‘ইসলামিক দেশগুলোর সঙ্গে অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জন করতে চায় চীন’
2023-03-15 19:17:08


 

মার্চ ১৫: দীর্ঘকাল ধরে চীন ও ইসলামিক দেশগুলো পারস্পরিক সম্মান ও আস্থা প্রদর্শনের ভিত্তিতে একে অপরের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমর্থন দিয়ে আসছে। দু’পক্ষ ভিন্ন সভ্যতার আওতায় বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান এবং সহযোগিতামূলক অর্জনের পথ খুঁজে বের করেছে, যা বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে সহযোগিতার জন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে। চীন অব্যাহতভাবে ইসলামিক দেশগুলোর সঙ্গে সভ্যতার যোগাযোগ এবং অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে।

 

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন আজ (বুধবার) বেইজিংয়ে নিয়মিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন।

 

তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গত ডিসেম্বর মাসে প্রথম চীন-আরব শীর্ষ সম্মেলনে যৌথভাবে ইসলামোফোবিয়ার বিরোধিতা, চরমপন্থা দূরীকরণে সহযোগিতা এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনো জাতি ও ধর্মকে যুক্ত করার বিরোধিতার কথা ব্যক্ত করেছেন। প্রথম চীন-আরব শীর্ষসম্মেলনের রিয়াদ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সব ধরণের ইসলামোফোবিয়ার বিরোধিতা, সভ্যতার বৈঠক জোরদার এবং ভিন্ন সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হবে।

 

ওয়াং ওয়েন বিন আরও বলেন, “আমরা কখনও ভুলব না যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াসহ নানা ইসলামিক দেশে যুদ্ধ চালিয়েছে। তাতে এক লাখেরও বেশি মুসলমান নিহত হয়েছে এবং কয়েক কোটি মুসলমান শরণার্থী হয়েছে। তবে, আশঙ্কাজনক হলো  যে যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে মুসলমানদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী একমাত্র দেশ। এ পর্যন্ত দেশটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ২২৭টি আইন প্রণয়ন করেছে এবং এরই মধ্যে ২২টি সংসদে পাস হয়ে আইনে পরিণত হয়েছে। পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ৯৩.৭ শতাংশ মুসলিম ইসলামোফোবিয়ার ছায়ায় জীবনযাপন করছে এবং ৬২ শতাংশ মুসলিম ধর্মীয় বৈরিতা অনুভব করছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এসব সমস্যা সঠিকভাবে দেখে ইসলামোফোবিয়া দূর করতে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া।

(রুবি/এনাম/শিশির)