ফেব্রুয়ারি ২০: সম্প্রতি সেন্টার ফর চায়না অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশন (সিসিজি) জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনের অবকাশে, চীন-মার্কিন জলবায়ু সহযোগিতাসম্পর্কিত একটি পার্শ্ব-সম্মেলনের আয়োজন করে।
সিসিজি টানা পাঁচ বছর ধরে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিয়ে আসছে। এবারের সম্মেলনে সিসিজি আবারও সরকারি পর্যায়ের এ সম্মেলন আয়োজন করে। এবারের পার্শ্ব-সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল: চীন-মার্কিন সহযোগিতার সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন আলোচনা করা। সিজিজি’র পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াং হুই ইয়াও এ সম্পর্কে বলেন,
“আমরা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের অবকাশে এ ধরণের সম্মেলন আয়োজন করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে চাই। আমরা এ ব্যাপারে আরও ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। এ ছাড়াও, আন্তর্জাতিক সমাজের জরুরি প্রয়োজনে সাড়া দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। কারণ, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এবং ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীন-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা দেখতে চায়। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীন ২০৩০ থেকে ২০৬০ সালের মধ্যে যথাক্রমে ‘কার্বন শিখর’ ও ‘কার্বন নিরপেক্ষতা’র লক্ষ্য বাস্তবায়নের কথা ঘোষণা করেছেন। আমার মনে হয়, এ জন্যই আরও আলোচনা প্রয়োজন। এই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের চীনের সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। চীন একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে আরো বেশি চীনা বুদ্ধি ও চীনা পরিকল্পনা প্রদান করতে চায়।”
সম্মেলনে চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের বৈদেশিক কমিশনের উপপরিচালক ফু ইং, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ভাইস চেয়ারম্যান বরিস রুজ ও কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির বিশ্ব জ্বালানিসম্পদ নীতিকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক জেসন বোর্ডফসহ, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সিনিয়র নীতি-নির্ধারক ও গবেষক মত বিনিময় করেন। তাঁরা জলবায়ু-কূটনীতি ও বৃহত্তর ভূ-রাজনীতির লেন্সের মাধ্যমে, চীন-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পর্যবেক্ষণ করেন এবং দ্বন্দ্ব প্রতিরোধ ও সহযোগিতা প্রচারের সম্ভাবনা অন্বেষণ করেন।
অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, এ ধরণের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে। কারণ, জলবায়ুর পরিবর্তন হলো মানবজাতির জন্য একটা বড় হুমকি। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সহযোগিতা জোরদার করে অব্যাহতভাবে বিশ্বের জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করা।
প্যারিস শান্তি ফোরাম সংস্থার মহাপরিচালক ও ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক নীতি পরিকল্পনা পরিচালক জাস্টিন ভাইসে সাংবাদিকদের বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র—এই দুটি বড় দেশের মধ্যে সহযোগিতা বেশি জরুরি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,
“এটি সহযোগিতা হোক বা সমন্বয়, যখন দুই দেশ নির্গমন হ্রাস ব্লুপ্রিন্ট ও অভিযোজনের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছায়, তখন তারা দ্রুত একটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। সব মিলিয়ে সময় ফুরিয়ে আসছে।” (ছাই/আলিম)