মার্চ ২৩: গত ২০ থেকে ২২ মার্চ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন।
সফর শেষে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ছিন কাং বলেন, এবারের সফর সারা বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, যা ছিল একটি বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও শান্তির যাত্রা।
ছিন কাং বলেন, এবারের সফর চলতি বছর চীনের কূটনৈতিক সফরের সূচনা। এই জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে চীনা প্রেসিডেন্ট রাশিয়া সফর করেন এবং অনেক ফলাফল অর্জন করে, যা চীনের স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ কূটনীতিতে অবিচল থাকা ও বিশ্ব শান্তির উন্নয়নের খোলা ও উদার মনের প্রতিফলন।
তিন বলেন, আন্তর্জাতিক জনমতে চীনা প্রেসিডেন্টের এবারের সফর বিশ্ব রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে। এতে চীনের বড় দেশের দায়িত্ব তুলে ধরেছে এবং জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা বাড়াবে এবং বিশ্বের বহুমেরুকরণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রায়নের জন্য সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে সি চিন পিং প্রথমবার চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর রাশিয়া সফর করেছেন। দশ বছর পর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর আবারও রাশিয়া সফর করেন তিনি। গভীরভাবে চিন্তা করার পর এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ১০ বছরে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। তাদের পারস্পরিক আস্থা নতুন যুগে চীন-রাশিয়া সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারি সম্পর্কের উন্নয়নে রাজনৈতিক নিশ্চয়তা দিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন সংকট শুরুর পর চীন ন্যায্য অবস্থান নিয়ে দু’পক্ষের শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য চেষ্টা করেছে। সফরকালে দু’দেশের শীর্ষনেতারা ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক ও গভীর যোগাযোগ করেছেন। রাশিয়ান পক্ষ চীনের অবস্থান ও চেষ্টার প্রশংসা করেছে এবং রাজনৈতিক উপায়ে ইউক্রেন সংকট সমাধানে চীনের গঠনমূলক ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ আলোচনা সংশ্লিষ্ট পক্ষের জনগণের স্বার্থ ও প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এতে চীনের কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ নেই এবং ভূ-রাজনীতিকে নিজের স্বার্থে প্রভাবিত করবে না।
(তুহিনা/এনাম/শুয়েই)