হন্ডুরাস তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আগে কী করেছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ান?
2023-04-01 15:51:49

এপ্রিল ১: গত ৩০ মার্চ হন্ডুরাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে দেশটির প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো শীঘ্রই চীন সফর করবেন। হন্ডুরাসের তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের তথাকথিত ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ ছিন্ন করার পর চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাত্র চার দিন অতিবাহিত হয়েছে।

চীন এবং হন্ডুরাসের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আগে ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল এবং এমনকি যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ান কোনোভাবেই বাস্তবতাকে থামাতে পারবে না এবং তাদের সব প্রচেষ্টা বৃথা যাবে।

দীর্ঘদিন ধরে ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি কর্তৃপক্ষ তথাকথিত ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ বজায় রাখতে ‘সোনা ও ডলারের কূটনীতির’ উপর নির্ভর করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হন্ডুরাসে তাইওয়ানের সাথে জড়িত অনেক ‘সোনা ও ডলারের কূটনীতির’ কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।

২০২১ সালের নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলাকালে কাস্ত্রো প্রস্তাব করেছিলেন যে নির্বাচিত হলে তিনি তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ ছিন্ন করবেন এবং চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবেন। এর পর স্বাধীন তাইওয়ান শক্তি উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং হন্ডুরাসকে একাধিক ‘সোনা ও ডলারের চেক’ প্রদান করে, এমনকি স্থানীয় মিডিয়াকে কিনে নেওয়ার মাধ্যমে চীন ও হন্ডুরাসের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিরোধিতা করার মিথ্যাচার ছড়ায়।

২০২২ সালের ১৫ মার্চ যখন প্রেসিডেন্ট কাস্ত্রো চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন, তখন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রায়ান নিকোলস প্রেসিডেন্টের বিশেষ উপদেষ্টার মর্যাদার পরিচয়ে হন্ডুরাস সফর করেন এবং চীনের সঙ্গে হন্ডুরাসের কূটনৈতিক সম্পর্কের স্থাপনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালান।

হন্ডুরাসের গণমাধ্যম জানায় যে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি রোসা এলেনা বনিলাকে পাবলিক তহবিল আত্মসাতের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যার একটি অংশ তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথাকথিত ‘অনুদান’ থেকে এসেছিল। বাস্তবতা প্রমাণ করেছে যে ‘সোনা ও ডলারের কূটনীতি’  হন্ডুরাসের প্রকৃত উন্নয়ন এবং অগ্রগতি অর্জনে সাহায্য করেনি, তবে ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ বজায় রাখার জন্য উচ্চ-স্তরের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করেছে।

ছাই ইংওয়েন ক্ষমতায় আসার সাত বছরে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের তথাকথিত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী দেশের সংখ্যা ২২টি থেকে দ্রুত গতিতে তেরো-তে নেমে এসেছে এবং লাতিন আমেরিকায় এ সংখ্যা ১২ থেকে সাত-এ সেমে এসেছে। অধিক থেকে অধিকতর দেশ এক-চীন নীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং চীনের পুনর্মিলনকে সমর্থন করছে। এটাই ইতিহাসের প্রবণতা।

লিলি/এনাম/রুবি