চীনের উচ্চমানের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো আস্থাবান
2023-03-28 15:13:13

মার্চ ২৮: শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বেইজিংয়ে চীনের উন্নয়ন বিষয়ক উচ্চপদস্থ ফোরামের এ বছরের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ফোরামের প্রতিপাদ্য হল ‘অর্থনীতির পুনরুদ্ধার, সুযোগ ও সহযোগিতা’। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের পাঁচশ’ শক্তিশালী কোম্পানির প্রধান চীনের উচ্চমানের উন্নয়নের নতুন সুযোগ নিয়ে খুব আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা চীনের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের প্রত্যাশা করেন।

উন্নয়নের মাধ্যমে উন্মুক্তকরণ জোরদার হচ্ছে। চীন দৃঢ়ভাবে উন্মুক্তকরণ এবং উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। চীনে উন্মুক্তকরণ এবং সহযোগিতার সঙ্গে শিল্প চেইন, সরবরাহ চেইন এবং নিরাপত্তার মান বেড়েছে। চীন বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অবদান রাখছে। জার্মানির মার্সিডিজ-বেঞ্জ গ্রুপ কোম্পানির বোর্ড চেয়ারম্যান ওলা ক্যালেনিয়াস বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু বিশ্বায়ন-বিরোধী প্রবণতা এবং আঞ্চলিক শিল্পনীতি দেখা যাচ্ছে। যা শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন,

আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় চীনের অর্থনীতি লাভবান হয়, আর চীনে পুঁজি বিনিয়োগ করা আন্তঃদেশীয় কোম্পানিও এতে লাভবান হয়। চীন বিশ্বের সরবরাহ চেইনে অংশীদারিত্বের দরজা আরো উন্মুক্ত করায় আমরা তাকে স্বাগত জানাই, আশা করি আরো বেশি চীনা প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সরবরাহ চেইনে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবে। সহযোগিতার মাধ্যমে চীনের অর্থনীতির বিভিন্ন বিভাগ এবং পুরো মূল্য চেইন আরো পরিপক্ব হতে পারবে।

বোস গ্রুপ কোম্পানির বোর্ড চেয়ারম্যান স্টেফান হার্টুং বলেন, চীনের শিল্প ব্যবস্থার অব্যাহত উন্নয়ন, শিল্পের সামর্থ্য অব্যাহতভাবে বাড়ার সঙ্গে নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ি, জ্বালানি, ইলেকট্রনিক বিজ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা উত্পাদন এবং টেকসই উন্নয়নের অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন,

এ কারণে আমরা চীনে পুঁজি বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছি। গত বছর আমরা চিয়াং সু প্রদেশের থাই ছাং-এর নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ির যন্ত্রাংশ কারখানা সম্প্রসারণ করেছি। চলতি বছর আমরা সু চৌ শহরে ৭ বিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগে নতুন উত্পাদন ঘাঁটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছি। গত বছর আমরা শাংহাইয়ে বুদ্ধিমত্তা-সম্পন্ন ড্রাইভিং গবেষণার কেন্দ্রও চালু করেছি। এ বছর কুয়াং চৌ শহরে আমরা আরো একটি গবেষণাগার স্থাপন করবো।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির সিইও প্যাসকেল সোরিওট বলেন, চলতি বছর তাঁর কোম্পানির চীনে প্রবেশের ৩০তম বার্ষিকী। এই ৩০ বছরে চীনে অ্যাস্ট্রাজেনেকার উন্নয়নের কৌশলের পরিবর্তনও ঘটেছে। শুরুর দিকে তা ছিল ‘চীনে উত্পাদন, চীনে বিক্রি’। আর এখন নীতি হলো ‘চীনে উত্পাদন, সারা বিশ্বে বিক্রি’।

তিনি বলেন, আমরা চীনে উত্পাদনের সামর্থ্য বৃদ্ধি করেছি। চীনে তৈরি ওষুধ বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে বিক্রি হয়েছে। বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের খাতে আমরা উপলব্ধি করেছি যে, চীনের শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনের সামর্থ্য আছে। শাংহাইয়ে আমাদের বৈশ্বিক গবেষণাকেন্দ্র আছে। এর মাধ্যমে একদিকে স্থানীয় উদ্ভাবনে সমর্থন করা যায়, অন্যদিকে ‘স্বাস্থ্যকর চীন ২০৩০’ কৌশলে আমাদের সমর্থন আরো জোরদার করা যায়। চীনের উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ নিয়ে আমরা খুব আস্থাবান। আমরা চীনের সঙ্গে অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আশা করি, সবাই বুঝতে পারবে যে চীনে পুঁজি বিনিয়োগ সম্প্রসারণের অসীম সুযোগ  রয়েছে।

টোটাল এনার্জির চেয়ারম্যান ও সিইও প্যাট্রিক পাউয়ানে মনে করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন জ্বালানি উন্নয়ন খাতে চীন বিশ্বের শীর্ষস্থানে রয়েছে। তিনি আশা করেন, নতুন জ্বালানি উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে আরো বেশি সহযোগিতা করা যাবে।

(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)