একটি অভিন্ন সমৃদ্ধ বিশ্ব নির্মাণ করার আহ্বান চীনের
2023-03-24 20:18:33



মার্চ ২৪: মার্চ মাসে মস্কোতে বসন্তকাল শুরু হয়। দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই বসন্তকালে প্রথম বিদেশ সফরে সেখানে গিয়েছেন সি চিন পিং। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার সময় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, ‘চীন ও রাশিয়ার উচিত একযোগে চেষ্টা করা। যাতে বিশ্ব প্রশাসন আন্তর্জাতিক সমাজের প্রত্যাশার দিকে এগিয়ে যায়। পাশাপাশি, দুপক্ষের উচিত যৌথভাবে ‘মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি’ প্রতিষ্ঠা করা।


দশ বছর আগে বসন্তকালে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মস্কোর ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে’ একটি ভাষণ দিয়েছিলেন। ভাষণে তিনি প্রথম ‘মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির’ ধারণা উত্থাপন করেছিলেন।


দশ বছর পর প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যথাক্রমে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ, বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ, বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগ এবং বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগ উত্থাপন করেছেন। যা ‘মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি’ বাস্তবায়নের পথ খুলে দিয়েছে।


দশ বছর ধরে ‘মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি’ নির্মাণের ধারণা অব্যাহতভাবে উন্নত হয়েছে। যা ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছে এবং শক্তিশালী প্রাণশক্তি দেখা যাচ্ছে। 


চীন শুধু ‘মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি’ ধারণা উত্থাপনকারীই নয়, বরং চীন তা দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়নকারী।


কিছুদিন আগে, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় চীন ও কেন্দ্রীয় ও পূর্বাঞ্চলীয় ইউরোপীয় দেশের সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ‘হাঙ্গেরি-সাইবেরিয়া রেলওয়ের’ বেলগ্রেড-নোভিসাড অংশটি এক বছর পার করে। আগের ৪০ কিলোমিটার-ঘন্টা গতিবেগ এখন ২০০ কিলোমিটার-ঘন্টা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা চীনা প্রযুক্তির অনেক প্রশংসা করেছেন।


বর্তমান বিশ্ব একাধিক চ্যালেঞ্জ ও সংকটের মুখে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক পরিচালনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট সি পথ দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের উচিত উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা এবং বিনিময় ও সহযোগিতা গভীরতর করা’, ‘চীন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে একযোগে উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গড়তে চায়,  উন্মুক্ত বসন্ত-বাতাসে বিশ্ব উষ্ণ হতে দাও’... প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং অনেকবার জোর দিয়ে আহ্বান জানিয়েছেন যে, আমাদের উচিত উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে সুযোগ সৃষ্টি করা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা।


প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীন বিশ্বের সব ইতিবাচক শক্তির সঙ্গে একযোগে নিজের উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এগিয়ে নিচ্ছে।


চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা, কুয়াংচৌ রপ্তানি পণ্যমেলা, চীন আন্তর্জাতিক সেবা বাণিজ্য মেলা- এরকম একটার পর একটা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। চীনের উন্মুক্তকরণ অব্যাহতভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতির নির্মাণ এগিয়ে নিচ্ছে চীন। অভিন্ন উন্নয়নের পথ সম্প্রসারিত হচ্ছে।


সিপিসি’র বিংশ জাতীয় কংগ্রেসে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে চীনা জাতির মহান পুনরুত্থানের পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে বলা হয়, চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের একটি মৌলিক বিষয় হচ্ছে ‘মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি নির্মাণ এগিয়ে নেওয়া।’ দৃঢ়ভাবে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন এগিয়ে নেওয়া, উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করা এবং উচ্চমানের উন্মুক্তকরণ বাড়ানো- বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য নতুন উন্নয়নের সুযোগ দেবে। যদি বিশ্বের আরো দেশ আধুনিকায়ন বাস্তবায়ন করে, তাহলে ‘মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির’ স্বপ্ন অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।


(আকাশ/তৌহিদ/জিনিয়া)