বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে চীনের তাইওয়ানের বিখ্যাত গায়ক ও সংগীত প্রযোজক চাং ইয়ু শেংয়ের সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবো। জীবনে তিনি অনেক বেশ জনপ্রিয় গান রচনা করেছেন। তার ‘সংগীত জাদুকরের’ খ্যাতি আছে। চীনা সংগীত মহলে তিনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন গায়ক। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা একসঙ্গে চাং ইয়ু শেংয়ের কিছু সুন্দর গান শুনবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুনুন তার বেশ জনপ্রিয় একটি গান ‘প্রত্যাশা করি’।গান ১
চাং ইয়ু শেং ১৯৬৬ সালে চীনের তাইওয়ানের ফেংহু জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ছোট থেকে তিনি গান গাইতে খুবই পছন্দ করেন পরে নিজে গিটার বাজাতে শিখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় তিনি বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং বন্ধুর সঙ্গে একটি ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৮ সালে চাং ইয়ু শেং তাইওয়ানের প্রথম পপ সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং শ্রেষ্ঠ গায়কের পুরস্কার পান। এরপর শুরু হয়েছে তার পেশাদার সংগীত জীবন। একই বছর ছাং ইয়ু শেং তার প্রথম গান ‘আমার ভবিষ্যত স্বপ্ন নয়’ প্রকাশ করেন। গানটি হল তখনকার একটি পানীয়ের টিভি বিজ্ঞাপনের গান। অপ্রত্যাশিতভাবে গানটি সেই পানীয়ের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। চাং ইয়ু শেংও এই গানের জন্য সবার কাছে পরিচিত হন। বন্ধুরা, এখন চাং ইয়ু শেংয়ের গান ‘আমার ভবিষ্যত স্বপ্ন নয়’ শুনুন।গান ২
১৯৮৮ সালে চাং ইয়ু শেংয়ের প্রথম অ্যালবাম ‘প্রতিদিন তোমাকে মিস করি’ মুক্তি পায়। এই অ্যালবাম সেই সময়ে তাইওয়ানের বিখ্যাত সংগীত প্রযোজক ছেন চি ইউয়ান তৈরি করেন। তিনি পাশ্চাত্য পপ সংগীতের অনেক জনপ্রিয় উপাদন ব্যবহার করেন, যা সেই সময় খুব কঠিন ও Avant-garde। ফলে অ্যালবাম মুক্তি পেতেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে অ্যালবামের প্রধান গান ‘প্রতিদিন তোমাকে মিস করি’। গানটি একটি কোমল প্রেমের গান। চাং ইয়ু শেংয়ের কণ্ঠের আকর্ষণ গানে সম্পূর্ণভাবে ফুটে উঠেছে। যা পরে চাং ইয়ু শেংয়ের প্রতিনিধিত্বকারী গানে পরিণত হয়েছে। বন্ধুরা, এখন এই বেশ জনপ্রিয় গান ‘প্রতিদিন তোমাকে মিস করি’ শুনুন।গান ৩
১৯৮৯ সালে চাং ইয়ু শেং দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘আমাকে মিস করো’ প্রকাশ করেন। আগের অ্যালবামের মত এই অ্যালবামের গান প্রধানত প্রমের গান এবং বেশ জনপ্রিয় হয়। অ্যালবামেরটির জন্য তিনি তাইওয়ানের গোল্ডেন সুর অ্যাওয়ার্ডের শ্রেষ্ঠ গায়কের পুরস্কার পান। এই অ্যালবাম থেকে তিনি নিজ গান রচনা করতে শুরু করেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে গান রচনা ও তৈরি শিখেন। তিনি জীবনের প্রতি তার চিন্তাভাবনা, দর্শন ও সাহিত্য গানে যোগ দেন, সমাজের বিভিন্ন সমস্যার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এর ভিত্তিতে তিনি অ্যালবাম ‘আমাকে চাঁদে নিয়ে যাও’ তৈরি করেন। যা আমেরিকান ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের শ্রেষ্ঠ এশিয়ান অ্যালবামের পুরস্কার পায়। বন্ধুরা এখন শুনুন চাং ইয়ু শেংয়ের জনপ্রিয় গান ‘আমাকে চাঁদে নিয়ে যাও’।গান ৪
১৯৯২ সালে চাং ইয়ু শেং নতুন অ্যালবাম ‘সমুদ্র’ প্রকাশ করেন। এটা তার সংগীত জীবনে সবচেয়ে সাফল্য ও জনপ্রিয় অ্যালবাম, এর বিক্রির পরিমাণ ৬০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অ্যালবামের প্রধান গান ‘সমুদ্র’ চাং ইয়ু শেংয়ের সবচেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় গান। গানটি হল চাং ইয়ু শেং তার মৃত ছোট বোনের জন্য লিখেছেন। গায়কের আবেগপূর্ণ কণ্ঠে গানটি বেশ মনোমুগ্ধকর। বন্ধুরা, এখন চাং ইয়ু শেংয়ের জনপ্রিয় গান ‘সমুদ্র’ শুনুন।গান ৫
১৯৯৫ সালে চাং ইয়ু শেং খুব Avant-garde একটি অ্যালবাম ‘কারাওকে,তাইপেই,আমি’ প্রকাশ করেন। এই অ্যালবামে তিনি রক, ক্লাসিক ইত্যাদি সংগীত শৈলী ব্যবহার করে নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ, ভবঘুরে প্রাণী, নির্যানিত শিশু ইত্যাদি সামাজিক সমস্যায় নজর দেন, আধুনিক শহর উন্নয়নের কিছু অভিন্ন সমস্যা সমালোচনা করেন। অ্যালবামের গানগুলো এখনও বেশ ক্লাসিক ও গভীর। বন্ধুরা, এখন শুনুন চাং ইয়ু শেংয়ের একটি সুন্দর গান ‘সারা দিন সাঁতার কাটার মাছ’।গান ৬
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়ান।