত হয়েছে এটি।

 

 (প্রেমা/এনাম)