সাম্প্রতিক বছরগুলোয় থিয়ানচিন শহর নাগরিকদের পাঠের অভ্যাস বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছে। এই চেষ্টার অংশ হিসেবেই থিয়ানচিন টিভি টাওয়ারে সর্বোচ্চ গ্রন্থাগার খোলা হয়েছে। গ্রন্থাগারটি ধীরে ধীরে থিয়ানচিনের বাসিন্দাদের জন্য নতুন আধ্যাত্মিক ল্যান্ডমার্কে পরিণত হয়েছে।
থিয়ানচিন টিভি টাওয়ার হলো থিয়ানচিনের বাসিন্দাদের কাছে একটি ল্যান্ডমার্ক স্থাপত্য। তাঁরা টিভি টাওয়ারটিকে ‘আকাশ টাওয়ার’ নাম দিয়েছে। গত বছর থিয়ানচিন টাওয়ারের ২৫৭ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে 'স্যিআন বই দোকান' উদ্বোধন করা হয়।
চাং ই শান চেয়ারে বসে তাঁর ৭ বছর বয়সী মেয়ের জন্য বই পড়েন। মেয়ে ও মা দু'জন সবসময় স্যিআন বই দোকানে আসেন। তাঁরা বই দোকানটিতে আসেন, কারণ এখানে বই বেশি ও দোকানে সাতটি বিড়াল আছে।
মেয়ে বলে, “আমি বিড়াল পছন্দ করি। এখানে বই পড়তে পারি এবং বিড়ালের সঙ্গে খেলতে পারি।’
চাং ই শান বলেন, ‘এখানকার পরিবেশ ভালো। এখান থেকে গোটা থিয়ানচিন দেখা যায়। আমার ভালো লাগে।’
থিয়ানচিন টাওয়ারের হ্রদ দৃশ্য এলাকা এবং হ্যস্যি এলাকার সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো যৌথভাবে বই দোকানটি গড়ে তুলেছে। দোকানের আয়তন ৬৬০ বর্গমিটার। দোকানে ৮৫০০ বই রয়েছে। হ্যস্যি এলাকার সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরোর উপপরিচালক ছুওয়েই বলেন, থিয়ানচিনে ১০টি বৈশিষ্ট্যময় বইয়ের দোকান আছে। তিনি বলেন,
‘বইয়ের দোকানে প্রতিদিন অনেক অতিথি আসেন। এখন দোকান খোলা রাখার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এখন রাত ৯টায় দোকান বন্ধ হয়।’
মিস্টার লিউ ছোট বেলা থেকে থিয়ানচিন টাওয়ারের কাছাকাছি এলাকায় থাকেন। তাঁর চোখে বইয়ের দোকানের জন্য টাওয়ারটি আরও আকর্ষণীয় হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এবারের রূপান্তর অনেক ভালো। থিয়ানচিন টাওয়ারের নতুন সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য যোগ হয়েছে। আসলে, এর আগে টাওয়ারটি কিছুটা পুরাতন ছিল। কিন্তু এখন খুবই সুন্দর। আমরা এতে আনন্দিত।’
চলতি বছর হলো থিয়ানচিন টাওয়ার নির্মাণের ২৯তম বার্ষিকী। টাওয়ারে ২৮ বছর ধরে কাজ করছেন থিয়ানথা সংস্কৃতি পর্যটন কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপক ওয়াং ইয়ান। এ সম্পর্কে বলেন, আধ্যাত্মিক সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য পাঠস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ের দোকানে ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা যায় এবং পাশাপাশি আধুনিক সভ্যতাও লালন করা যায়। শিক্ষা ও সংস্কৃতি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বইয়ের দোকানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। (ছাই/আলিম)