মাও পু ই- শিয়াও ওয়াং
2023-04-16 20:08:44

এবারের বসন্ত উত্সব গালায় "হ্যালো, স্ট্রেঞ্জার" গানটি অসংখ্য মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে। গায়ক মাও পু ই একজন খুব জনপ্রিয় তরুণ গায়ক। মাও পু ই, যার আসল নাম ওয়াং ওয়েই চিয়া, ১৯৯৪ সালে ১ অক্টোবর হেইলংচিয়াং প্রদেশের ছিছিহার শহরের থাইলাই জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল ভূখণ্ডের একজন পপ গায়ক। তিনি হাংচৌ নর্মাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হন। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব তার প্রথম একক অ্যালবাম "শিয়াও ওয়াং"-এর কয়েকটি গান।

২০১৭ সালে, তিনি টেনসেন্টের ভিডিও অডিশন বিনোদন প্রোগ্রাম "টুমোরোস সন"-এ অংশগ্রহণ করেন এবং জাতীয় ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হন। এইভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনোদনজগতে প্রবেশ ঘটে তাঁর। "শিয়াও ওয়াং" হল গায়ক মাও পু ই-এর দ্বিতীয় মিউজিক অ্যালবাম। এটি ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। অ্যালবামে মোট ১১টি গান রয়েছে। ২০২০ সালের ২৯শে জুন অ্যালবামের "শিয়াও ওয়াং-এর ডায়েরি" গানটি সিনা এন্টারটেইনমেন্ট ফেস্টিভ্যালে সেরা দশটি জনপ্রিয় সঙ্গীতের একটি হিসেবে পুরস্কার জিতেছে।

অ্যালবামের নামটি একই নামের অ্যালবামের "শিয়াও ওয়াং" গান থেকে এসেছে। মাও পু ই আসল নাম ওয়াং ওয়েই চিয়া, তবে তিনি মনে করেন "শিয়াও ওয়াং" নামটি কেবল একটি কোড নাম। শিয়াও ওয়াং তার মতো হৃদয়ে আন্তরিকতা এবং ভালবাসা ভরা যে কোনো যুবক হতে পারে।

দ্বিতীয় একক অ্যালবাম হিসাবে, "শিয়াও ওয়াং"-এর গানগুলো সবই মাও পু ই ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিভিন্ন শোতে অংশ নেওয়ার সময় রচিত। উদ্দেশ্য হল এই অ্যালবামের মাধ্যমে তাঁর কাছে সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো ফিরে দেখা এবং খুঁজে বের করা।

"দুই শূন্য তিন" গানটি মাও পু ই প্রথম গেয়েছিলেন ২০১৭ সালের ১৯ আগস্ট। এটি ছিল "দা ফার্স্ট সিজন অফ টুমরোস সন"-এ তার অংশগ্রহণের সময় রচিত গান। তখন তিনি প্রথমবার জনসাধারণের দৃষ্টিতে আসেন। গানটি তিনি একটি কুঁড়েঘরের জন্য লিখেছিলেন। তিনি একসময় ২০৩ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। সেখানে তার জীবনের চিহ্ন রয়েছে এবং সেই ছোট শহরে তার চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাও লিপিবদ্ধ আছে।

"এ অংশ পাহাড়ি রাস্তা" গানটি "টুমরোস সন"-এর নবম পর্বে মাও পু ই-এর প্রথম গান। গানটি লেখার সময়, মাও পু ই হাংচৌতে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। গানের কথায় হাংচৌ শহরের অনেকগুলো চিহ্ন রয়েছে। যেমন, কালো পাথরের রাস্তা, ঝরে পড়া ফুল, প্রবাহিত জল, ইত্যাদি। সঙ্গীত প্রযোজনায়, প্রযোজক পশ্চিমা বীণা এবং প্রাচ্যের পিপার সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন, যা আধুনিক শহরে বসবাসকারী তরুণদের অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ।

অ্যালবামের শিরোনাম গান "শিয়াও ওয়াং" প্রথম গাওয়া হয়েছিল "আমি একজন গায়ক-সুরকার সিজন ১" এর দ্বিতীয় পর্বে। এই গানটি মাও পু ই একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তে নিজের জন্য লিখেছিলেন, এবং সেই সাথে সকল "লিটল ওয়াং" যারা ছিলেন বা এখনও আছেন তাদের জন্য লিখেছিলেন। এই গানটি তৈরি করার সময়, প্রযোজক মূল সংস্করণটির প্রস্তাবনা এবং সূক্ষ্ম ও মৃদু অনুভূতি অনুসরণ করেছিলেন এবং তারপরে পুরো গানের আবেগের ওপর জোর দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে একটি কোরাস সৃষ্টি করেন।

"রাত্রির কোণ" হল "দা ফার্স্ট সিজন অফ টুমরোস সন"-এর চতুর্দশ পর্বে মাও পু ই-এর কাজ। তার অনেক ছোট-খাটো গান রচনার মধ্যে একটি খুব বিশেষ গান এটি। গানটিতে গিটার ও পিয়ানোর ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।

২০১৭ সালে  "দা ফার্স্ট সিজন অফ টুমরোস সন"-এর মঞ্চে "নান ই স্ট্রিট"-এর আসল নাম ছিল "হু থুং"। এটি সেই রাস্তা ও গলির বর্ণনা দেয় যেখানে  মাও পু ই শৈশবে থাকতেন। এটি মাও পু ই-এর জীবনের স্মৃতি, মধ্যরাতে দেখা স্বপ্ন এবং হোমল্যান্ড নামক জায়গা। মাও পু ই মনে করেন যে, একটি নতুন বছর ও নতুন জীবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময়, স্বপ্নের আসল উদ্দেশ্য ও সূচনাবিন্দু পর্যালোচনা করা আরও বেশি প্রয়োজন।

২০১৯ সালের এপ্রিলে "আমি একজন গায়ক-সুরকার"-এর সময় "নর্থইস্ট ফোক ব্যালাডস" প্রথম গেয়েছিলেন মাও পু ই। যদিও এটি একটি উত্সবের পরিবেশে গাওয়া, মূল আসলে একটি বিব্রতকর প্রেমের গল্প। "নর্থইস্ট ফোক ব্যালাডস" উত্তর-পূর্ব গ্রামাঞ্চলে একটি সামান্য ব্যর্থ প্রেমের গল্প বলে। ছেলেটি কঠোর পরিশ্রম করতে বেরিয়েছিল, যখন মেয়েটি বাড়িতে অপেক্ষা করছিল, এবং অবশেষে সারাজীবন অপেক্ষা করেছিল কিন্তু ছেলেটি আর ফিরে আসেনি।

"আউটরো" একটি বিশেষ কোরাস। পুরো অ্যালবামের শেষের গান এটি। মাও পু ই নিজেই এই গান দ্বারা উত্সাহিত হয়েছিলেন। গানটি একটি দুঃখের গান। আমি আশা করি, অ্যালবামের গানগুলোর সুর ও কথা শ্রোতাদের হৃদয় স্পর্শ করবে। (ইয়াং/আলিম)