আজকের অনুষ্ঠানে চীনের তাইওয়ানের একজন গায়িকার সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো; তার নাম ওয়েই রু সিউয়ান। তার কণ্ঠ মিষ্টি আর সংগীত শৈলীও বেশ কোমল। বেশি জনপ্রিয় না হলেও তার গান রচনার দক্ষতা ব্যাপক প্রশংসিত। তাইওয়ান ও চীনের মূলভূখণ্ডের বিভিন্ন সংগীত অ্যাওয়ার্ডে তিনি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা তার কিছু সুন্দর গান শুনবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুনুন ওয়েই রু সিউয়ানের জনপ্রিয় একটি গান ‘শাংরি-লা’।গান ১
ওয়েই রু সিউয়ান ১৯৮২ সালে তাইওয়ানের হুয়ালিয়ান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি গান গাইতে খুব পছন্দ করতেন। স্কুলের সময় গান গাওয়া দলে যোগ দেন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি জনপ্রিয় গায়িকা ইয়াং নাই উনের জন্য হারমোনি রেকর্ড করার সুযোগ পায়। এর মাধ্যমে তিনি পেশাদার সংগীতশিল্পী ও সংগীত তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারেন। ইয়াং নেই উন ওয়েই রু সিউয়ানের কণ্ঠ পছন্দ করেন, তার সুপারিশে ওয়েই রু সিউয়ান ব্যাস বাদকের সঙ্গে সংগীতদল ‘যি রান চুয়ান’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি গান ‘যি রান চুয়ান’ প্রকাশ করে পেশাদার সংগীত জীবন শুরু করেন।গান ২
২০০৪ সালে যি রান চুয়ান অ্যালবাম ‘এটাই জীবন’ প্রকাশ করেন। একটি নতুন ও স্বাধীন সংগীতদল হিসেবে এই অ্যালবাম তৈরি ও প্রচারের প্রক্রিয়ায় কোনো সংগীত কোম্পানির সমর্থন ও সাহায্য পায়নি, অ্যালবামের সব গান তারা নিজে রচনা ও রেকর্ড করেছেন। এমন অবস্থায় তাদের এই অ্যালবাম মানুষের জনপ্রিয়তা পায় এবং স্বাধীন সংগীতদলের অ্যালবাম বিক্রির রেকর্ড সৃষ্টি করে। তারাও বার্ষিক শ্রেষ্ঠ সংগীতদলের পুরস্কারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বন্ধুরা, এখন এই অ্যালবামে ওয়েই রু সিউয়ান গাওয়া জনপ্রিয় গান ‘৯৯টি অশ্রুবিন্দু’ শুনুন।গান ৩
২০০৫ ও ২০০৬ সালে যি রান চুয়ান দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করে। এ দুটি অ্যালবাম তাদের শান্ত সংগীতশৈলী বজায় রাখে। ওয়েই রু সিউয়ানের মিষ্টি কণ্ঠের বৈশিষ্ট্যও এতে ফুটে ওঠে। অ্যালবামের গানগুলোও জনপ্রিয় হয়। তবে, ওয়েই রু সিউয়ান সবসময় এমন গান গাইতে চান না। তাই ২০০৬ সালে ওয়েই রু সিউয়ান যি রান চুয়ান ছেড়ে চলে যান। ব্যক্তিগত গায়িকা হওয়ার পর তিনি তার প্রথম ব্যক্তিগত অ্যালবাম ‘মিষ্টি জীবন’ প্রকাশ করেন। এতে তিনি জাপান, স্পেন, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের সংগীতশিল্পী ও অর্কেস্ট্রা (Orchestra) দলের সঙ্গে সহযোগিতা করে তার প্রথম অ্যালবাম ‘মিষ্টি জীবন’ প্রকাশ করেন। বন্ধুরা, এখন শুনুন সেই অ্যালবামে ওয়েই রু সিউয়ানের একটি সুন্দর গান ‘মহাপ্রলয়ে পৃথিবীর একটি কোণ’।গান ৪
২০১০ সালে ওয়েই রু সিউয়ানের দ্বিতীয় ব্যক্তিগত অ্যালবাম ‘মার্জিত হেজহগ’ মুক্তি পায়। এই অ্যালবাম থেকে তিনি তার বিশেষ সংগীতের বৈশিষ্ট্য তৈরি হয়। তা হল মেয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনের ছোট ব্যাপার ও সাধারণ মানুষগুলো তুলে ধরা। যেমন, তার গান ‘তুমি একটি গাছ হতে পারো না?’ গানের কথাগুলো হল- একটি কবিতা, এতে ‘গাছ’ নির্ভরশীল ও বিশ্বাসযোগ্য মানুষের প্রতীক, তিনি গানটির মাধ্যমে জীবনের সেসব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেন। বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে শুনবো ওয়েই রু সিউয়ানের গান ‘তুমি একটি গাছ হতে পারো না?’ ।গান ৫
বন্ধুরা, এবারের গানে আমরা শুনবো ‘দাদী’, গানটি ওয়েই রু সিউয়ানের ২০২১ সালে প্রকাশিত অ্যালবাম- ‘HAVE A NICE DAY’-এ রয়েছে। গানটি ওয়েই রু সিউয়ান তার দাদীর জন্য রচনা করেন। এতে লেখা হয়েছে দাদীর সঙ্গে থাকা খুব সাধারণ ব্যাপার। যা শুধু গায়িকার স্মৃতিই নয়, বরং অনেকের ছোটবেলার অভিন্ন স্মৃতি। গানের মধ্যে তাইওয়ানের শিশুদের গান ও লোকসংগীত রয়েছে। পুরো গানে দাদীর সঙ্গে সাধারণ কথোপকথন শোনা যায়। সহজ কিন্তু উষ্ণ ও সান্ত্বনাময় সে গান। বন্ধুরা, এখন গানটি শুনি।গান ৬
বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা একসঙ্গে ওয়েই রু সিউয়ানের আরেকটি সুন্দর গান ‘তুমি তুমি’ শুনবো। আশা করি, আপনারা তার গানগুলো পছন্দ করবেন।গান ৭
শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়ান।