মার্চ ২৪: মার্কিন সময় ২২ মার্চ মার্কিন সিনিয়র তদন্তকারী সংবাদদাতা সেমুর হার্শ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান যে, তথাকথিত ‘ইউক্রেনের সরকারপন্থীরা’ ‘নর্ড স্ট্রিম’ পাইপলাইন বিস্ফোরণের বিষয়ে জালিয়াতি খবর প্রকাশ করেছে। এটি বাস্তবতা গোপন করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার মিথ্যাচার।
এবার বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণের উদ্ধৃতি দিয়ে হার্শ জানান যে, মার্চ মাসের শুরুতে জার্মান চ্যান্সেলার স্কোলজ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘নর্ড স্ট্রিম’পাইপলাইন নিয়ে আলোচনা করেছেন। পরে ‘নর্ড স্ট্রিম’ বিস্ফোরণের বাস্তবতা গোপন করে সিআইএ এবং বিএনডি নকল গল্প রচনা করেছে।
যদি হার্শের মন্তব্য সঠিক হয়, তাহলে ‘নর্ড স্ট্রিম’ পাইপলাইন বিস্ফোরণ নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত করা প্রয়োজন। কারণ জার্মান চ্যান্সেলর যুক্তরাষ্ট্রের সফর শেষ করার পর ‘নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা’ এবং জার্মান ‘টাইমস ম্যাগাজিন’ ‘নর্ড স্ট্রিম’ ঘটনা নিয়ে প্রায় একই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
‘ইউক্রেন সরকারপন্থীদের’ ‘নর্ড স্ট্রিম’ পাইপলাইন বিস্ফোরণ করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের ব্যাপক সন্দেহ রয়েছে। কারণ এ পাইপলাইনের বিধ্বস্তের অংশ দেখলে বোঝা যায়, তা কেবল বিশ্বের শীর্ষ সামরিক বাহিনীর পক্ষেই সম্ভব। তা ছাড়া, ‘নর্ড স্ট্রিম’ পাইপলাইনের প্রকল্পটি বিশাল, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বিধ্বস্ত করার দক্ষতা ও প্রেরণা আছে।
হার্শের খবর প্রকাশের দেড় মাস পর মার্কিন সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে। সেই সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন তদন্তে বাধা দেয়। আরো বেশি প্রমাণের কারণে মার্কিন সরকারের নাকচ গ্রহণযোগ্য নয়। যদি কোনো নকল খবর রচনা না করা হয়, তাহলে জাতিসংঘের উদ্যোগে ‘নর্ড স্ট্রিম’ পাইপলাইনের আন্তর্জাতিক তদন্তে সমর্থন দেওয়া উচিত। এভাবে আন্তর্জাতিক সমাজের উদ্বেগ মোকাবিলা করা সম্ভব।
(সুবর্ণা/তৌহিদ/শুয়ে ফেই ফেই)