ফেব্রুয়ারি ২০: আজ (সোমবার) সিএমজি, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এবং সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগ চীনের তথ্যচিত্র উত্সব “এক অঞ্চল, এক পথ” অনলাইনে শুরু হয়েছে। ৪০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলের ৫০ জনেরও বেশি রাজনৈতিক ভিআইপি, সাবেক রাজনৈতিক ভিআইপি, এবং তথ্যমাধ্যমের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ভিডিও-বার্তা পাঠিয়ে উত্সবের সাফল্য কামনা করেছেন।
চলতি বছর সি চিন পিংয়ের “এক অঞ্চল, এক পথ” উদ্যোগ উত্থাপনের দশম বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত তথ্যচিত্র উত্সবে, সিএমজি’র সিজিটিএন-এর ইংরেজি, স্প্যানিশ, আরবি ও রুশ ভাষার অনেক তথ্যচিত্র ও বৈশিষ্ট্যময় প্রোগ্রাম স্থান পেয়েছে। এসব প্রোগ্রাম বিশ্বের অনেক তথ্যমাধ্যম এবং বিদেশে চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্রের মাধ্যমেও বিভিন্ন দেশের দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। এসব প্রোগ্রামে “এক অঞ্চল, এক পথ” উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের মধ্যে যোগাযোগ উন্নয়ন ও বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগের গল্প বলা হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন কাং বলেছেন, ১০ বছর ধরে, ১৫১টি দেশ এবং ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা “এক অঞ্চল, এক পথ” পরিবারে যোগ দিয়ে, অবকাঠামো, নিয়ম ও মানদণ্ড এবং বিভিন্ন দেশের জনগণের যোগাযোগ অব্যাহতভাবে গভীরতর করেছে। চীন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিনিময় ও সহযোগিতা ঘনিষ্ঠতর করে, সভ্যতার পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ত্বরান্বিত করতে, সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী।
চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী হু হোপিং বলেন, তাঁর মন্ত্রণালয় ভালোভাবে এবারের উত্সবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে, দেশি-বিদেশি সংস্কৃতি ও পর্যটন বিনিময় ও সহযোগিতার গভীরতা ও ব্যাপকতা সম্প্রসারণ করবে, বিভিন্ন দেশের পারস্পরিক সম্মান, সমঝোতা ও আস্থা ত্বরান্বিত করবে, মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন অবদান রাখবে।
সিএমজির প্রধান শেন হাইশিয়োং বলেন, চীন বিশ্বের সঙ্গে হাতে হাত রেখে অসংখ্য চিত্তাকর্ষক গল্প লিখেছে। চীন “এক অঞ্চল, এক পথ” উদ্যোগের উত্সস্থান, কিন্তু এর সুযোগ ও সাফল্য গোটা বিশ্বের। চলচ্চিত্রগুলোর মাধ্যমে একটি প্রাণবন্ত “এক অঞ্চল, এক পথ” বাগান প্রদর্শিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মিসর, থাইল্যান্ড, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, বেলারুস, চিলি, পেরু, লাওস, জর্জিয়া ও উরুগুয়েসহ “এক অঞ্চল, এক পথ” উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এর সাফল্য কামনা করেন। (প্রেমা/আলিম/ছাই)
