ম্যালভিনাস দ্বীপপুঞ্জ ইস্যুতে ব্রিটেনের হাবাগোবা ভাব অগ্রহণযোগ্য
2023-04-04 10:45:14

এপ্রিল ৪: স্থানীয় সময় ২ এপ্রিল আর্জেন্টিনার বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন চত্বরে ৪১টি সাদা ফুল নিয়ে গঠিত পুষ্পমাল্য দেখা যায়। এই মালা ম্যালভিনাস দ্বীপপুঞ্জ যুদ্ধের ৪১তম বার্ষিকীর প্রতীক।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দক্ষিণ আমেরিকায় সংঘটিত বৃহত্তম ও তুমুল যুদ্ধ ছিল ৭৪ দিনব্যাপী ম্যালভিনাস দ্বীপপুঞ্জ যুদ্ধ। দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্বের বির্তকের জেরে, ব্রিটেন ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ওই যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে ব্রিটেন জয়ী হয়। তবে, ম্যালভিনাস দ্বীপপুঞ্জের ওপর নিজের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রতিষ্ঠায় আর্জেন্টিনার নিরলস প্রচেষ্টা থেমে নেই। ২ এপ্রিল জাতিসংঘের  কাছে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে ম্যালভিনাস দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্ব তাঁর দেশকে ফিরিয়ে দিতে দাবি জানিয়েছেন এবং এ ইস্যুতে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের হাবাগোবা ভাব পরিত্যাগ করতে বলেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ।

বস্তুত, ১৯৬৫ সালে জাতিসংঘের ২০৬৫ নম্বর প্রস্তাবে এ ইস্যুতে ব্রিটেন ও আর্জেন্টিনাকে আলোচনায় বসতে তাগিদ দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের জি-টোয়েন্টি শীর্ষসম্মেলন চলাকালেও, ম্যালভিনাস দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ব্রিটিশ সরকারকে আলোচনায় বসার আহবান জানায় আর্জেন্টিনা, যা লন্ডন প্রত্যাখ্যান করে।

প্রশ্ন হচ্ছে: কেন ব্রিটেন ম্যালভিনাস দ্বীপপুঞ্জ নিজের দখলে রাখতে চায়? এর কয়েকটি কারণ রয়েছে। এ দ্বীপপুঞ্জের কৌশলগত অবস্থান অতি গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্রিটিশ বাহিনীর দক্ষিণ আটলান্টিকের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। ২০২১ সালে সাড়ে ৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে এখানে নতুন বন্দর নির্মাণ করে ব্রিটেন। এ দ্বীপপুঞ্জের লোকসংখ্যা মাত্র ৩০০০ জন, যাদের মধ্যে ব্রিটিশ সৈন্যের সংখ্যা অর্ধেক। তা ছাড়া, এ দ্বীপপুঞ্জ কয়লা, সীসা, রৌপ্য, লোহা ও প্রাকৃতিক গ্যাসসম্পদে সমৃদ্ধ।

তবে, ঔপনিবেশিক যুগ বদলে গেছে। ব্রিটেনকে এই ইস্যুতে এখন আর হাবাগোবা ভাব নিয়ে থাকলে চলবে না; জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে, আর্জেন্টিনাকে এ দ্বীপপুঞ্জ ফেরত দিতে হবে। কারণ, এই দ্বীপপুঞ্জটি আর্জেন্টিনার। (সুবর্ণা/আলিম/রুবি)