‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী।
দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান হাতিয়ার তারুণ্য। তরুণরা চাইলেই পারে সমাজকে বদলে দিতে। এজন্য দরকার তাদের চিন্তা ও মেধার সমন্বয়। চীন ও বাংলাদেশের তরুণদের অফুরান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবো এই অনুষ্ঠানে। তরুণদের সৃজনশীলতার গল্পগাঁথা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের তারুণের অগ্রযাত্রা।
সাক্ষাৎকার
মাহাবুবুর রহমান মিরাজ । তিনি চীনের চিয়াংসি প্রদেশের সিনইয়ু বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজিতে স্নাতক করছেন। এই তরুণ শিক্ষার্থীকে আমরা তারুণ্যের অগ্রযাত্রায় আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি অনলাইনে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তার পথচলা, অভিজ্ঞতা ও চিন্তা ভাবনা শেয়ার করেছেন।
তাইওয়ানের যুবকদের জন্য বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে ২৯তম শীতকালীন ক্যাম্প।
তাইওয়ানের যুবকদের জন্য অল-চায়না ফেডারেশন অফ তাইওয়ান কমপেট্রিয়টস ২৯তম শীতকালীন ক্যাম্পের আয়োজন করেছে। গেল শনিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে এই ক্যাম্প শুরু হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগঠনটির ঊর্ধ্বতন নেতাসহ তাইওয়ানের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। চীনের কানসু, কুইচো ও সিচুয়ান প্রদেশে বসবাসরত তাইওয়ানের অন্য যুবকরাও ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং চান্দ্র নববর্ষের শুভকামনা প্রকাশ করেন। মূলত তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের এ ধরনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তাইওয়ান প্রণালীর দুই তীরের সম্পর্কের উন্নয়নই এই আয়োজনের লক্ষ্য বলে জানান বক্তারা ।
আয়োজকরা জানান, তাইওয়ানের যুবকদের মূল ভূখণ্ডের উন্নয়ন সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ করে দেয় ক্যাম্পটি। কারণ এতে রয়েছে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম এবং মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন প্রদেশে ভ্রমণ। শীতকালীন শিবিরে অংশগ্রহণ করছে তাইওয়ানের প্রায় ৫০০ জন তরুণ।
এর মাধ্যমে তাইওয়ানের শিক্ষার্থীরা তাইওয়ান প্রণালী দুই তীরের সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি তাইওয়ানের ইতিহাস সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারবে এবং একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল ভূখণ্ড সম্পর্কে একটি বিস্তৃত ধারণা লাভ করবে বলে মনে করেন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া তাইওয়ান স্বদেশীদের সর্ব চীন ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান চি পিন।
তাইওয়ানের তরুণদের জন্য কল্যাণ প্রচার , সুযোগ তৈরি করতে থাকবে , তাদের কাছে 'ঘনিষ্ঠ বন্ধু' এবং 'গাইড' হিসেবে কাজ করবে " অল-চায়না ফেডারেশন অফ তাইওয়ান । আমি আশা করি তাইওয়ানের তরুণরা সবার সাথে হাত মেলাতে পারবে। মূল ভূখণ্ডের সহকর্মীরা এবং আমাদের মাতৃভূমির উন্নয়নে নিজেদেরকে নিবেদিত করুন,”
তাইওয়ান প্রণালীর দুই তীরের বিনিময় বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানটি হয়ে আসছে। তাইওয়ানের ৭ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীরা অফলাইন ও অনলাইনসহ বিভিন্নভাবে এরই মধ্যে এতে যুক্ত হয়েছে।
তারুণ্যের অগ্রযাত্রা আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তী অনুষ্ঠান শোনার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজ বিদায় নিচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী । সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
পরিকল্পনা ,পরিচালনা ও সঞ্চালনা : রওজায়ে জাবিদা ঐশী
অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল