চীনা গায়িকা কুয়ান শু ই
2023-04-20 14:16:45



আজকের অনুষ্ঠানে চীনের হংকংয়ের একজন জনপ্রিয় গায়িকার সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবো, তার নাম কুয়ান শু ই। তিনি তার বিশেষ কণ্ঠ ও গানের শৈলীর জন্য পরিচিত। গত শতাব্দীর ৯০ দশকে তিনি হংকংয়ের অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা ছিলেন। বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা তার কিছু সুন্দর গান শুনবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুনুন কুয়ান শু ই’র একটি সুন্দর গান ‘রাতের বন্দর’।গান ১

 

কুয়ান শু ই ১৯৬৬ সালে হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি হংকংয়ের একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তবে তাতে ব্যর্থ হন। এরপর তিনি ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে দুই বছর কাজ করেছেন। সে সময় তিনি গান গাওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে দেননি। ১৯৮৮ সালে কুয়াং শু ই জাপানে গিয়ে ব্লু মেরিন (BLUE MARINE) সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এবার তিনি চ্যাম্পিয়ন হন। হংকংয়ে ফেরার পর তিনি সংগীত কোম্পানিতে যোগ দিয়ে পেশাদার শিল্পীর জীবন শুরু করেন।গান ২

 

১৯৮৯ সালে কুয়ান শু ই তার প্রথম অ্যালবাম ‘শীতকালীন প্রেম’ প্রকাশ করেন। তখন হংকংয়ের গায়িকা প্রধানত প্রেমের গান গাইতেন। তবে কুয়ান শু ই প্রেমের গান গাওয়ার পাশাপাশি অনেক ‘বিদ্রোহী’ গানও গেয়েছেন। এসব গানে তিনি আরো সরাসরি ও সাহসী পদ্ধতিতে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। এই অ্যালবামের avant-garde সংগীত ও কুয়ান শু ই’র বিশেষ কণ্ঠ দ্রুত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অ্যালবামটির জন্য তিনি সে বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় নতুন গায়িকার পুরস্কার পান। বন্ধুরা, এখন শুনুন এই অ্যালবামে কুয়ান শু ই’র একটি জনপ্রিয় গান ‘বিদ্রোহী ছেলে’।গান ৩

 

সে বছরের শেষে কুয়ান শু ই তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘মূল্যবান প্রেমিক’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামের প্রধান গান ‘মূল্যবান প্রেমিক’ মুক্তির পরই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যা একটি মিষ্টি প্রেমের গান। কুয়ান শু ই’র বিশেষ কণ্ঠে গানটি বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যা পরে কুয়ান শু ই’র সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রতিনিধিত্বকারী গানে পরিণত হয়। বন্ধুরা, এখন শুনুন তার এই সুন্দর গান ‘মূল্যবান প্রেমিক’।গান ৪

 

তিনি জাপানে সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবং জনপ্রিয় হওয়ার জন্য কুয়ান শু ই ক্যান্টোনিজ অ্যালবাম প্রকাশ করার পাশাপাশি জাপানি ভাষার অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন। তিনি সাফল্য অর্জন করেছেন। জাপানি দর্শকদের পছন্দ পূরণ করার জন্য তার জাপানি গানে আরো বেশি জ্যাজ সংগীত উপাদান যোগ করেন। যা তার ক্যান্টোনিজ গানের চেয়েও প্রফুল্ল হয়। বন্ধুরা, এখন শুনুন কুয়ান শু ই’র একটি সুন্দর জাপানি গান ‘তোমাকে মিস করি’।গান ৫

 

কয়েক বছর বিশ্রাম নেওয়ার পর ২০০১ সালে কুয়ান শু ই হংকং থেকে তাইওয়ানে গিয়ে তার সংগীত জীবন পুনরায় শুরু করেন। সে বছর তিনি তার তৃতীয় ম্যান্ডারিন অ্যালবাম ‘শীতের আগুন’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামে তিনি সংগীতের প্রতি তার মনোভাব আবারও তুলে ধরেন। তা হল নিজের গান নিজে প্রকাশ করার জন্য, শুধু নিজের পছন্দের গানই গেয়েছেন তিনি। তাই এই অ্যালবামে শোনা যায় কুয়ান শু ই’র তীব্র ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য। চীনা সংগীত মহলে কুয়ান শু ই’র সংগীত শৈলী হয়তো অনন্য। এটাও তাঁর জনপ্রিয় হওয়ার একটি কারণ। বন্ধুরা, এখন কুয়ান শু ই’র সুন্দর গান ‘শীতের আগুন’।গান ৬

 

অনেক বছর ধরে কুয়াং শু ই অনেকগুলো জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। আর এখন পর্যন্ত তিনি নতুন নতুন গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা একসঙ্গে কুয়ান শু ই’র আরেকটি সুন্দর গান ‘পৃথিবীর শেষে’ শুনবো। আশা করি, আপনারা তার গানগুলো পছন্দ করবেন।গান ৭

 

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়ান।