বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাসের প্রতি গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে
2023-03-20 15:30:44

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন মানুষের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা সমাজে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং শিক্ষা খাতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ একটি অনস্বীকার্য প্রবণতা। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়ন পরিকল্পনার কাঠামোতে, চীনের দূরবর্তী এলাকার স্কুলের বাচ্চারাও উন্নত প্রযুক্তির সরঞ্জাম ব্যবহার করে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন অনুভব করছে। আজকের অনুষ্ঠানে চীনের গ্রামাঞ্চলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাস এবং ব্রাজিলে চীনা ও পর্তুগিজ ভাষার স্কুল সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।

 

চীনের কানসু প্রদেশের লংনান শহরের ওয়েন জেলার ২ নম্বর মাধ্যমিক স্কুলের ১৪০ বর্গমিটারের ক্লাসরুমে থ্রিডি প্রিন্টার ও ভিআর সরঞ্জামসহ বিভিন্ন উন্নত যন্ত্রপাতি আছে। এসব সরঞ্জামের মাধ্যমে কয়েক শতাধিক পাহাড়ি ছাত্রছাত্রী উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হয়েছে ও হচ্ছে। তাঁরা ভবিষ্যতে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে নিজেদের অবদান রাখবে বলেও আশা রাখে।  

 

ওয়েন জেলা চীনের কানসু, সিছুয়ান এবং শাআনসি প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। প্রাচীনকাল থেকেই এখানকার পাহাড়াঞ্চলে অনেক চরম দরিদ্র জেলার অস্তিত্ব ছিল। অনুন্নত শিক্ষাব্যবস্থার কারণে বাচ্চাদের লেখাপড়ার চাহিদা মেটানো সম্ভব হতো না। তবে, ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে, চীনের সংবাদদাতা পরিষদ এবং টেনসেন্ট কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে, ওয়েন জেলার ২ নম্বর মাধ্যমিক স্কুলে ‘উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষাসরঞ্জাম’ সরবরাহ করা হয়। এর ফলেই স্কুলটি গ্রাফিকাল প্রোগ্রামিং এবং থ্রিডি প্রিন্টসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির নতুন ক্লাস চালু করতে সক্ষম হয়।

 

এ সম্পর্কে স্কুলের ছাত্রী ১২ বছর বয়সের লিয়াও ওয়েন থিং বলে, কম্পিউটার সফটওয়ার দিয়ে মডেল ডিজাইন করা যায় এবং তারপর থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে মডেল প্রিন্ট করা যায়। প্রথমবারের মতো এ প্রযুক্তি দিয়ে মেয়ে লিয়াও ওয়েন থিং একটি কলমদানী তৈরি করেছে। সেটি তার জন্য বেশ চমত্কার স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা। ভবিষ্যতে থ্রিডি প্রযুক্তি দিয়ে আরও বড় জিনিস ডিজাইন ও প্রিন্ট করতে চায় সে।

 

ওয়েন জেলার ২ নম্বর মাধ্যমিক স্কুলের ‘ফিউচার ক্লাসরুমে’ বহুমুখী মিডিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা, ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত লাইভ বা রেকর্ডিং সরঞ্জাম, ভিআর প্রযুক্তি, থ্রিডি প্রিন্টার রয়েছে। এর মাধ্যমে হার্ডওয়ার প্রোগ্রামিং, থ্রিডি প্রিন্টিং, লেজার কাটিং, এআই রবার্টসহ বিভিন্ন কোর্স চালু করা সম্ভব হয়েছে।

 

স্কুলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্লাসের শিক্ষক তুং ওয়েন ছাও ‘ফিউচার ক্লাসরুম’ চালুর কথা স্মরণ করে বলেন, বাচ্চারা প্রথমবারের মতো এতো উন্নত ক্লাসরুমের সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। তাদের চোখে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ফুটে ওঠে। বাচ্চারা আনন্দের সাথে এ ক্লাসরুমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন তথ্য জানছে, শিখছে। তাদের বয়স যত কম, আগ্রহ তত বেশি। দুই-তিন বছর ক্লাস করেই তারা অনেক জটিল জিনিস ও প্রোগ্রাম ডিজাইন করতে পারছে। এটি তাদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।

 

২০২১ সালে চীনের সংবাদদাতা পরিষদের সদস্য চাং ইয়ে লিয়াং ওয়েন জেলার উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৯৮ সাল থেকে চীনের সংবাদদাতা পরিষদের সাথে ওয়েন জেলার বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এ জেলায় শিক্ষা খাতে সহায়তা দেওয়া চীনের সংবাদদাতা পরিষদের প্রধান দায়িত্ব।

 

