গতকাল (বুধবার) রাশিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সফর শেষ হয়েছে। সফরের ধারাবাহিক সাফল্য থেকে বোঝা যায় এটি ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ, সহযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ যাত্রা।
চীনা প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর এটি সি’র প্রথম বিদেশ সফর এবং রাশিয়ায় তাঁর নবম সফর। তিনদিনের এ সফরে দু’দেশের নেতৃবৃন্দ আন্তরিক ও সফল বৈঠক ও আলোচনা করেছেন। নতুন যুগে সার্বিক কৌশলগত সহযোগী ও অংশীদারি সম্পর্ককে গভীরতর করার বিষয়ে একমত হয়েছেন দু’নেতা।
বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে সি জোর দিয়ে বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক সাধারণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চেয়ে অনেক ভালো, যা বিশ্ব ব্যবস্থা ও মানবজাতির ভাগ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রেসিডেন্ট সি’র এবারের সফর থেকে বোঝা যায়, চীন দীর্ঘকাল ধরে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র কূটনৈতিক নীতিতে অবিচল রয়েছে। চীন-রুশ সম্পর্ক সুসংবদ্ধ করা চীনের স্বার্থ ও বিশ্ব উন্নয়ন প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত, তা কোনো অবস্থাতেই পরিবর্তন হবে না।
বর্তমানে কিছু পশ্চিমা দেশ জোট করে স্নায়ুযুদ্ধ ও দ্বন্দ্বের চেতনায় বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করছে। জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চীন ও রাশিয়ার যোগাযোগ ও সহযোগিতা অতি প্রয়োজনীয়। জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি দেশ হিসেবে দু’দেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বের বহুমুখীকরণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রায়ন বাস্তবায়ন করবে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় ভূমিকা পালন করবে।
ইউক্রেন ইস্যুতে চীন-রুশ যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দায়িত্বশীল সংলাপ হবে এ সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। শান্তিপূর্ণ বৈঠক পুনরুদ্ধারে প্রস্তুত মস্কো। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পদ্ধতিতে ইউক্রেন সংকট সমাধানে চীনের ইতিবাচক ভূমিকাকে স্বাগত জানায় রাশিয়া। চীনের উত্থাপিত ১২টি পরামর্শে ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণ বৈঠকের অবস্থান প্রতিফলিত এবং চীনের দায়িত্ব ও উদ্যোগ বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
দু’দেশের নেতৃবৃন্দের যৌথ উদ্যোগে নতুন যুগে দ্বিপাক্ষিক সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারি সম্পর্ক আরও গভীরতর করা হবে, এবং অস্থিতিশীল বিশ্বে দু’দেশের সহযোগিতা বিশ্বের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
(সুবর্ণা/এনাম/শুয়ে ফেই ফেই)