আজকের ঊর্মির বৈঠকখানায় আমার সাথে যোগ দিচ্ছেন জনাব আসগার আহমেদ। তিনি বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
আসগার আহমেদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে কৃষি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও ২০১০ সালে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ২০১২ সালে “বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট”-এর উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে নবসৃষ্ট “বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট”-এ তাকে ন্যস্ত করা হয়।
চাকরী জীবনের শুরু থেকেই তিনি বিভিন্ন প্রতিকূলতা যেমন- খরা, জলাবদ্ধতা, তাপ, লবণাক্ততা, সহনশীল জাত উন্নয়নের কাজে জড়িত হন। উক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান হতে অবমুক্ত ভুট্টার বেশ কয়েকটি জাতের সাথে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল মধ্যম মাত্রার খরা সহনশীল জাত (বারি হাইব্রিড ভুট্টা ১২ ও ১৩) যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে উচ্চ ফলনশীল খাটো আকৃতির মধ্যম মাত্রার লবণাক্ততা সহনশীল জাত (বারি হাইব্রিড ভুট্টা ১২ ১৬ ও BWMRI হাইব্রিড ভুট্টা ১)। পাশাপাশি বিশেষ গুণ সম্পন্ন ভুট্টা যেমন বেবি কর্ণের ১টি জাত (BWMRI হাইব্রিড বেবি কর্ণ ১) অবমুক্তির সাথে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও তিনি পপ কর্ণ ও মিষ্টি ভুট্টার একাধিক অগ্রবর্তী হাইব্রিড উন্নয়নের সাথে জড়িত ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে যৌথভাবে গবেষণা পরিচালনা করে আসছেন। তার গবেষণালব্ধ বেশকিছু ফলাফল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি ২০২২ সালে চীন সরকারের বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের জন্য নানজিং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তার গবেষণার বিষয় “ফসলের অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি ঊপাদান নাইট্রোজেন গ্রহণ ও আত্তীকরণের সাথে জড়িত ফ্যাক্টর সনাক্ত ও তার উন্নয়নের মাধ্যমে জমিতে নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ সারের ব্যবহার কমিয়ে আনা”। চলুন, কথা বলি তাঁর সাথে।