মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি নির্মাণের উজ্জ্বলতা বিশ্বকে আলোকিত করুক: সি চিন পিং
2023-03-23 20:09:01

মার্চ ২৩: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছিলেন, মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি নির্মাণের উজ্জ্বলতা বিশ্বকে আলোকিত করুক। দশ বছর আগে ২০১৩ সালের ২৩ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রাশিয়ার মস্কোর ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে’ একটি ভাষণ দিয়েছিলেন। ভাষণে তিনি প্রথম মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির ধারণা উত্থাপন করেছিলেন। 


দশ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বহুবার ‘মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি’ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ধারণা বাস্তবায়ন ও উন্নত হচ্ছে। যা বিশ্বের নানা সমস্যা মোকাবিলায় চীনের মেধা ও পদ্ধতি দিয়েছে। এতে চীনের দায়িত্ববোধ ফুটে ওঠে। 


“বিশ্বের সমস্যাগুলো বেশ জটিল। সমস্যা মোকাবিলার পদ্ধতি হলো বহুপক্ষবাদ রক্ষা ও বাস্তবায়ন করা এবং মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করা।” ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দাভোস ‘বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামে’ প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ কথা বলেছিলেন। এতে বহুপক্ষবাদ রক্ষা ও বাস্তবায়ন এবং মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠায় চীনের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রতিফলিত হয়।


‘মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির’ ধারণা উত্থাপন করার পর, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যথাক্রমে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ, বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ, বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগ এবং বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগ উত্থাপন করেছেন। যা মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি বাস্তবায়নের পথ সম্প্রসারিত করেছে।


চীন ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ উত্থাপন করেছে, যা সারা বিশ্বের জন্য কল্যাণকর প্রমাণিত হয়েছে। এই উদ্যোগ ‘মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি’ প্রতিষ্ঠার একটি বাস্তব পদক্ষেপ।


এ বছর হচ্ছে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ উত্থাপনের দশম বছর। এই দশ বছরে, উদ্যোগের আওতায় ১৫০টিরও বেশি দেশ এবং ৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে; তিন হাজারেরও বেশি সহযোগিতামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে; সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে চার লাখ ২০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগে শক্তিশালী প্রাণশক্তি দেখা গেছে। 


পাশাপাশি, চীন চরম দারিদ্র্য নির্মূল করে ১৬০টিরও বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সহায়তা করেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর দারিদ্র্যমোচন ও উন্নয়নে সমর্থন যুগিয়েছে। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান-কি-মুন বলেছেন, ‘মানবজাতির দারিদ্র্যমোচনের পথে চীনের ভূমিকা অপরিসীম।’


‘মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি’ নির্মাণে একযোগে আলোচনা ও কাজ করা উচিত এবং সামনে এগিয়ে নেওয়া উচিত। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য কয়েক প্রজন্মের অব্যাহতভাবে কাজ করা দরকার। 


প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, ‘চীন বিশ্বের জন্য আরো বেশি চীনা মেধা, পদ্ধতি ও শক্তি যোগাবে। একটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তি, ব্যাপক নিরাপত্তা, অভিন্ন সমৃদ্ধি, উন্মুক্ত ও সহনশীল, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর বিশ্ব নির্মাণ এগিয়ে নেবে চীন।’


(আকাশ/তৌহিদ/ফেইফেই)