বেসরকারী অর্থনীতিকে কেন গুরুত্ব দিচ্ছেন সি চিন পিং?
2023-04-20 14:09:34

রুবি: এনাম, আপনি কি ক্যান্টন ফেয়ার সম্পর্কে জানেন?

 

এনাম: অবশ্যই। ক্যান্টন ফেয়ারের সঙ্গে আমি অনেক পরিচিত।

 

প্রথমত, কুয়াং তোং প্রদেশ বাংলাদেশ থেকে অনেক কাছে। সেখানে রয়েছে সরাসরি বিমান ফ্লাইট।

 

দ্বিতীয়ত, ক্যান্টন ফেয়ার অনেক বছর আগে শুরু হয়েছে। তাতে অনেক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেছেন। তাই এ সম্পর্কে আমি কিছুটা অবগত।

 

রুবি: জ্বি, এ মেলা অনেক বাংলাদেশীর কাছে খুবই পরিচিত। আমাদের এক লাইভ অনুষ্ঠানে একজন দর্শক মন্তব্য করেছেন যে তিন বছর আগে তিনি ক্যান্টন ফেয়ারে অংশগ্রহণ করেছেন। এরপর মহামারির কারণে আর আসেননি। আবারও আসতে চান। আমি এখানে তাকে বলতে চাই, গত ১৫ এপ্রিল ১৩৩তম ক্যান্টন ফেয়ার আবারও অফলাইনে শুরু হয়েছে। আমার ওই বন্ধু তাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

 

এনাম: তাহলে অবশ্যই তিনি খুশি হবেন। হয়ত তিনি ইতোমধ্যে মেলাতেই রয়েছেন। এ মেলার চমক কি?

রুবি: এবার মেলাকে ‘দুটি বড় এবং একটি বেশি’ শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা যায়। আকারে বড়, প্রদর্শনের আয়তন বড় এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেশি। তিনটি দিক থেকেই মেলা এবার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এখানে আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে: এবারের মেলায় বেসরকারী প্রতিষ্ঠান প্রাধান্য পাচ্ছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এর পরিমাণ ৯০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

 

এনাম: তাই, সত্যি অনেক বেশি। আমি মনে করি, চীনের বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অর্থনীতিতে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, হুয়াওয়ে, জেডি ও ওয়ান তা--সবই বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। আরও কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের তৈরি ইলেক্ট্রনিক হোম যন্ত্রপাতি বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়।

 

রুবি: জ্বি, আমার হোমটাউন টাই চৌতে বেসরকারী অর্থনীতি ৭০ শতাংশ জিডিপি, ৮০ শতাংশ বেশি কর এবং ৯০ শতাংশ বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করেছে। তাতে চীনের বেসরকারী অর্থনীতির প্রাণশক্তি প্রতিফলিত হয়। বেসরকারী অর্থনীতি প্রাণবন্ত হওয়ার কারণ উদঘাটন করতে গেলে বলা যায় যে দেশের সমর্থন এবং সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশের কারণে বেসরকারী অর্থনীতি অনেক চাঙ্গা হয়েছে। চলতি বছরের দুই অধিবেশনের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে ডেমোক্রেটিক কনস্ট্রাকশন অ্যাসোসিয়েশন এবং ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্সের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সময় তাদের আস্থা বৃদ্ধি এবং সাহসী হয়ে উন্নয়নে মনোযোগ দিতে উত্সাহিত করেছেন, যাতে বেসরকারী অর্থনীতির সুস্থ ও গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন সাধিত হয়।

 

এনাম: আমিও উপলব্ধি করেছি, বেসরকারী অর্থনীতির ওপর চীন বেশ গুরুত্ব দেয়। আর আমি জানি যে চীনের অর্থনীতির মূল নীতি হচ্ছে সরকারী ও বেসরকারী অর্থনীতির যৌথ উন্নয়ন।

 

রুবি: জ্বি, এ ক্ষেত্রে চীন দু’টি নীতিতে অটল রয়েছে: সরকারী অর্থনীতি সুসংবদ্ধ ও উন্নয়নে অটল থাকা এবং বেসরকারী অর্থনীতির উন্নয়নে উত্সাহ, সমর্থন ও নেতৃত্বদানে অটল থাকা। চীনের নেতৃবৃন্দ অনেক ইভেন্টে এ দুটি বিষয়ে জোর দিয়েছেন। তাই, কিছু পশ্চিম দেশ মাঝেমধ্যেই অপপ্রচার করে যে চীনের নীতি পরিবর্তিত হয়েছে এবং বেসরকারী অর্থনীতিকে আর সমর্থন দেবে না সরকার। এটি পুরোপুরি গুজব।

 

এনাম: আমার মনে পড়েছে, চলতি বছরের দুই অধিবেশনের সময় সি চিন পিং বলেছেন, বেসরকারী অর্থনীতি সিপিসি’র দীর্ঘকালীন শাসন এবং চীনা জাতির সকলকে নিয়ে চীনের মহান পুনরুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি।

 

রুবি: তাই তিনি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে আরও উচ্চ আকাঙ্ক্ষার কথা বলেছেন। চীন এখন গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করছে। তাই তিনি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকেও গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা এবং সকল চীনাদের অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জন করতে তাদেরকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিন্ন দায়িত্ব পালনের প্রত্যাশার কথা বলেছেন।

এনাম: সরকারের অব্যাহত সমর্থন ও অধিকতর সুষ্ঠু ব্যবসা পরিবেশে চীনের বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি চাঙ্গা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

 

(রুবি/এনাম)