আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আকাশ ও তৌহিদ...।
ভাই, ১২ মার্চ হচ্ছে ‘আরবর ডে’ বা Arbor Day। মানে চীনে এ দিনে সাড়া দেশে গাছ লাগানোর অনুষ্ঠান হবে। বাংলা ভাষায় একে বলা যায় বৃক্ষরোপণ দিবস। ২০২০ সালের পয়লা জুলাই থেকে , চীনে সংশোধিত “গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের বনায়ন আইন’ চালু হয়। এতে সুস্পষ্টভাবে নিদিষ্ট করা হয়েছে যে, প্রতি বছরের ১২ মার্চ সারা দেশে ‘আরবর ডে/ Arbor Day’ পালন করা হবে। ভাই, আমি কয়েকবার এদিনে গাছ লাগিয়েছি। হয়ত আপনিও করেছেন, তাইনা? চীনে এ বিষয়ক আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের কিছু বলতে পারবেন কি?
বন্ধুরা, গাছ লাগানোর কাজে চীন বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বর্তমানে চীনের বনায়নের আওতাভুক্ত এলাকা ২৩.০৪ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা ২৪.১ শতাংশে উন্নীত হবে বলে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ভাই, আমি জানি আপনি সাইক্লিং অনেক পছন্দ করেন। বেইজিং এবং আশেপাশের অঞ্চলে পাহাড়, লেক, তৃণভূমি, গ্রাম, আপনি অবশ্যই অনেক স্থানে গিয়েছেন। এ সব অঞ্চলে বনভূমি, তৃণভূমি বা পরিবেশ সুরক্ষার অবস্থা কেমন দেখেছেন? আপনি আমাদের কিছু বলতে পারবেন কি?
তৌহিদ:...
চীনে পরিবেশ সুরক্ষা ও সবুজায়ন খাতের উন্নয়ন সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?
তৌহিদ:
সংগীত
শিশু ও কিশোররা হচ্ছে দেশের ভবিষ্যত। এ বছর দেশের দুই অধিবেশনে, এনপিসিসি এবং সিপিপিসিসি’র একাধিক সদস্য শিশু ও কিশোরদের ক্রীড়া খাতের উন্নয়নের জন্য নানা পরামর্শ দিয়েছেন।
সিপিপিসিসি’র জাতীয় কমিটির সদস্য, China Table Tennis Association-এর চেয়ারম্যান লিউ কুও লিয়ান জানান, বর্তমানে, শিশু ও কিশোরদের শারীরিক সুস্থতার বিষয়টি দিন দিন বেশি গুরুত্ব দেওয়া পাচ্ছে। শরীরচর্চাকে উপেক্ষা করার কারণে অনেক তরুণ তরুণীকে চশমা পড়তে হচ্ছে এবং শরীরের ওজন বেড়ে গিয়ে ‘ছোট মোটায়’ পরিণত হয়েছে। তিনি প্রস্তাব দেন যে, স্কুল ও পরিবার শিক্ষা খাতে ক্রীড়াকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যাতে প্রতিটি শিশু ২ বা ৩ ধরণের খেলাধুলা শিখতে পারে এবং অংশগ্রহণ করতে পারে। তাতে সাড়া জীবনে ধীরে ধীরে শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে উঠবে।
সিপিপিসিসি’র জাতীয় কমিটির সদস্য, শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের চ্যাম্পিয়ন চাং হংয়ের পরামর্শ হচ্ছে- ‘ক্রীড়া ও শিক্ষা- এ দুটি বিষয়কে আরো বেশি সমন্বিত করা’। তিনি বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীরা একটি বা কয়েকটি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে, তাদের সারা জীবন উপকৃত হয়।’
এনপিসি’র একজন সদস্য,টোকিও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন চাং ইউ ফেই এবার তাঁর প্রস্তাবে বলেন, ‘উচ্চ মানের খেলোয়াড় কিভাবে গণশরীরচর্চার জন্য অবদান রাখতে পারা।’ তিনি বলেন, ‘অনেকে শরীরচর্চা করতে চান, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা। পাশাপাশি, পেশাদারি খেলোয়াড়দের অনেক বছরের ক্রীড়ার অভিজ্ঞতার আছে। তারা তাদের অভিজ্ঞতা স্কুলের শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারে। তিনি প্রস্তাব দেন যে, চ্যাম্পিয়নরা শারীরিক শিক্ষার ক্লাস চালাবে। এতে সাধারণ মানুষের পেশাদার শরীরচর্চা ও খেলাধুলার নির্দেশনা পাবে।
তৌহিদ ভাই, চীনের গণ-শরীরচর্চা খাত সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি? এ বিষয়টি আপনার কেমন মনে হয়?
তৌহিদ:...
(আকাশ/তৌহিদ)