মালভিনাসের সার্বভৌমত্বের জন্য আর্জেন্টিনার বৈধ দাবিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন: সিএমজি সম্পাদকীয়
2023-03-04 17:32:59

মার্চ ৪: গত বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাফিয়েরো বলেছেন, জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে আর্জেন্টিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ পক্ষকে অবহিত করেছে যে, তারা মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জ (যুক্তরাজ্য যাকে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ বলে) রোধের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ২০১৬ সালে ‘রাডোরি-ডেনকান চুক্তি’ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পক্ষকে প্রস্তাব দেন যে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২০৬৫নং বিধি অনুযায়ী মালভিনাসের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করা উচিত। যা মালভিনাসের সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে আর্জেন্টিনার বৈধ দাবি।  তাই আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত একে দৃঢ়ভাবে সমর্থন দেওয়া।

প্রকৃতপক্ষে, মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জের অধিকার এবং এর প্রতি অন্যায় খুব স্পষ্ট। ঔপনিবেশিক যুগের সঙ্গে এটি জড়িত। এ বিষয়ে ব্রিটিশদের বধিরতা ও বোবা হওয়ার ভান করার প্রধান কারণ হল, তারা অন্যায়ভাবে পাওয়া স্বার্থ ছাড়তে চায় না। মালভিনাস তেল ও গ্যাস সম্পদে সমৃদ্ধ এবং দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের ‘সামরিক সেতু’ নামেও পরিচিত। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন যে, যুক্তরাজ্যের জন্য, মালভিনাস দখলে রাখা এখনও গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে দক্ষিণ আটলান্টিক অঞ্চলে তথাকথিত ‘বিদেশি এলাকা’ ধরে রাখা এবং অ্যান্টার্কটিকায় তার উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়। আন্তর্জাতিক সমাজ এর তীব্র বিরোধিতা করে। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ, আমেরিকান রাষ্ট্রগুলির সংস্থা ও চীন-সহ উন্নয়নশীল দেশগুলি বারবার মালভিনাসের উপর আর্জেন্টিনার সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারে দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে।

২০২৩ সালে মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জে ব্রিটিশদের অবৈধ দখলদারিত্বের ১৯০তম বার্ষিকী। ১৯০ বছর ধরে, মালভিনাসের সার্বভৌমত্ব আর্জেন্টাইনদের হৃদয়ে একটি বেদনা হয়ে রয়েছে। এখন, আর্জেন্টিনা মালভিনাসের সার্বভৌমত্ব ফিরে পেতে চায়। প্রাক্তন ‘সাম্রাজ্যবাদী’ শক্তির উচিত আর্জেন্টিনার আলোচনার দাবিতে সক্রিয় সাড়া দেওয়া এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই অঞ্চল ফিরিয়ে দেওয়া। ঔপনিবেশিক যুগ চিরতরে চলে গেছে। তাই মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্বের বিষয়টি ‘আর্জেন্টিনার বেদনা’ হওয়া উচিত নয়!

(ইয়াং/তৌহিদ/ছাই)