মস্কোতে সি-পুতিন বৈঠক অনুষ্ঠিত
2023-03-21 11:18:34

মার্চ ২১: স্থানীয় সময় গতকাল (সোমবার) চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মস্কোতে পৌঁছে ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় উভয় নেতা দু’দেশের সম্পর্ক ও অভিন্ন উদ্বেগগুলো নিয়ে গভীর ও আন্তরিক মতবিনিময় করেন।

বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, গত ১০ বছর ধরে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। সিপিসি’র বিংশতম জাতীয় কংগ্রেসে পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন তাঁকে প্রথম অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন, এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সি চিন পিং। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার উন্নয়নে নতুন অগ্রগতি অর্জিত হবে।

সি চিন পিং বলেন, চীন-রাশিয়া সম্পর্কের উন্নয়নে গভীর ঐতিহাসিক যুক্তি রয়েছে। রাশিয়ার বৃহত্তম প্রতিবেশী ও সার্বিক কৌশলগত সহযোগী ও অংশীদার হিসেবে চীন সব সময় স্বাধীন কূটনৈতিক নীতি মেনে চলে। চীনের নিজস্ব মৌলিক স্বার্থ ও বিশ্ব উন্নয়নের প্রবণতার ভিত্তিতে চীন-রাশিয়া সম্পর্ককে শক্তিশালী ও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দু’পক্ষের উচিত জাতিসংঘসহ বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা ও সমন্বয় জোরদার এবং নিজ নিজ দেশের উন্নয়নের চেষ্টা করার পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তি হওয়া।

বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, গত ১০ বছরে চীন বিপুল ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর কারণ চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের দুর্দান্ত নেতৃত্ব এবং তা চীনের জাতীয় ব্যবস্থা ও পরিচালনা ব্যবস্থার প্রাধান্যকে সফল বলে প্রমাণ করেছে। দু’পক্ষের অভিন্ন চেষ্টায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু’দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক ফলাফল অর্জিত হয়েছে।

তিনি বলেন, রাশিয়া চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাস্তব সহযোগিতা গভীরতর করতে ইচ্ছুক। আন্তর্জাতিক ইস্যুতে যোগাযোগ ও সমন্বয় জোরদার, একসঙ্গে বিশ্বের বহু-মেরুকরণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রায়নকে ত্বরান্বিত করবে দুই পক্ষ।

দু’পক্ষ ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে গভীর মতবিনিময় করেছে। সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেন সমস্যায় বেশিরভাগ দেশ উত্তেজনা প্রশমন ও আলোচনার মাধ্যমে শান্তি বাস্তবায়নকে সমর্থন করে।

এর আগে চীন আবারও রাজনৈতিক উপায়ে ইউক্রেন সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানায় এবং স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতার বিরোধিতা করে। রাজনৈতিক উপায়ে ইউক্রেন সমস্যা সমাধানে চীন অব্যাহতভাবে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে চায়।

(তুহিনা/এনাম/শুয়েই)