বেইজিংয়ে তিব্বতের শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আলোচনা
2023-03-31 19:17:51

মার্চ ৩১: সম্প্রতি বেইজিংয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিব্বতের শিক্ষার মান উন্নয়ন নিয়ে ৬০ জনেরও বেশি চীনা ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিজেদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার আলোকে আলোচনা করেন।

বেইজিং মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বতি অধ্যাপক শেরাব নাইমা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, গত শতাব্দির পঞ্চাশের দশকে তিব্বত শান্তিপূর্ণভাবে মুক্ত হওয়ার আগে, স্থানীয় সাধারণ মানুষ বেশিরভাগই দাস ছিল এবং তাদের শিক্ষার কোনো অধিকার ছিল না। তরুণ ও মধ্যবয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নিরক্ষরতার হার ছিল ৯৫ শতাংশ। ষাটের দশকের গণতান্ত্রিক সংস্কারের পর তিব্বত দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয় এবং সাধারণ মানুষ শিক্ষার সুযোগ ও অধিকার পায়। সেই থেকে এ পর্যন্ত তিব্বতে একটি অপেক্ষাকৃত সম্পূর্ণ আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।  এখন দরিদ্র পরিবারের শিশুরাও ন্যায্য ও উচ্চ মানের শিক্ষা পেতে পারে এবং সকল জাতির মানুষের শিক্ষার অধিকারও নিশ্চিত হয়েছে।

মঙ্গোলিয়ার বিজ্ঞান একাডেমির দর্শন ইনস্টিটিউটের ধর্ম গবেষণা বিভাগের প্রধান বাটা মিশিগিশ সেমিনারে বলেন, তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম হল মঙ্গোলিয়ায় তিব্বতসংশ্লিষ্ট অধ্যয়নের মূল বিষয়। তিব্বতি সংস্কৃতির সুরক্ষা ও উন্নয়ন মঙ্গোলিয়ার তিব্বতবিদ্যা গবেষণাকে প্রভাবিত করেছে।

জাপানের কোমাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কাজুও কানো বলেন, তিব্বতে বিদ্যমান সংস্কৃতি আন্তঃসীমান্ত বিনিময়ের ঐতিহাসিক সত্যকে প্রতিফলিত করে।

অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক অধ্যাপক কলিন ম্যাকেরাস নিজের গবেষণার আলোকে বলেন, তিব্বতের শান্তিপূর্ণ স্বাধীনতার পর, চীন যত দ্রুত তিব্বতিদের জন্য একটি আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে, তিব্বতের জনগণের বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক মানকে ব্যাপকভাবে উন্নত করেছে, এবং সেখানে বসবাসকারী সকল জাতিগোষ্ঠীর মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছে। তিব্বত বর্তমানে আধুনিক শিক্ষায় আলোকিত একটি অঞ্চল। (ছাই/আলিম)