জেলার উপপ্রধান হিসেবে জরিপের সময় চাং ইয়ে লিয়াং খেয়াল করেন, স্থানীয় আর্থিক অবস্থার দুর্বলতার কারণে, স্কুলগুলো শিক্ষাসরঞ্জামের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। ফলে, স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নতুন প্রযুক্তি ও জ্ঞানের মাধ্যমে ভালো করে লেখাপড়া করতে পারছে না। নতুন প্রজন্মের জীবনমান উন্নত করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি শিক্ষা। ২০২১ সালে টেনসেন্ট কোম্পানি চীনা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ‘বুদ্ধি ও শরীরের চর্চা’ প্রকল্প চালু করে। এ প্রকল্পের আওতায় ‘ফিউচার ক্লাসরুম’ ও ‘ফিউচার খেলারমাঠ’ বিনির্মাণে চীনের অনুন্নত এলাকায় সফ্টওয়ার ও হার্ডওয়ার সরবরাহ করা শুরু হয়। এর লক্ষ্য গ্রামাঞ্চল ও দূরবর্তী এলাকার শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান উন্নত করা।

 

স্কুলের শিক্ষকদের জন্যও ‘ফিউচার ক্লাসরুম’ নতুন বিষয়। শিক্ষিকা রান লিং লি টানা ১০ বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তির ক্লাস নিচ্ছেন। অথচ ‘ফিউচার ক্লাসরুম’ তাঁর কাছেও নতুন একটি ধারণা। তিনি বলেন, অতীতে কেবল ছাত্রছাত্রীদের তাত্ত্বিক শিক্ষা দেওয়া হতো। আর এখনকার শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে শেখানো হয়, তাদের সৃজনশীল হতে উত্সাহ দেওয়া হয়। তাদের নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে কাজ করা এখনকার শিক্ষকদের দায়িত্ব।

 

থ্রিডি প্রিন্টারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রানের মতো অনেক শিক্ষকের জন্যই নতুন জিনিস। তাই ‘ফিউচার ক্লাসরুম’ ব্যবহারে অভ্যস্ত করতে দেশে শিক্ষকদের জন্য ৪৬টি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হয়। এভাবে শিক্ষকরা সর্বপ্রথম এই বিশেষ ক্লাসরুম ব্যবহারের পদ্ধতি নিজেরা শিখে নেন, পরে তারা শিক্ষার্থীদের শেখান।

 

ফিউচার ক্লাসরুম সম্পর্কে টেনসেন্ট কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা চেং চং বলেন, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বাচ্চাদের বিজ্ঞানসম্মতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা শেখানো হয়। এতে তাদের কল্পনাশক্তি ও কৌতুহল বাড়ে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহও বাড়ে। চীনের তুলনামূলকভাবে উন্নত শহরের বাচ্চাদের সাথে চিন্তাভাবনা বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও উন্নত হচ্ছে।  

 

বস্তুত, ফিউচার ক্লাসরুম কেবল একটি ক্লাসরুম নয়, বরং বাচ্চাদের সৃজনশীলতার উত্সস্বরূপ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে দ্রুত উন্নয়ন ঘটে। তাই এমন ক্লাসরুমের মাধ্যমে বাচ্চাদের জন্য উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা যায় এবং তাদের মানসিকতা ও চিন্তাধারারও ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো যায়।

 

গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উন্নত প্রযুক্তি ও সরঞ্জামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ফিউচার ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। এটি চীনের গ্রামাঞ্চলের সাথে বড় বড় শহরের শিক্ষার ব্যবধান কমিয়ে আনার একটি পদক্ষেপও বটে। এভাবে গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে এবং তাঁরা বিজ্ঞানসম্মত চিন্তাধারা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে বলে আশা করা যায়।

 

ব্রাজিলের জনপ্রিয় পর্তুগিজ ও চীনা ভাষার স্কুল

ব্রাজিলের নাইটেরই শহরে একটি পর্তুগিজ ও চীনা ভাষার দ্বিভাষিক স্কুল রয়েছে। ২০১৪ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়।  রিও ডি জেনেইরো অঙ্গরাজ্যের সরকার ও চীনের হ্যপেই নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ স্কুলটি নির্মিত হয়। ব্রাজিলে এটিই প্রথম সরকারি উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, যেখানে পর্তুগিজ, চীনা ও ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করা হয়।

গত ৮ বছরে স্কুলের অনেক ছাত্রছাত্রী এইচএসকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী ‘চীনা ব্রিজ’ প্রতিযোগিতায় ভালো করে বৃত্তি নিয়ে চীনে পড়াশোনা করতেও এসেছে। টানা কয়েক বছর ধরে এই স্কুলের কয়েক ডজন করে শিক্ষার্থী রিও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ ব্রাজিলের সুবিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে, স্কুলটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রাজিলের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনায় রিও অঙ্গরাজ্যের শীর্ষ স্কুলের মর্যাদা পায়।

