ফেব্রুয়ারি ১৮: ১৩৩তম চীন আমদানি-রপ্তানি মেলা বা ক্যান্টন ফেয়ার কুয়াং চৌতে চলছে। এতে অনেক নতুন প্রযুক্তি ও পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। চীনের আমদানি ও রপ্তানি মেলা প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছরে, মেলাটির রপ্তানির মোট পরিমাণ ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।এর প্রদর্শনী কাঠামো ও পণ্যের গুনগত মান অব্যাহত উন্নত হচ্ছে। যা অনেক আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
এ বারের আমদানি ও রপ্তানি মেলায়, একটি বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কোট-হ্যাঙার ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বুথের সামনে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। প্রদর্শক লাও পাই ছিয়াং জানান, ২০১৯ সাল চীন আমদানি ও রপ্তানি মেলায় অংশগ্রহণ করার সময় তিনি কিছু ছোট বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এনেছিলেন। বাজারের চাহিদা অনুসারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সেসব পণ্য বেশ উন্নত হয়েছে এবং সুবিধাজনক পণ্যে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন,‘ইউরোপ ও মার্কিন বাজারে, প্রযুক্তিগত পণ্য সবাই পছন্দ করেন। এজন্য তারা নতুন পণ্য চান, যেমন নতুন জ্বালানি-সংক্রান্ত পণ্য।’
এবারের মেলার প্রদর্শকদের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচার ও ব্যক্তিগত উদ্যোক্তা হচ্ছে সবচেয়ে বড় অংশ। অংশগ্রহণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঠামো ও প্রদর্শিত পণ্যের গুণগতমান অব্যাহতভাবে উন্নত করা এ মেলার একটি বৈশিষ্ট্য। যা অনেক ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জনৈক বাংলাদেশি ক্রেতা জানান, “বর্তমানে চীনা প্রযুক্তি উন্নয়নের গতি অনেক বেড়েছে। এ ধরনের বৈদ্যুতিক পণ্যের দেশীয় বাজার অনেক বড়। আমি মনে করি এটি সবচেয়ে ভালো সুযোগ। আমি তা কিনতে চাই। তাতে বাংলাদেশের মানুষ চীনের উচ্চ মানের প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবে। আমাদের দেশের কিছু প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, আরো বেশি বাংলাদেশি চীনের বিভিন্ন খাত সম্পর্কে জানতে পারবে। যেমন ধরুন চীনের পণ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি। আমি এটাও চাই।”
চীন আমদানি ও রপ্তানি মেলার ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ওয়েন চং লিয়াং জানান, চীন আমদানি ও রপ্তানি মেলা হচ্ছে চীনের উন্মুক্তকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ জানালা। যা দেশের বিদেশি বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। চীন আমদানি ও রপ্তানি মেলা সার্বিকভাবে সরাসরি শুরু হয়েছে। এতে দেখা যায় যে, নিজের উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি চীন বিশ্বের কল্যাণও বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছরে, এ মেলাটির রপ্তানি লেনদেনের মোট পরিমাণ ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অনলাইনে ও সরাসরি এ মেলায় অংশগ্রহণকারী বিদেশি ক্রেতাদের মোট পরিমাণ প্রায় এক কোটি। যা চীন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। নতুন যুগে, মেলাটি অব্যাহতভাবে উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণ ও চীন-বিদেশি আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ সেতু হিসেবে কাজ করবে।’
(আকাশ/তৌহিদ)