‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রা’ পর্ব ৭
2023-03-01 10:48:51

                                      

‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী।  দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান হাতিয়ার তারুণ্য। তরুণরা চাইলেই পারে সমাজকে বদলে দিতে। এজন্য দরকার তাদের চিন্তা ও মেধার সমন্বয়। চীন ও বাংলাদেশের তরুণদের অফুরান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবো এই অনুষ্ঠানে। তরুণদের সৃজনশীলতার গল্পগাঁথা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের তারুণ্যের অগ্রযাত্রা।   

১.  চায়না ইয়ুথ স্কি এন্ড স্নোবোর্ড ওপেন সিরিজ

চীনে গত ক’মাস ধরে তরুণ স্কিয়ারদের আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে চায়না ইয়ুথ স্কি এন্ড স্নোবোর্ড ওপেন সিরিজ চলে। সম্প্রতি সেই সিরিজের ফাইনাল শেষ হয়েছে। বাছাই করা হয়েছে মোট ৯৪ জন স্কিয়ার ও স্নোবোর্ডারকে।

সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের ইয়াংছিং জেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ৫ দিন ব্যাপী চায়না ইউথ স্কি ও স্নোবোর্ড ওপেন গেমের ফাইনাল। চীনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৮ থেকে ২০ বছর বয়সী প্রতিযোগীরা অংশগ্রহন করে এই প্রতিযোগিতায়। চার ধরণের স্কি-গেমে জমে ওঠে ফাইনালের আসর। আলপাইন স্কিইং জায়ান্ট স্লালোম, স্নোবোর্ড প্যারালাল জায়ান্ট স্লালোম, স্নো বোর্ড স্লোপস্টাইল এবং ক্রস কান্ট্রি স্কিইং খেলার মাধ্যমে চাইনিজ ইয়ুথ স্কি প্রদর্শনী দলের জন্যে প্রতিযোগী বাছাই করা হয়।

 ‘ফিউচার স্টার’ চায়না ইয়ুথ স্কি এন্ড স্নোবোর্ড ওপেন সিরিজের মূল লক্ষ্য হলো তরুণ স্কিয়ারদের আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়ার হিসেবে গড়ে তোলা। বেইজিং, ছংলি, চিলিং, শেনইয়াং, থিয়ানচিন ও ছংছিংয়ের প্রতিযোগিতা জোনগুলো এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।  


গত তিনমাস ধরেই এই অঞ্চলগুলোতে প্রতিযোগিতা চলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার তরুণ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে এই প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে বাছাইকৃত ৪০০ প্রতিযোগী নিয়েই অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল। দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ছংছিং থেকে আসা এক প্রতিযোগী ফেং শ্যু বলেন ফাইনালে খেলতে পেরে তিনি খুবই আনন্দিত।

‘আমি ছংছিং থেকে এসেছি। আমার কাছে এই খেলাটি দারুণ লাগে। খুবই ভালো লাগছে এখানে এসে।  শীতকালীন অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করে পুরষ্কার জেতা আমার জীবনের সব থেকে বড় স্বপ্ন।’

ফাইনাল শেষে চাইনিজ ইয়ুথ ডেমোনস্ট্রেশন টিমে যোগ দেওয়ার জন্য মোট ৯৪ জন স্কিয়ার ও স্নোবোর্ডারকে বাছাই করা হয়েছে।

 

প্রতিবেদকঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন 

 

২.   তরুণ স্কি অনুরাগী সিআও মেই 

উত্তর পশ্চিম চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের আলতায় একজন তরুণ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শীতকালীন খেলাধুলাকে তার বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে প্রচার করায় আরো বেশি জনপ্রিয় হোয়ে উঠেছে। 

সিআও মেই নামের এই তরুণী খুব স্কি ভালবাসেন। গত কয়েকদিন আগে তিনি স্কি খেলার উপর একটি শর্ট ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন। মুহূর্তেই তা মানুষের কাছে ছড়িয়ে যায়। তবে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করা এই তরুণী বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৪ শ’ মিলিয়নের মতো ভিউ পেয়েছেন।

 

সিআও মেই জানান, তিনি শীতকালীন ক্রীড়া প্রবর্তক হিসাবে তার কর্মজীবন উপভোগ করছেন। সিনচিয়াংয়ের সৌন্দর্য প্রচার করার পাশাপাশি তিনি প্রকৃতি উপভোগ করতে পারছেন। 

 

সিনচিয়াং বরফ এবং তুষার সম্পদে সমৃদ্ধ। সিআও মেই ২০১৮ সালে প্রথমাবারের মতো স্কিইং করতে সিনচিয়াং গিয়েছিলেন। এরপর আলতায় স্কিইংয়ের প্রচার শুরু করেন।  পাশাপাশি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে স্কি ভক্তদের টিপস দিতে শুরু করেন।

তার ভিডিওগুলো থেকে স্কি অনুরাগীরা তাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য যেমন নতুন স্কিইং কার্যকলাপ, প্রধান স্কি রিসোর্টের তথ্য এবং শীতকালীন ক্রীড়া ব্যবহারের হট স্পটগুলো খুঁজে পেতে পারে। এইভাবে ধীরে ধীরে তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

 
প্রতিবেদক : রওজায়ে জাবিদা ঐশী  

৩. সাক্ষাৎকার

 

আমাদের এইবারের অতিথি মশিউর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করে চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির উপর একটি অনলাইন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে চীনা বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা সংগঠনের সঙ্গে তার গড়ে উঠেছে সখ্যতা। কাজ করছেন চীনা তরুণদের সঙ্গেও।

তারুণ্যের অগ্রযাত্রা অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ আলামিন আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

‘বাংলাদেশের তরুণদের সহযোগিতা করতে চাই ও তাদের কর্মসংস্থান তৈরিতে কাজ করছি, মশিউর রহমান ভূঁইয়া। 

 

আমাদের ‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ আজ এই পর্যন্তই । পরবর্তী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভকামনা সবার জন্য।

 

পরিকল্পনা ,পরিচালনা ও সঞ্চালনা : রওজায়ে জাবিদা ঐশী

অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল ও রওজায়ে জাবিদা ঐশী  

সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী