রোববারের আলাপন- ১৪তম উহান আন্তর্জাতিক অ্যাক্রোবেটিক্স দিবস উদ্বোধন
2023-04-16 06:36:36

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি তৌহিদ এবং আকাশ।


বন্ধুরা, অনেক বন্ধু এখন বডি বিল্ডিং করেন। বডি বিল্ডিং ও ওজন কমানোর একটি ধারণা আছে, তা হচ্ছে বেশি ডিম, মাংস তথা বেশি প্রোটিন খান, ভাত ও রুটি এধরনের প্রধান খাবার কম খান। এ ধারণা কি ঠিক? আমরা আজ এ নিয়ে কিছু আলপ করব। 


আসলে আমিও অনেক বছর এই পদ্ধতি অনুসারণ করেছি। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আমি চীনা ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি ও ওষুধ বিষয়ে কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করি। এ বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বই আছে, তার নাম হচ্ছে ‘হুয়াং তি নেই চিং’ তথা ‘The Inner Canon of Huangdi’ বা ‘হুয়াংতির অভ্যন্তরীণ নিয়ম’ । এতে বলা হয়, ‘ wu gu wei yang’ । যার অর্থ হলো, সব ধরনের শস্য, যেমন, ভাত, ময়দা, বাজরা, ডাল, হলুদ মটরশুটি ইত্যাদি শরীরের জন্য সবচেয়ে কল্যাণকর। wu মানে পাঁচ, gu মানে শস্য, yang মানে ‘যত্ন নেওয়া ও সমর্থন করা’। এখন এর অর্থ বুঝতে পেরেছেন তৌহিদ ভাই?

তার কারণ হচ্ছে সব শস্য আসলে হচ্ছে গাছের বীজ। গাছের সবচেয়ে বেশি প্রাণশক্তি থাকে তার বীজে। এজন্য বীজ বা শস্য খেলে আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন মৌলিক প্রাণশক্তি উন্নত হতে পারে। তাই বডি-বিল্ডিং ও ওজন কমাতে শুধু মাংস ও ডিম খাওয়া, ভাত না খাওয়া- অবশ্যই ঠিক নয়। এতে শরীরের ক্ষতি হবে। তবে বন্ধুরা, আমি শস্য খাওয়াকে গুরুত্ব দেই, কিন্তু যদি সারা দিনে শুধু বিরিয়ানি খিচুরি- এধরনের ভারী খাবার খান তা মোটেও ঠিক হবে না। ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং তা পরিমতভাবে নিয়মিত খেতে হবে। এভাবেই সার্বিক ভারসাম্যপূর্ণ অগ্রসরের মাধ্যমে ধীরে ধীরে শরীর উন্নত হবে বলে বিশ্বাস করি।


তৌহিদ ভাই, এ বিষয়ে আপনি কি মনে করেন?


সংগীত


সম্প্রতি, ১৪তম উহান আন্তর্জাতিক অ্যাক্রোবেটিক্স দিবস হু পেই প্রদেশের রাজধানী উহানে আয়োজন করা হয়। এতে দেশ বিদেশের শিল্পীরা মোট ২৩টি পরিবেশনা আয়োজন করেন। জার্মানি, ইতালি, হাঙ্গেরি, ব্রাজিল, ইউক্রেনসহ মোট দশটি দেশের শিল্পীরা ১১টি পারফর্মেন্স  করেছেন। চায়না অ্যাক্রোবেটিক্স দলও এতে অংশগ্রহণ করেছে। এ দিবসটির পারফর্মেন্স অনুষ্ঠান আইনলাইনেও উপভোগ করেছেন নেটিজেনরা। 

দিবসটির উপলক্ষ্যে, ‘ঐতিহ্যবাহী অ্যাক্রোবেটিক্সের উদ্ভাবনী উন্নয়ন’ কেন্দ্র্রিক সংশ্লিষ্ট একটি ফোরামও আয়োজিত হয়। পাশাপাশি ‘অ্যাক্রোবেটিক্স বসবাস এলাকা, স্কুল ও গ্রামে প্রবেশ করা’ নামক ধারাবাহিক অ্যাক্রোবেটিক্স পারফরমেন্সও আয়োজন করা হয়। এতে বাসিন্দারা আকর্ষণীয় অ্যাক্রোবেটিক্স উপভোগ করেছেন।


তৌহিদ ভাই, আপনি কি বলতে পারেন, আমি প্রথমে কোথায় অ্যাক্রোবেটিক্স দেখেছি?

তৌহিদ: অবশ্যই বেইজিংয়ে?

--না ভাই, ঢাকায়। 

তৌহিদ: সত্যি?

হ্যাঁ। কারণ চীন সরকরের সাহায্যে বাংলাদেশের কিছু তরুণ চীনের একটি অ্যাক্রোবেটিক্স স্কুলে গিয়েছিল, চীনা অ্যাক্রোবেটিক্স শিল্পীরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তাই আমি প্রথমে ঢাকায় তাদের অ্যাক্রোবেটিক্স উপভোগ করেছিলাম।

তৌহিদ:....


আপনি অ্যাক্রোবেটিক্স বছন্দ করেন? বাংলাদেশে অ্যাক্রোবেটিক্সের অবস্থা কেমন?

তৌহিদ: রুগ্নদশার মধ্য দিয়ে চলছে দেশের একমাত্র অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। দেশীয় সাংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে ২৪ বছর আগে রাজবাড়ীর শ্রীপুর এলাকায় তিন একর জমির উপর সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ও শিল্পকলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠে প্রতিষ্ঠানটি। 


প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কখনো পুরোপুরি বন্ধ আবার কখনো আংশিক সচল থেকে চলছে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি। আর এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা দুর্বিষহ দিন পার করছেন।


তাই এবার প্রতিষ্ঠানটিকে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। এটি একটি পুর্নাঙ্গ প্রদর্শনী কেন্দ্র হবে এমনটিই জানিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।     


সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির সঙ্গে মেলবন্ধনের উদ্দেশ্যে ১৯৯৪ সালে রাজবাড়ীর শ্রীপুরে গড়ে উঠে দেশের একমাত্র অ্যাক্রোবেটিক (সার্কাস) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।


জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের জড় করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয় ৩৭ শিল্পীকে। তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী।


রুগ্নদশার মধ্য দিয়ে চলছে দেশের একমাত্র অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। দেশীয় সাংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে ২৪ বছর আগে রাজবাড়ীর শ্রীপুর এলাকায় তিন একর জমির উপর সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ও শিল্পকলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠে প্রতিষ্ঠানটি। 


প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কখনো পুরোপুরি বন্ধ আবার কখনো আংশিক সচল থেকে চলছে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি। আর এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা দুর্বিষহ দিন পার করছেন।


তাই এবার প্রতিষ্ঠানটিকে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। এটি একটি পুর্নাঙ্গ প্রদর্শনী কেন্দ্র হবে এমনটিই জানিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।     


সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির সঙ্গে মেলবন্ধনের উদ্দেশ্যে ১৯৯৪ সালে রাজবাড়ীর শ্রীপুরে গড়ে উঠে দেশের একমাত্র অ্যাক্রোবেটিক (সার্কাস) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।


জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের জড় করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয় ৩৭ শিল্পীকে। তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী।

 (আকাশ/তৌহিদ)