২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচি পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের ইউনিট-৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি অথরিটির সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, চীনের দ্বারা নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের এ ইউনিটের নির্মাণকাজ সম্পন্ন ও চালু হবার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের উত্পাদিত মোট বিদ্যুতে পারমাণবিক বিদ্যুতের হার ব্যাপকভাবে উন্নত হয়ে ২০০০ সালের ০.৬ শতাংশ থেকে ২০২২ সালের ১০.৬ শতাংশে উন্নত হয়েছে। এতে দেশটিতে বিদ্যুতের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
গত বছরের এপ্রিলে “হুয়ালং ওয়ান” বিশ্বের চতুর্থ এবং বিদেশে দ্বিতীয় ইউনিট—করাচি পরমাণু বিদ্যুতকেন্দ্রের ইউনিট-৩ চালু করে। এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে করাচি পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের ইউনিট-২ চালু হয়।
চীনের নিজস্ব গবেষণা ও উন্নয়ন এবং পুরোপুরি স্ব-নির্ভর মেধাস্বত্বের তৃতীয় প্রজন্মের পারমাণবিক বিদ্যুত্ প্রযুক্তি হিসেবে “হুয়ালং ওয়ান” চীনা উদ্ভাবনের একটি নতুন নামকার্ডে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানে সুষ্ঠুভাবে নির্মিত ও চালু হওয়ার ঘটনা বিশ্বকে পারমাণবিক বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অর্জিত চীনা দক্ষতা সাথে আরেকবার পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। জানা গেছে, করাচি পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের ইউনিট ২ ও ৩ সার্বিকভাবে উত্পাদন শুরু করার পর, বছরে প্রায় ২০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘন্টা দূষণমুক্ত বিদ্যুত সরবরাহ করবে, স্থানীয় ২০ লাখ মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে।
প্রকল্পের নির্মাণ স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সহায়তা দেয়। প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার ফান হাইপিংয়ের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, প্রকল্পের নির্মাণের জন্য নতুন করে ৬০ সহস্রাধিক কর্মসংস্থান বাড়ানো হয়। এ ছাড়া ৮ সহস্রাধিক পাক কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
ফান হাইপিংয়ের মতে, এক একটি পরমাণু সহযোগিতার সাফল্যের পেছনে চীন ও পাকিস্তানের জনগণের অভিন্ন চেষ্টা ও গভীর মৈত্রীর প্রতিফলন ঘটেছে।
পাকিস্তানের ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন ও বিশেষ প্রকল্প মন্ত্রী বলেছেন, নতুন প্রজন্মের পরমাণু প্রযুক্তি দেশটির জ্বালানি আমদানির ব্যয় কমাবে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করবে। পাক-চীন জ্বালানি সহযোগিতা অব্যাহতভাবে নতুন পর্যায়ে এগিয়ে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। (প্রেমা/আলিম)