চীনের ভূয়সী প্রশংসা করলেন বান কি মুন
2023-04-01 19:07:48

এপ্রিল ১: জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন সম্প্রতি চিনের হাইনান প্রদেশে বোয়াও এশিয়া ফোরামে যোগদানের সময় সিএমজিকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

 

সাক্ষাৎকারে বান কি মুন বলেন, সাড় তিন বছর পর আবারও হাইনান প্রদেশে এসে তিনি খুব আনন্দিত। অফলাইনে  বোয়াও এশিয়া ফোরামের আয়োজন খুব উপযুক্ত। বর্তমানে সারা বিশ্ব বিচ্ছিন্নতা, সংঘর্ষ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সবার উচিত পরবর্তী প্রজন্মকে এসব বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্যের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা।

 

বান কি মুন বলেন,  সারা বিশ্বে রয়েছে ৮০০ কোটির বেশি জনসংখ্যা। যদি কোনো অঞ্চলে কোনো লোক দরিদ্র ও কঠিন জীবন যাত্রা করছে, তাহলে একটি টেকসই বিশ্বের কথা ঘোষণা করা যায় না। টেকসই বিশ্ব মানে চরম দরিদ্র কেউ থাকবে না এবং কেউই প্রতিরোধযোগ্য রোগে মারা যাবে না। তাই সবার উচিত সহযোগিতা চালানো এবং প্রয়োজনীয় সমর্থন দিয়ে যাওয়া।

 

তিনি বলেন, চীন বর্তমানে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।  চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যা হলো বিশ্ব নিরাপত্তা প্রস্তাব, বিশ্ব উন্নয়ন প্রস্তাব এবং বিশ্ব সভ্যতা প্রস্তাব। সে সব প্রস্তাব চীনের উত্থাপিত হলেও বিশ্বমুখী। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা। যার আছে বিশ্ব রাজনীতিতে বাস্তব প্রভাব ও শক্তি।

 

তিনি আরও বলেন, সি চিন পিং’র প্রস্তাবগুলো খুব সুদূরপ্রসারী এবং প্রশংসনীয়। সে সব প্রস্তাব উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বাস্তব সাহায্য দিতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন, যাতে সে সব দেশ ও তাদের প্রজন্মের পর প্রজন্মের মানুষেরা টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে।

 

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্ব মানব জাতির জন্য আর উপযুক্ত নয়। তাই সবার উচিত সময় নষ্ট না করে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালানো। দু’বছর আগে চীন সংশ্লিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা বাস্তবায়ন করবে চীন। তাছাড়া, দূষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের ঘোষণা করেছেন সি চিন পিং। এটি বৃহত্তম উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য এবং তা প্রশংসনীয়।

(রুবি/এনাম)