মার্চ ২১: যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত ‘২০২২ সালে বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার অনুশীলনের প্রতিবেদন’-একটি রাজনৈতিক মিথ্যাচার এবং পক্ষপাতিত্বের দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন।
আজ (মঙ্গলবার) বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনে সারা বিশ্ব বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার সমস্যা দেখেনি, বরং মার্কিন আধিপত্য এবং গালাগালি দেখতে পায়। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত মানদণ্ডও দেখা যায়।
মুখপাত্র বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত অবস্থা জানতে সাহায্য করি। সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক অবস্থার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে বিপুল পরিমাণ বাস্তব তথ্য এবং মিডিয়া ও বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে গেল বছর মার্কিন গণতন্ত্রের সঠিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়েছে।
রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বিশৃঙ্খল অবস্থা এবং সারা বিশ্বে নিজের গণতান্ত্রিকব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ায় সৃষ্ট হাঙ্গামা ও দুর্যোগ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সবাই আরো স্পষ্টভাবে মার্কিন গণতন্ত্রের বাস্তব অবস্থা জানতে পারবে।
আর কিছুদিন পর, যুক্তরাষ্ট্র ‘দ্বিতীয় গণতন্ত্রের শীর্ষবৈঠক’ আয়োজন করবে। তবে তা মার্কিন গণতন্ত্রের ‘অস্ত্রায়ন করার লক্ষ্য’ লুকিয়ে রাখতে পারবে না।
চীনা মুখপাত্র আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, গণতন্ত্রের নামে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি না-করে জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে ঐক্য ও সহযোগিতা জোরদার করা এবং প্রকৃত বহুপক্ষবাদ মেনে চলা। গণতন্ত্রের অজুহাতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না-করে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রীকরণ জোরদার করা উচিত।
(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)