সম্প্রতি রিও ডি জেনেইরোতে চীনা কনস্যুলেট স্কুলটিকে অনেক চীনা বই উপহার হিসেবে দিয়েছে। এসব বইয়ের মধ্যে আছে চীনের ক্যালিগ্রাফি, ঐতিহ্যিক চিকিত্সা, চীনা দর্শন, চীনা সুস্বাদু খাবারসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখা বই। চীনা ভাষা শেখার পাশাপাশি, বিদেশী শিক্ষার্থীরা এসব বই পড়ে চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাবে বলে আশা করা যায়।

চীনা কনস্যুলার থিয়ান মিন বই বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ব্রাজিলের ছাত্রছাত্রীরা ভালো করে চীনা ভাষা শিখলে এবং চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানলে, দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও মৈত্রী আরও জোরদার হবে। দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আর্থ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতের সহযোগিতায় নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে তাঁরা।

রিও ডি জেনেইরো শিক্ষা ব্যুরোর কৌশল প্রকল্প বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জ্যাকলিন রিবেইরো অনুষ্ঠানে বলেন, তাদের এই স্কুল রিও শহরের প্রথম দ্বিভাষিক স্কুল। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের অনেকে দরিদ্র। তাঁরা স্কুলে ভালো করে লেখাপড়া করে চীনে যাওয়ার সুযোগ পাবে, যা তাদের দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য আশার বিষয়।

পর্তুগিজ ও চীনা ভাষার স্কুলে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্লাস চলে। ব্রাজিলের বাচ্চাদের জন্য সময়টা একটু বেশি। তবে, এ স্কুলের অনেক স্নাতক ছাত্রছাত্রী পরবর্তী জীবনে অনেক ভালো করেছে। তাই প্রতিবছর স্কুলে নিবন্ধন করা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। ২০১৫ সালে স্কুলে মোট ৩টি ক্লাসে ৭২ জন ছাত্রছাত্রী ছিল। তবে, ৮ বছর পর স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৩৬০ জনে দাঁড়ায়। নবম বছরে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১২৫ জন।

ছেলে থিয়াগো মোরেত্তি মাত্র স্কুলে ভর্তি হয়েছে। স্কুলের লেখাপড়া সম্পর্কে সে বলে, উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তির আগে রিও শহরের কয়েকটি স্কুল সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছে সে। কিন্তু এ স্কুল রিও শহরের সেরা স্কুল। যদিও সে চীনা ভাষা বোঝে না, তবে ছোটবেলা থেকে বিদেশি ভাষা শেখার ব্যাপারে তাঁর আগ্রহ আছে। তাই চীনা ভাষা শেখার জন্য এ স্কুল বেছে নেয় সে। যদিও প্রতিদিন স্কুলের সময় একটু বেশি, তবে তাঁর কাছে মনে হয়, নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটুকু তাকে মেনে নিতে হবে। তা ছাড়া, ভালো করে শেখার পর চীনে যাওয়ার সুযোগও থাকবে তাঁর, যেটা একটা ভালো দিক।

এ স্কুলে ফুটবল, বাস্কেটবল, ভলিবল ও পিংপং দল রয়েছে। কোভিড মহামারীর আগে স্কুলটি টানা ৪ বছর ‘ব্রাজিল মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের গ্রীষ্মকালীন ফুটবল ক্যাম্প’ প্রগ্রামের আওতায়, শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে চীনে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠায়। চীনা ছাত্রছাত্রীদের সাথে ফুটবল খেলার পাশপাশি, চীনা সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগও পেয়েছে তাঁরা।

ছেলে গুইলহার্ম সান্তোস ২০১৬ সালে স্কুলে ভর্তি হয় এবং ২০১৮ সালে স্নাতক হওয়ার পর চীনের হ্যপেই নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য পড়াশোনার সুযোগ পায়। এবার চীনা কনস্যুলেটের বই বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের গল্প শেয়ার করেছে সান্তোস। স্কুলের প্রেসিডেন্ট এলিসাঞ্জেলা বলেন, সান্তোসের বাসা রিও শহরের কাছে সান গঞ্জালো শহরে। প্রতিদিন স্কুলে যেতে দুই ঘন্টার বাসজার্নি করতে হতো তাকে। তবে ছেলে সান্তোস চমত্কার স্কোর নিয়ে স্নাতক হয়েছে। বর্তমানে স্কুলের শ্রেষ্ঠ স্নাতক শিক্ষার্থী সে।

এখন ছেলে সান্তোস চীনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। বর্তমানে রিও শহরের কনফুসিয়াস ইনস্টিডিউটের একটি প্রতিষ্ঠানে চীনা ভাষার শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তিনি ব্রাজিল ও চীনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের দূতে পরিণত হয়েছেন।

 (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)