মানুষকে মনে রাখেন সি চিন পিং
2023-02-27 14:43:12

ফেব্রুয়ারি ২৭: নতুন বছরের নতুন সেমিস্টারে লোকালয় থেকে সুদূরে অবস্থিত টাই হাং পর্বতাঞ্চলের হ্য পেই প্রদেশের ফু পিং জেলার পা ই স্কুলে শিশুরা জন্মস্থানের জন্য গান গাইছিল। হ্য পেই প্রদেশের ফু পিং জেলা ছিল একসময় চীনে জাপানের আগ্রাসনের বিরোধিতার জন্য গঠিত প্রথমটি ঘাটি। ভৌগলিক অসুবিধার কারণে এ জেলা একদা খুব গরিব ছিল। চীনের ক্ষমতাসীন পার্টি সিপিসি’র অষ্টাদশ কংগ্রেসের পর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রথম গ্রামাঞ্চল পরিদর্শন শুরু করেন। আর তা শুরু হয়েছিল ফু পিং ভ্রমণ দিয়ে। কু চিয়া থাই গ্রামবাসী কু ছেং হু’র বাড়ীতে একটি সামরিক জামা সযত্নে রাখা আছে।

 

তিনি বলেন,‘আগের দিন তুষারপাত হয়েছিল। পরের দিন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আমার বাড়ীতে এসেছিলেন। আমাকে জামাটি উপহার দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সি। তাঁর মন জুড়ে রয়েছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা। প্রেসিডেন্ট সি আমাদের উত্সাহিত করে বলেন যে আস্থাবান হলে হলুদ মাটি থেকে সোনা তৈরি করা যায়। আমাদের সবাইকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

 

গ্রামাঞ্চলে সচ্ছল সমাজ গঠন না করলে, বিশেষ করে দরিদ্র অঞ্চলে সচ্ছলতা না থাকলে সার্বিকভাবে সচ্ছল সমাজ গঠন করা যায় না। সিপিসি’র অষ্টাদশ কংগ্রেসের পর প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং পাহাড় ও নদনদী অতিক্রম করে ১৪টি চরম দরিদ্র অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। মাঝেমধ্যে তিনি প্রতিদিন তিনটি যানবাহন পরিবর্তন করে গন্তব্য-স্থলে গিয়েছেন। জনসাধারণ শীত ও উষ্ণতা অনুভব করে কি না, তাও মনে রাখেন প্রেসিডেন্ট সি। তিনি ১০০টিরও বেশি জেলা ও থানা গিয়েছেন। বাজারে উৎসবমুখর সরবরাহ পর্যাপ্ত কি না, অধিবাসীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা সুবিধাজনক কি না, বয়স্কদের খাদ্য সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়, কৃষক-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা কেমন--সবই কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করেছেন সি চিন পিং।

 

সি চিন পিং বলেন,“আমাদের মূলনীতি জনগণকে সেবা প্রদান করা। জনগণের সুখী ও সুন্দর জীবনের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

 

জনগণের প্রাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ইউয়ান নান প্রদেশের লু থিয়ান অঞ্চলের ভূমিকম্প কবলিত অঞ্চলে সি চিন পিং দুর্গতদের বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেন। প্রেসিডেন্ট সি তাদের জিজ্ঞেস করেন যে তারা সিদ্ধ করা খাবার খেতে পারেন কি না? শিশুরা লেখাপড়া করতে পারছে কি না? চিকিৎসা ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না? করোনা মহামারির আকস্মিক আঘাতে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ‘জনগণ সত্য, প্রাণ সত্য’র চেতনায় প্রতিটি প্রাণকে বাঁচানো হবে।

 

অসাধারণ দশ বছরের প্রতিটি মুহূর্তে জনগণের জন্য সি চিন পিং’র আবেগ দেখা গেছে। তিনি তরুণ-তরুণীদের বড় হওয়া, চোখের যত্ন নেওয়া এবং শারীরিক অবস্থার দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি শিশু ও তরুণদের নিজের জীবন গঠনেরও পরামর্শ দেন।

 

গণমুক্তি ফৌজ জাতীয় নিরাপত্তা ও জনগণের সুখী জীবনের রক্ষাকারী। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বরাবরই সৈনিক ও কর্মকর্তাদের কথা মনে রাখেন। ২০১৪ সালের বসন্ত উৎসবের প্রাক্কালে তিনি মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আবহাওয়ায় ইনার মঙ্গোলিয়ার সীমান্ত গাইড সৈনিকদের দেখতে যান। পর্বতের চূড়ায় ফাঁড়িতে তিনি সৈনিকদের বলেন,‘আপনারা বরফ ও তুষার দুর্যোগ অতিক্রম করে দেশ ও জনগণের জন্য সীমান্ত রক্ষা করছেন। দেশ ও জনগণ আপনাদের কথা কখনো ভুলে যাবে না।’

 

জনগণের সুখী জীবনের চেতনায় সি চিন পিং ১৪০ কোটি মানুষের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জননেতা জনগণ থেকে নির্বাচিত হয় এবং সব সময় মানুষকে সর্বাধিক অগ্রাধিকারে দেওয়া হয়েছে। মানুষ তাঁকে সম্মান করেন এবং ভালোবাসেন।

 

নতুন যুগের দশ বছরে যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে, তা জনগণের চোখে ও মনে পড়ে। ছোং ছিং শহরের তু চিয়া স্বায়ত্তশাসিত জেলার হুয়া সি গ্রামবাসী মা পেই ছিং বলেন,‘আমাদের জীবনযাত্রা অধিকতর ভালো হয়েছে। খাদ্য ও বস্ত্র নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। আমাদের বাড়ীও অনেক বড় ও পরিষ্কার হয়েছে। বর্তমানে যে জীবন-যাপন করছি, তা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আমরা খুব আনন্দিত।’

(রুবি/এনাম)