ফেব্রুয়ারি ১৯: জনৈক মার্কিন নেতা সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছেন, সম্প্রতি যে তিনটি বেলুন ভূপাতিত করা হয়েছে, তা চীনের সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে এবং নতুন স্নায়ুযুদ্ধের পরিস্থিতি চায় না। তবে, চীনের বেলুন ভূপাতিত করার জন্য ক্ষমাও চাইবে না। যুক্তরাষ্ট্র একদিকে চাপের মুখে নিজ আচরণের জন্য অজুহাত দেয় এবং অন্যদিকে চীনকে দৃঢ়ভাবে কথিত ‘সঠিক রাজনীতি’ শেখাতে চায়। দেশটির এ দ্বন্দ্বের মনোভাব আন্তরিকতাহীন। এটি সমস্যা সমাধানের সঠিক উপায় না। গতকাল (শনিবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের এক সম্পাদকীয়তে এসব মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, চীন বহুবার বলেছে যে, চীনের বেসামরিক মনুষ্যবিহীন বেলুন ভুল করে মার্কিন আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে, যা আকস্মিক ঘটনামাত্র। মার্কিন বেশ কিছু কর্মকর্তাও মনে করেন, চীনের বেলুন মার্কিন জনগণ ও তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি না। তবে দেশটির পার্টির দ্বন্দ্ব চরম হওয়ার কারণে এ আকস্মিক ঘটনাকে জটিল করা হয়েছে এবং এ নিয়ে অপরাজনীতি করছে ওয়াশিংটন।
বাস্তবতা হলো, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী- অপ্রতিরোধ্য শক্তি, সংকট ও জরুরি আশ্রয় নেওয়া- এই তিনটি পরিস্থিতিতে এক দেশের এয়ারশিপ অন্য দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করলে, তার অবৈধতা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা যায়। চীনের বেলুন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি বেলুনকে বিশ্ব ভ্রমণের জন্য ছেড়েছে। এ পর্যন্ত অন্তত ১০টি বেলুন অবৈধভাবে চীনের আকাশে প্রবেশ করেছে। তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো কথা বলে না। এতে মার্কিন দ্বৈতনীতি আরও সুস্পষ্ট হয়।
(রুবি/তৌহিদ/লাবণ্য)