টমেটো গ্রামের সম্পাদক ছেন পাও ছাও
2023-03-16 10:51:12


ছেন পাও ছাও হলেন মধ্য চীনের হ্য নান প্রদেশের খাই ফেং শহরের পাই ইয়ুন শান গ্রামের সিপিসি’র সম্পাদক। পাশাপাশি, তিনি চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের একজন প্রতিনিধি। সদ্য সমাপ্ত দুই অধিবেশনে তিনি অংশ নিয়েছেন এবং নিজের অধিকার প্রয়োগ করেছেন। ২০১৮ সালে ছেন পাও ছাও গ্রামে ফিরে গিয়ে স্থানীয় সিপিসি’র সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর আগে ২০ বছর তিনি গ্রামের বাইরে প্রতিষ্ঠান চালান। গ্রামে ফেরার পর তিনি গ্রামবাসীদেরকে নিয়ে টমেটো ক্ষেত স্থাপন করেছেন। তাই সবাই ভালোবেসে তাকে টমেটো সম্পাদক ডাকেন।

 

২০১৮ সালে গ্রামে ফেরার সময় ছেন পাও ছাও নিজের একটি লক্ষ্য স্থাপন করেছেন। সেটি হলো প্রত্যেক পরিবারের জন্য বাসভবন নির্মাণ করা, গাড়ি কেনা এবং ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে কয়েক লাখ ইউয়ান

জমানো। চীনে একটি কথা খুব বেশি প্রচলিত: একজন সমৃদ্ধ হলে সেটা সমৃদ্ধির কথা নয়। সবার অভিন্ন সমৃদ্ধি হলো আসল সমৃদ্ধি।

 

সে সময় গ্রামে ছিল না একটি কার্যকর কৃষিক্ষেত। শিল্প উন্নয়ন ও জনগণের উপার্জন বৃদ্ধির পদ্ধতি বের করতে প্রতিদিন গ্রামের ক্যাডারদের সঙ্গে ছেন পাও ছাও আলোচনায় বসেন। তিনি বেশ কয়েকবার গ্রামবাসীদেরকে নিয়ে অন্য স্থানে ভ্রমণে গিয়ে অভিজ্ঞতা লাভ করেন। অবশেষে তিনি শাকসবজি চাষের মাধ্যমে শিল্প উন্নয়নের পথে এগুনোর সিদ্ধান্ত নেন।

ছেন পাও ছাও অনেকের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন। তা পর্যাপ্ত না হলে তিনি নিজের টাকা ব্যবহার করেন। তিন কোটি ৬০ লাখ ইউয়ান বিনিয়োগ করে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিলে একটি টমেটো ঘাঁটি এবং ১৬৫টি গ্রীনহাউস গড়ে তুলেন ছেন পাও ছাও। ধীরে ধীরে তার আচরণ গ্রামবাসীদের স্বীকৃতি পেয়েছে। বর্তমানে পাও ইয়ুন শান গ্রামে টমেটো চাষের পরিমাণ ৬৯ হেক্টর। তাতে ৭০০ জনের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বার্ষিক উত্পাদন মূল্য ২ কোটি ইউয়ান ছাড়িয়েছে। প্রতিটি গ্রীনহাউসের নেট মুনাফার পরিমাণ ৯০ হাজার ইউয়ান। বর্তমানে প্রতিটি পরিবার তাদের অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছেন এবং গাড়িতে চলাফেরা করতে সক্ষম হয়েছেন।

 

চলতি বছরের দুই অধিবেশনের সময় ছেন পাও ছাও অন্যান্য প্রতিনিধিদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা শিখতে চান। কৃষি বিশেষজ্ঞ, বড় চাষি এবং প্রতিষ্ঠাতারা ছেন পাও ছাও’র টমেটো কার্যক্রমের জন্য নানা পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে তিনি বিক্রেতায় পরিণত হয়ে গ্রামে নতুন ধরণের ছোট টমেটোর পরিচয় করিয়ে দেন।

 

এবারের দুই অধিবেশনে ছেন পাও ছাও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন সম্পর্কে প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি আশা করেন, গ্রামে ৬০ বছর বয়সী ও তার চেয়ে বড় প্রবীণদের আরও সুন্দর অবসরপ্রাপ্ত জীবন নিশ্চিত করা যাবে। গ্রামে উচ্চ মানের কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠা এবং তরুণদের জন্য আরও বেশী কর্মসংস্থান তৈরি করা যাবে।

 

রুবি/এনাম